আগডুম বাগডুম : কবিতা
- ২৬ মে ২০২৩, ০০:০৫
দোষটা বলো কার
মাহমুদ সালিম
যায় না বলা সত্য কথা যায় না বলা মুখে
অন্য কারো সুখ দিয়ে ভাই যায় থাকা কি সুখে?
মন্দ বল অন্য কারো দোষ খোঁজ কার নিজে
একটু সুখে থাকলে কেহ বিষ লাগে তার কী যে।
অন্য কারো বিপদ দেখে ফ্যালফ্যালিয়ে হাসে
মিথ্যে কথার সুনাম শুনে খুব যে ভালোবাসে,
অভাব তোমায় দেয় না তাড়া তবু বল অভাব
দুর্বলতার সুযোগ খোঁজা এটিই তোমার স্বভাব?
কী দেখেছি এই চোখে আজ জুলুমবাজের শাসন
অযোগ্যরা যোগ্য লোকের নিচ্ছে কেড়ে আসন,
দলকানাদের মিল দেখি খুব কাটায় সাথে রাত
চোর বেচারা সুযোগ বুঝে মিলায় হাতে হাত।
স্বজনপ্রীতি অর্থনীতি গতির সুরে ডাকে
ধরলে প্যাঁচে মার খেয়ে সব মুখ লুকিয়ে থাকে,
যায় না বলা এখন তো আর সঠিক নিয়ম বাণী
বলতে গেলে মুখ চেপে দেয় সাথে একটু মানি।
কিসের এত অহং তোমার মাটির দেহ নিয়ে
চাপার জোরে বলছ কথা মিথ্যে গুজব দিয়ে,
নিজের ক্ষতি আনলে ডেকে পাবে কি আর ছাড়
নিজের পায়েই মারলে কুড়াল দোষটা বলো কার?
মায়া
শামীম খান যুবরাজ
গাঁকে ভালোবাসি আমি
মাকে ভালোবাসি,
দূরে থাকি- ছুটে ছুটে
মায়ের কাছে আসি।
গাঁয়ের সবুজ মায়ের শাড়ি
আমার সুখের ছায়া,
ভুলতে আমি পারি না তো
মা ও গাঁয়ের মায়া।
মেঘেদের তল্লাটে
সরোয়ার রানা
মেঘেদের তল্লাটে আজ দেবো হানা
আমি এক ভবঘুরে করবে কে মানা।
সাদা-কালো মেঘগুলো ধীরে ধীরে এসে
হিম হিম ছোঁয়া দিয়ে চলে যায় ভেসে।
মনটাও তার সাথে চলে যায় দূরে
আকাশটা ছুঁঁয়ে তবে আসে ঘুরে ঘুরে।
মাঝে মাঝে ঝরে পড়ে সবুজের মাঝে
মেঘগুলো সারাদিন থাকে তার কাজে।
তার মাঝে রোদ এসে ফিক ফিক হাসে
গগনের মেঘ সেজে মনটাও ভাসে।
দেশটা আমার
শাহীন খান
মেঘের ভেলা যায় হারিয়ে দূরে
পাখপাখালি সব মেললো ডানা
ফুল ফুটে রয় পুরো বাগানজুড়ে
পুকুর জলে খেলছে হাঁসের ছানা।
বাজছে বাঁশি দূর গাঁয়েরই শেষে
পরাণ আমার উদাস উদাস লাগে
কৃষাণ বধূ মুচকি দিলো হেসে
কবি মনে কাব্যছড়া জাগে।
পাল উড়িয়ে গায়রে মাঝি গীতি
শিল্পী আঁকে শরৎ ছবি বসে
সব দুখের হয়রে এবার ইতি
ভাবনারা আজ পড়ল সবই খসে।
যেদিক তাকাই লাগছে দারুণ শোভা
মুগ্ধ হয়ে অবাক চেয়ে থাকি
দেশটা আমার খুবই মনোলোভা
স্বপ্ন গানে ভরল এ বুক আঁখি।
গ্রীষ্মের হাট
মো: রতন ইসলাম
রৌদ্র কড়া চলছে খরা
মাঠ শুকিয়ে কাঠ,
চারিপাশে বেশ জমেছে
গ্রীষ্মকালের হাট।
সূর্য যেন ভূমির কাছে
এগিয়ে এলো ওই,
আগুন ছাড়াই বালুর মাঝে
ভাজা যাবে খই!
বিষ্টি যেন এই সময়ে
মিষ্টি হাঁড়ির নাম,
নেমন্তন্ন চিঠি পাঠাই
ফেরত পাঠায় খাম।
বন-বাদাড়ে পশুপাখি
গরমে হাঁসফাঁস,
আম্র-কাঁঠাল পাকায় নাকি
তাপের অগ্নিশ্বাস?
আসে নাকে পাকা ফলের
সুগন্ধ মৌ মৌ,
ধান পেকেছে কাটে চাষি
গোলায় ভরছে বউ।
সোনালি দিন
হানিফ রাজা
কিচিরমিচির পাখির ডাকে
ভাঙত ভোরে ঘুম,
ভোরের আলো কপাল পরে
দিত মধুর চুম।
খড়কুটোর ওই চালের ঘরে
করত চড়ুই বাস,
মনের সুখে থাকত তারা
কাটত বারো মাস।
ঘাসের ডগায় উড়ত ফড়িং
ছুটতাম পিছু রোজ,
নীড়ে ফিরতে দেরি হলে
করত মায়ে খোঁজ।
তালগাছের ওই ডালে বসত
বাবুই পাখির দল,
দেখে কী যে লাগত ভালো
নামত খুশির ঢল।
সে সব স্মৃতি বিলীন আজি
পাই না খুঁজে ভাই,
বদলে গেছে সোনালি দিন
বন্দী ঘরে তাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা