২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

কেমন আছে?
রাসেল খান

কেমন আছে শান্ত শীতল দখিনা বাতাস
স্নিগ্ধ ছোঁয়া আবেশমাখা কোমল দূর্বাঘাস?
কেমন আছে ঘাটের তরী নদীর কলতান
সারি সারি পানের বরজ সুপারি বাগান?

কেমন আছে শাপলা শালুক হাওর বাঁওড় বিল
ময়না শ্যামা কোকিল টিয়া মাছরাঙা বক চিল?
কেমন আছে গাছগাছালি ফুলের শত বন
ভেজা গায়ে মাখামাখি বৃষ্টি শিহরণ?

কেমন আছে রাতের তারা জোনাক মেয়ের গান
জোছনা ধোয়া পরীর হাসি গল্প অফুরান?
কেমন আছে রোদের ডানায় ইচ্ছে হাওয়ার দোল
মৌমাছিদের গুনগুনানি সুরের কলরোল?

কেমন আছে পাহাড় ঘেঁষা ঢালু সরুপথ
ঝর্ণাধারার ছন্দ রাশি কী উঁচু পর্বত?
কেমন আছে পাতার বাঁশি ঝিরিঝিরি সুর
মেঠোপথের গন্ধ সোঁদা আহা কী মধুর?

কেমন আছে মাঠের ফসল পাগল করা ঘ্রাণ
স্বপ্ন বোনা চাষার হাসি স্নিগ্ধ সতেজ প্রাণ?
কেমন আছে সবুজ শ্যামল এই প্রকৃতির রূপ?
জানতে এ মন ব্যাকুল আমার ইচ্ছে করে খুব।

 

 

মায়ের কাছে চিঠি
কাজী আবুল কাশেম রতন

মা তোমায় লিখছি যখন চিঠি
শান্ত নিঝুম ঘুমিয়ে গেছে পাড়া।
ফুলের ঘ্রাণে ঘরটা যে ভরপুর
আকাশ পাড়ে জ্বলছে রাতের তারা।

মা তোমায় লিখতে গেলেই চিঠি
হাজার ছবির দৃশ্য মনে পড়ে।
রাতের পাখি শিস দিয়ে যায় শুধু
অশ্রু যেন ঝরনা হয়ে ঝরে।

হারিয়ে যাওয়া মা গো আমার
আদর চুমু নিও।
দূর অজানায় থেকেও আমার
প্রীতির জবাব দিও।

 

 

নতুন ফন্দি
শাহ নওয়াজ

ভালো থাকার উপায় বুঝে খাচ্ছি,
পুঁটি-পোলাও, টাকি মাছের কাচ্চি।
পুঁটিরও দাম অনেক বেশি,
পাবদা মাছের কাছে ঘেঁষি,
এসব মাছেও হয় বিরানি!
খেটে মরি- নয় জিরানি,
সুখের নাগাল তালাশ করি
নতুন নতুন ফন্দি ধরি-

সবজি সেদ্ধ! বড়লোকে খায়,
বোঝাই আমি ঘরে,
কাজের ঘোরে একা যখন,
মন যে কেমন করে!

 


শৈশবের স্মৃতি
আশরাফ আলী চারু

কার মনে সেই শৈশবকালের
আম কুড়ানোর স্মৃতি নাই
কার আগে কে জাগতে পারে
কার মনে সেই কৃতী নাই?

আজও খুঁজি আম কুড়ানি
জাম কুড়ানির দলগুলো
এদের পেলে নেই মিলিয়ে
স্মৃতির মনোবলগুলো।

তাদের মাঝে সেই মনোবল
দুঃখ-সুখের যে খোঁজ পাই
তাই তো তাদের সাথে মিশে
স্মৃতিগাথায় রোজ হারাই।

 


মায়ের ছবি
সুমিতা রানী

আঁকতে হবে মায়ের ছবি
তাই তো খোকা ভাবছে খুব,
দু’চোখ বুঁজে দেখছে মাকে
মনের চোখে দিচ্ছে ডুব।

শীত সকালে ভেজা কড়াই
মায়ের হাতে কাঁপছে রোজ,
সবাই তখন ঘুমে-শুয়ে
জাগিয়ে মা নিচ্ছে খোঁজ!

গরম দিনে আগুন দুপুর
কপাল ঘেমে একাকার,
চুলার কাছে মায়ের দু’হাত
ব্যস্ত সময় হচ্ছে পার!

রাত হয়েছে, মায়ের হাতে
মশারিটা নড়ছে ওই,
সবাই ঘুমে, মা তখনও
গোছাচ্ছে এক টেবিল-বই!

এমন ছবি খোকার মনে
উঠছে ভেসে অনেকক্ষণ,
কোন ছবিটা আঁকতে হবে
ভাবছে খোকার কচি মন।

 

 

মেঘনা নদী
মাইন সরকার

মেঘনা নদী খরস্রোতা টলটলা তার জল
গাংচিলেরা ডুব দিয়ে তার পায় না খুঁজে তল।
বর্ষা এলে উপচে ওঠে জলের ছড়াছড়ি
ঘাটে ঘাটে থাকে তখন কঠিন কড়াকড়ি।

পাখিরাও উড়ে উড়ে দূরের পথে হারায়
রাত্রি এলে মেলা বসে মাঝিদের ওই পাড়ায়
ঝাপটা বাতাস বয় যে তখন মনে লাগে ডর
ধানের নায়ে মহাজনে কাঁপে থরোথর।

ঝড় তুফানে ভাঙে নদী ভাঙে বাড়িঘর
চৈত্র মাসে এই নদীতেই আবার জাগে চর।
হুক্কাহুয়া শিয়াল ডাকে বসে চরের মাঝে
সকাল আসে নদী আবার নতুন রূপে সাজে।

নদীর ঘাটে মাঝিরা সব গোসল সেরে লয়
সাঁতার দিয়ে হারায় দূরে একটুও নেই ভয়
এক কাতারে কাপড় কাচে ঘাটলাজুড়ে ফেনা
বাংলাদেশের এই নদীটা সবার কাছেই চেনা।


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক

সকল