ঝরাপাতার ঘ্রাণ
- হুসাইন আহমদ
- ১৯ মে ২০২৩, ০০:০৫
প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। এই দেশ অপার সৌন্দর্যে ঘেরা। এই দেশ ছয় ঋতুর দেশ। এই দেশে একেক ঋতুতে প্রকৃতি একেক রূপ ধারণ করে। প্রতিটি ঋতুই যেন একে অপরের থেকে সুন্দর। প্রতিটি ঋতু অনন্য, অসাধারণ। বর্তমানে চলছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। তাই তো প্রকৃতিতে এখন পরিবর্তনের ঢেউ লেগে গেছে। লক্ষ করুন, গাছপালার পুরনো পাতাগুলো ঝরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, আমাদের চার পাশের মেহগনি গাছের পাতাগুলো একেবারেই পত্রহীন হয়ে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে। এই ঝরাপাতার দৃশ্যগুলো দেখতে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। ভাবতে পারেন, কারো ঝরে পড়া বা বিদায়ে ভালোলাগা কাজ করে কিভাবে? তাহলে শুনুন, সময়ের পরিক্রমায় আমাদের সবাইকেই, সব জিনিসকেই একটা সময় বিদায় নিতে হবে। কারো বিদায়ে কারো আগমন ঘটবে, পুরনো কিছু ঝরে যাওয়ার মাধ্যমে নতুন কিছু আসবে। এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। তাই প্রকৃতিতে যৌবন ফিরতে গাছপালাতে পুরনো পাতাগুলো ঝরে যাচ্ছে, নতুন পাতাগুলোকে জায়গা করে দিতে। গাছে গাছে শিমুল ফুলে ভরে যাচ্ছে। যেই ফুলগুলো প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কাড়ে, দৃষ্টি সীমাবদ্ধ করে। আর বসন্তের কোকিল গাছপালার আড়াল থেকে মিষ্টিমধুর সুরে কুহু কুহু ডাকে। তার ডাকেই প্রকৃতিপ্রেমীরা বুঝে যায় বসন্ত এসে গেছে।
আর প্রকৃতির এই পরিবর্তনগুলো কেউ লক্ষ করে কেউ লক্ষ করে না। তবে আমার মতো যারা প্রকৃতিপ্রেমী, সময় সুযোগ পেলে শহরের যানজটমুক্ত পরিবেশ, নির্মল হাওয়া আর সবুজ প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে পছন্দ করে, তারা অবশ্যই এই পরিবর্তনগুলো লক্ষ করে, অনুধাবন করে।
অতএব, আমাদের চার পাশের গাছপালার শুকনো পাতাগুলো প্রাকৃতিকভাবে ঝরে যায় নতুন পাতাগুলোকে জায়গা করে দিতে। আর সেই নতুন পাতাগুলোও একসময় বিবর্ণ হয়, শুকিয়ে যায়, ঝরে যায়। এই বিদায় ও ঝরে যাওয়া মানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং একটা বিদায় ও ঝরে যাওয়া আরেকটি নতুন কিছুকে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। তাই বিদায় ও ঝরাপাতার ঘ্রাণ বুঝিয়ে দেয়, আপন জায়গা ছেড়ে দেয়া আর সামনে এগিয়ে যাওয়া। হ্যাঁ, পেছনে কারো কারো জলে ভরা চক্ষু থাকবেই, নিজের চোখও হয়তো ছল-ছল করবে জলে, পা চলবে না সামনে, তবু যেতে হবে, চলতে হবে সম্মুখপানে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা