২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কৃষকের বুদ্ধি

কৃষকের বুদ্ধি -

এক গ্রামে থাকে এক কৃষক। তার অনেকগুলো কৃষিক্ষেত। বহু বছর ধরে কৃষিকাজে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি, আর প্রচুর পরিমাণে শস্য উৎপাদন করছেন। কৃষক কেবল ধনীই না, সন্তুষ্ট আর সুখীও। কারণ কৃষক বিশ্বাস করেন কঠোর পরিশ্রমেই সুখ অর্জন করা যায়।
এই কৃষকের তিনটি ছেলে। সবাই তার সাথে সুখে সংসার করছে। ছেলেরা কৃষিকাজে কঠোর পরিশ্রম করে এবং বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করে। যখন কৃষকের ছেলেরা বড় হলো, কৃষক তাদের সবার জন্য উপযুক্ত মেয়ে খুঁজে বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। সব ছেলেই নিজেদের সংসারে সুখী। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বড় ও মেজো ছেলে কৃষকের সম্পদের প্রতি লোভী হয়ে ওঠে। সম্পদ বণ্টন নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত মারামারি চলতে থাকে। এসব দেখে কৃষকের ছোট ছেলে খুবই দুঃখ পেল। একদিন সে তার বাবাকে এ ব্যাপারে কিছু করার অনুরোধ করল। এর সমাধান হওয়া উচিত, অন্য দুই সন্তানের মনে পরিশ্রমী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জাগাতে হবে। কয়েক দিন পর কৃষক একটা কৌশল বের করলেন। রাতে সবাই খাওয়াদাওয়ার পর তিন ছেলেকে নিজের ঘরে ডাকলেন। টাকা ভাগাভাগি করার জন্য বাবা তাদের সবাইকে একা দেখা করার কথা জানিয়েছেন ভেবে সব ছেলে বাবার ঘরে চলে গেল। কৃষক তাদের জানাল, ক্ষেতে তিনটি ভিন্ন গাছের নিচে তিন ছেলের নামে গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছেন। এটাই সম্পদের বণ্টন আর প্রত্যেককে ক্ষেতের মধ্যে তাদের নামের গাছ খুঁজে বের করতে হবে, আর গুপ্তধন জব্দ করতে হবে।
পর দিন সকালে তিন ছেলে ক্ষেতে যায়। বড় ছেলে কৃষকের বলা আমগাছের কাছে গেল। গাছের নিচে খুঁড়ে কিছু সোনার ইট পেল। এটা দেখে সে খুশি হলো। স্ত্রীর সহায়তায় সে সব ইট তুলে বাড়ির গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখল।
মেজো ছেলেটা গেল ক্ষেতের নিমগাছে। এই গাছের নিচে জায়গা খনন করতে গিয়ে সে কিছু রুপার বাসন খুঁজে পায়। কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘরের সব বাসনপত্র লুকিয়ে রাখল।
ছোট ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে ক্ষেতের বরইগাছের কাছে গেল। সেখানে খননের সময়, তারা একটি লোহার লাঙ্গল আর বিভিন্ন লোহার সরঞ্জাম পেল, যা কৃষিকাজে ব্যবহার করতে পারবে। এই সরঞ্জামগুলো দেখে, ছেলেটি বুঝতে পারল বাবা তাকে কী করতে বলছেন।
বড় ছেলে ও মেজো ছেলে সোনার ইট ও রুপার পাত্র বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করল। কিন্তু আচমকা টাকা হজম করতে পারল না। বিভিন্ন অপব্যয়ে আসক্ত হয়ে পড়ল আর কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের সংসার তছনছ হয়ে যায়।
ছোট ছেলে এসব দেখে খুব দুঃখ পেল। সে লোহার লাঙ্গল ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে ভালো চাষ শুরু করে। পরের বছর প্রচুর লাভবান হলো। লোহার লাঙ্গল তার জন্য সোনার লাঙ্গলে পরিণত হলো।
অবশেষে অন্য দুই ছেলে তাদের ভুলের জন্য অনুশোচনা করে আর কৃষকের কাছে ক্ষমা চাইল। কিন্তু এখন সময় কেটে গেছে। কারণ তারা এই নীতি ভুলে গেছে যে, কষ্ট ও পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করলে সেই অর্থ সুখ নিয়ে আসে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায় বরিশালে সালাতুল ইসতিসকার আদায় অর্ধ শতাব্দীতে ভ্যাকসিন সাড়ে ১৫ কোটি লোকের জীবন বাঁচিয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আল্লাহর রহমত কামনায় সকলকে সিজদাহ অবনত হতে হবে-মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা ভাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল