১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগডুম-বাগডুম : কবিতা

-


বৃষ্টির ছড়া
নজরুল ইসলাম শান্তু

আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর
ফসল ফলা মাঠে
টিনের চালে গাছের ডালে
কাজল দীঘির ঘাটে।

আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর
শান্ত নদীর বাঁকে
হৃদয় কাড়া শব্দ গেঁথে
কালো মেঘের ডাকে।

আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর
পল্লী শহরজুড়ে
স্নিগ্ধ শীতল পরিবেশে
পাগল করা সুরে।

আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর
রাখাল গরুর পালে
দুষ্টু খুকির পায়ের নূপুর
মুচকি হাসা গালে।

আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর
জলদি করে আয়
তোর পানে যে রয় তাকিয়ে
সবুজ পল্লী মা’য়।

 


কাচের ন্যায় জীবন
মাহবুব-এ-খোদা

শখের বশে কিনে ছিলুম একটি জলের পাত্র,
এক্কেবারে কাচের ওপর নকশি করা গাত্র।
দুধ শরবত জল খেয়েছি মাঝেমধ্যে ঘোলও
দিন সপ্তাহ মাস কাটিয়ে বয়স বছর ষোলো!

তার সাথে বেশ সখ্য আমার ষোলো কলায় পূর্ণ,
হায় বিধিবাম আমার হাতে ভেঙেই হলো চূর্ণ!
ফেলতে গিয়ে টুকরোগুলো ভার হয়েছে মাথা,
সে ও আমার একই জীবন একই-সূত্রে-গাঁথা!

ভাঙা পাত্র অপাঙ্ক্তেয় কেউ রাখে না ঘরে,
তেমনি মানুষ ঘর ছাড়া হয় দম ফুরানোর পরে।
কাচের কণায় চেয়ে দেখি স্বার্থপরের দ্রুতি,
এই বুঝি হয় মহৎ জীবন শুনি যাদের শ্রুতি।

 


রকি গৌড়ির দু’টি ছড়া
ভুঁঁড়িওয়ালা ভূতটা

ভুঁড়িওয়ালা ভূতটা
হেঁটে যায়, হেঁটে যায়,
ছন্দটা তালে-তাল
পেট তার নেচে যায়।
ভয় পেয়ে প্রজাপতি
পাখি সব উড়ে যায়।

ভুঁড়িওয়ালা ভূতটা
হেসে যায়, হেসে যায়,
লোভে ভরা চোখ তার
জ্বলে যায়, জ্বলে যায়।
ছন্দটা তালে-তাল,
মুখ তার খেয়ে যায়।
উপোষ ভূতেরা সব,
কেঁদে যায়, কেঁদে যায়।


ছোট্ট খোকা

আমি এক ছোট্ট খোকা,
দাঁত খেয়েছে দুষ্টু পোকা।
তবু আমি হাসতে জানি,
বাবা-মার কথা শুনি।
জেনো আমি নয়তো বোকা,
বলে আমায় ছোট্ট খোকা।
আমি হাত ধুতে জানি,
পড়াশোনা বন্ধু মানি।

 


দোলা লাগে প্রাণে
আহসান হাবিব সিরাজী

ফুলবাগানটা ভরে গেছে
নানা রকম ফুলে,
প্রজাপতি উড়ছে দেখো
ডানা দুলে দুলে।

ফুলের বুকে বসে তারা
নাড়তে থাকে ডানা,
কত সুন্দর সৃষ্টি রবের
নেইতো দেখতে মানা।

ফুলে ফলে পাখির গানে
পৃথিবীটা ভরা,
প্রভু তোমার নিপুণ হাতে
সকল কিছুই গড়া।

সবুজ-শ্যামল তৃণভূমি
পাখির গানে গানে,
নামটা তোমার শুনলে প্রভু
দোলা লাগে প্রাণে।

 


ঝিঁঝিঁপোকা
ইরফান হোসাইন তানভীর

ঝিঁঝিঁপোকা নূপুর বাজায়
কাঁঠালগাছের শাখে,
একটা ঝিঁঝিঁ এনে দিতে
বলছে খোকা মা’কে,

মা বলেছে ঝিঁঝিঁপোকা
যাবে না তো ধরা,
মন মানে না খোকন সোনার
পড়বে না তাই পড়া।

ঝিঁঝিঁপোকা সাথে নিয়ে
করবে খোকন খেলা,
ভারি মজা হবে খোকার
কাটবে মুধুর বেলা,

ঝিঁঝিঁপোকা খুঁজে পেতে
উঠছে খোকা ডালে,
ঝিঁঝিঁপোকার শব্দে খোকা
দুলছে তালে তালে।

খোকন সোনা ঝিঁঝিঁপোকা
পেলে অবশেষে,
ভারি মজা হবে তখন
বলছে হেসে হেসে।

 


আমার স্বাধীনতা
শাহীন খান

আমার স্বাধীনতা ঝিঁঝিঁ ডাকা দুপুর
খুকুর সোনার নূপুর
ফুলপাখি সব, খুশি উৎসব
নাকের নোলক ফুপুর।

আমার স্বাধীনতা কাব্য ছড়া গীতি
শহীদ ভায়ার স্মৃতি
চাঁদ আর তারা, ঝরনাধারা
স্বপ্নমাখা তিথি।

আমার স্বাধীনতা মুজিব আশা
নিটোল ভালোবাসা
বুকের প্রদীপ, স্বর্ণালি দ্বীপ
সুখটা বুকে ঠাসা।

আমার স্বাধীনতা এত্ত মজার খেলা
শ্রাবণ মাসের ভেলা
শাপলা শালুক, হৃদয় তালুক
হাজার বইয়ের মেলা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল