২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বসন্তের বর্ণিল ছোঁয়া

-

প্রকৃতি তার জড়তা কাটিয়ে দখিনা বাতাসে জানান দেয়- এসেছে নতুন ঋতু। গাছের ডালে কোকিলের ডাক আর ফুলে ফুলে যেন মিষ্টি ঘ্রাণে জানান দেয় ফাল্গুনের আগমন। শীতকে বিদায় জানাতে ঋতুরাজ বসন্ত এসে হাজির হয়ে যায় নতুন রূপে প্রকৃতির মাঝে। কোকিলের কুহুতান, দখিনা হাওয়া, ঝরাপাতার শুকনো নূপুরের নিক্কণ, প্রকৃতির মিলন এ বসন্তেই। বসন্ত মানেই যে পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা।
সারি সারি গাছে নানা রঙের ফুলের আগমন জানান দেয় বসন্ত এসে গেছে। চার দিকের বর্ণিল সাজ আর রঙের পসরাতে ভিন্ন এক মাদকতা কাজ করে সবার মাঝে। তাই তো কবির ভাষায় বলা হয় ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। ঋতুরাজ এ বসন্তে শুধু প্রকৃতি নয় মানুষও সেজে উঠে প্রকৃতির সাথে।
শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ সবুজ কচিপাতার ধীর গতিময় বাতাস জানান দেয় নতুন লগ্নের। ফাল্গুনের আগমনে পলাশ, শিমুল গাছে লেগেছে আগুনে খেলা। মধুর বসন্তের সাজ সাজ রব সর্বত্র। পুরো প্রকৃতিতে চলছে ‘মনেতে ফাগুন এলো’ আবহ।
বসন্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনাতীত। শীতের নির্জীব প্রকৃতি যেন সহসা প্রাণ পায়। পাতাশূন্য গাছগুলো সুশোভিত হয় নতুন পত্রপুষ্পে। ফুলের গাছগুলোতে শোভা পায় রঙবেরঙের বিচিত্র সব ফুল। গোলাপ, শিমুল, অশোক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার রক্তিমতায় সেজে ওঠে পুষ্পকানন। আমগাছে মুকুল আসে। সবুজের সমারোহে ভরে যায় মাঠ-দিগন্ত। মৃদু বাতাসে দুলে ওঠা ধানের শীষগুলো কৃষকের মনেও দোলা দিয়ে যায়।
বসন্তের মনকাড়া প্রকৃতি- পুষ্পপল্লবে ভরা গাছগাছালি কোকিলের সুমধুর কণ্ঠে যেন জোয়ার এনে দেয়। কুহু তানের সুরলহরিতে সে মাতিয়ে রাখে সারা পাড়া। বৃক্ষ থেকে বৃক্ষে- এক ডাল থেকে আরেক ডালে উড়ে উড়ে গেয়ে বেড়ায় সুখের গান। ভ্রমরের গুঞ্জন- পাপিয়ার পিউ পিউ ডাক যেন কোকিলের কুহুতানে একাত্ম হয়ে মুখরিত করে তোলে চার পাশ। আমবাগানে-তরুলতা বনে পাখির কলরবে সৃজিত হয় ‘মন কেমন করা’ সুরের মূর্ছনা।
বস্তুত গ্রীষ্মকালের ফলফলাদির জমজমাট বাজারের প্রস্তুতি পর্ব হলো বসন্তকাল। এই সময়ে গজিয়ে ওঠা মুকুলই গ্রীষ্মকালে এসে পরিপূর্ণ ও পক্ব ফল হয়ে আমাদের হাতে আসে। তাই বসন্তে খুব বেশি ফলের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ আমাদের হয়ে ওঠে না। ফুটি, তরমুজ, খরমুজ, ডাব ইত্যাদি এই ঋতুর প্রধান ফল। বসন্তকালে পরিবেশ থাকে স্বস্তিকর ও আনন্দদায়ক। প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠতে হয় না আবার ঠাণ্ডার তীব্রতায় লেপ-কাঁথা মুড়ি দিতে হয় না। নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যায় খোলা আকাশের নিচে। রাত নামলে তারার মেলা বসে। ঝলমল করে জ্বলতে থাকে আকাশের বুকে। দলে দলে জোনাকি বের হয়- যেন শত শত প্রদীপ্ত মশাল। আকাশের স্থির তারকারাজি আর জোনাকির রঙিন মশাল এক মুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা করে! মনোরম এই প্রকৃতির কারণে বসন্তকালকে ‘ঋতুরাজ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল