২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের অবদান

-

সত্যের সঙ্গে প্রতিদিন সেøাগানকে ধারণ করে দৈনিক নয়া দিগন্তের দেড় যুগ পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ২৫ অক্টোবর। ওই দিন সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সব ধরনের মানুষের এক মিলনমেলা বসে নয়া দিগন্তের কার্যালয়ে। ওই অনুষ্ঠানে দেশের তৈরী পোশাক খাতের প্রথম কয়েকজনের অন্যতম উদ্যোক্তা, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও নয়া দিগন্তের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ সভাপতির বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। একই সাথে বিজ্ঞানীদের স্মৃতিবিজড়িত জন্মস্থান ও কর্মক্ষেত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপরও গুরুত্বরোপ করেন। তার ওই বক্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানের সভাপতি, উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, সম্মানিত পাঠক, লেখক ও সুধীবৃন্দ আপনারা যারা অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও আমাদের এখানে হাজির হয়ে আমাদের বেগবান করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সংবাদপত্রের কাজটি কী, কাজটি সংবাদ পাঠকের দৌরগোড়ায় ব্রেকফাস্টের সময় পৌঁছে দেয়া। দুপুর পার হওয়ার সাথে সাথে কেউ আর তা কেনে না। তবে মফস্বলের কথা আলাদা। আমার ব্যক্তিগত ছোট দু’টি উদাহরণ দিতে চাই। লন্ডনে বসবাসরত আমাদের পরিচিত খুবই সজ্জন ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ পাই প্রায় দুই বছর পর। তার কোনো এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু একটি ম্যাগাজিনের আর্টিকেলের মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করেছেন। গত সপ্তাহে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এক সিনিয়র দম্পতি। পরে জানলাম উনি আমার সহপাঠী। উইনস্টন চার্চিল বলেছেন, অতীতে যতদূর যাবেন ভবিষ্যতেও ততদূর দেখতে পারবেন। তাই আমরা অতীতের গৌরবোজ্জ্বল দিনের কথা স্মরণ করে ভবিষ্যতে উজ্জ্বল দিনের কথা চিন্তা-চেতনায় ঢুকতে পারি। হেনরি সাহেব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদ পাঠাতে বলেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একজন অঙ্কশাস্ত্রবিদের নাম মনোনীত করে হেনরি সাহেবের কাছে পাঠালেন। তিনিই ছিলেন খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক, যিনি হেন্ড্রিক্স ক্ল্যাসিফাইড ফিঙ্গার সিস্টেম বা হস্তছাপ রক্ষণের মাধ্যমে অপরাধী শনাক্তকরণের উদ্ভাবক বলে পরিচিত। কিন্তু হেনরি সাহেব আবিষ্কারক হিসেবে নিজের নাম চালিয়ে দিয়েছিলেন।

আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় সিআইই, এএনআই, এফআরএএসবি, এফআইএস, এফসিএস ছিলেন একজন প্রখ্যাত রসায়নবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক ও কবি। তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কারি নাইট্রেটের আবিষ্কারক। দেশী শিল্পায়ন উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি। খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক ও আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাদের দু’জনেরই বাড়ি ছিল খুলনায়।
সর্বপ্রথম উদ্ভিদে প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেছিলেন তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক বিজ্ঞানী এবং বাংলার গর্ব আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু। ১৯০০ সালের আগে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু শুধু পদার্থবিজ্ঞান নিয়েই গবেষণা করতেন। একপর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি তার জীব বিজ্ঞানের প্রতিও তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার একপর্যায়ে তার মনে হলো বিদ্যুৎ প্রবাহে উদ্ভিদও উত্তেজনা অনুভব করে এবং সাড়া দিতে পারে। সাড়া দেয়ার মতো ক্ষমতা শুধু প্রাণীর আছে এ কথাটি সত্য নয়, উদ্ভিদও সাড়া দিতে পারে; অর্থাৎ উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। ১৯০১ সালের ৬ জুন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু রয়েল সোসাইটির এক সেমিনারে বক্তৃতা দেন। বক্তৃতার বিষয়বস্তু- ‘অজৈব বস্তুর বৈদ্যুতিক সাড়া’ (Electric Response of Inorganic Substances)। পরের বছর ২০ মার্চ তিনি লিনিয়াস সোসাইটির এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এবারে সরাসরি উদ্ভিদের কথা বলা হয়। সেমিনারের বিষয় ছিল- ‘যান্ত্রিক উত্তেজনায় সাধারণ উদ্ভিদের বৈদ্যুতিক সাড়া’ (Electric Response in Ordinary Plants Under Mechanical Stimulus)। বিভিন্ন অবস্থায় উদ্ভিদ কেমন সাড়া দেয় তা দেখার জন্য বিজ্ঞানী বসু গাজর, মুলা, বাদাম, শালগম, বেগুন, ফুলকপিসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করেন। উদ্ভিদের বৈদ্যুতিক সাড়া এবং বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য তিনি একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যার নাম অনুরণন মাপক (Resonant Recorder)। ১৯১০ সালের দিকে বিজ্ঞানী বসু তার গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল একটি বই আকারে প্রকাশ করেন। বইটির নাম ‘জীব ও জড়ের সাড়া’ (Response in the Living and Non-Living)। আর এভাবেই জগদীশ চন্দ্র বসু সমগ্র বিশ্বে সামনে তুলে ধরেন একটি শাশ্বত সত্য, ‘উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে’। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে রেডিও বিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে অভিহিত করে। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
দেখুন শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ যে বাড়িতে বসে লিখেছিলেন সেটি এখন পর্যটন কেন্দ্র। রবার্ট দ্যা ব্রুস কিং অব কিংস। তিনি বানুকবার্নের যুদ্ধে ইংরেজদেরকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ যুদ্ধের আগে তিনি ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। গুহার মধ্যে একটি মাকড়সা তাকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। তিনি দেখলেন গুহার ভেতরে একটা মাকড়সা প্রবল বাতাসের মুখে এক শ’ বার চেষ্টা করার পর জাল বুনতে সক্ষম হলো। এর পরই তিনি মনোবল শক্ত করে যুদ্ধ করেন, যে যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন। ওই গুহাটি এখন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। আমরা কিন্তু বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল কবি জসীমউদ্দীনের সোজন বাদিয়ার ঘাট যে জায়গায় বসে লিখেছিলেন ওই জায়গাটি সংরক্ষণ করেনি, বানায়নি পর্যটন কেন্দ্র। অথবা কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় রানীর দিঘির পাড়ে বসে কবিতা বা গান লিখেছিলেন। তাদের এসব ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের জন্য আমরা কিছুই করিনি।

আমরা প্রফেসর আবদুস সাত্তার খানের কথা স্মরণ করি। তিনি একজন বিখ্যাত মহাকাশ গবেষক। তার বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তার বিশেষ আবিষ্কার উইংস অব অ্যারোমেটিকস যেটা জেট প্লেনে ব্যবহার হয়। তিনি নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস ও অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে, যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
খন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলো হলো গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানির জন্য কম খরচে সোলার ওয়াটাার পেস্টুরাইজার, অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসার জন্য ইলেকট্রিক্যাল থেরাপি ডিভাইস, কম্পিউটারাইজড ইএমজি ডিভাইস, ডায়ানোমিক পেডোগ্রাফ, ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপ, ইলেকট্রো-হেলথ ডিভাইস, ইন্ট্রা-অপারেটিভ নিউরোমনিটর ও টেলিমেডিসিন।
বিশ্বের অন্যতম উঁচু অট্টালিকা শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ারের (বর্তমানে উইলিস টাওয়ার) নকশা প্রণয়ন করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান বাংলাদেশের এফ আর খান, ক্ষুদ্রঋণের জনক শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূসের বিশ্বের মডেল ‘গ্রামীণ’, স্যার ফজলে হাসান আবেদের ‘ব্র্যাক’ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও।
ডা: মো: রফিকুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশী চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী। তিনি ডায়রিয়া নিরাময়ের জন্য খাওয়ার স্যালাইন (ওরস্যালাইন) আবিষ্কারের জন্য পরিচিত। ডায়রিয়ার হাত থেকে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানোর কৃতিত্ব পায় এই খাবার স্যালাইন (ওআরএস)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮০ সালে ডা: রফিফুল ইসলামের এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয়। জনস্বাস্থ্যে খাবার স্যালাইনের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যান্সেট’ এটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছিল। তিনি মতলবের ফিল্ড থেকেই এ ওরস্যালাইন আবিষ্কার করেছেন। আর আইসিডিডিআরবি এ খাবার স্যালাইনের মাধ্যমে পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, ডা: রফিকুল ইসলাম এবং তার দীর্ঘ দিনের কর্মক্ষেত্র আইসিডিডিআরের নোবেল না পাওয়া নিয়ে।

আমি একটি মূল গল্প বলার জন্য আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। জামর ১৭৬২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি এক ইংরেজ দাস ব্যবসায়ীর কবলে পড়ে পাচার হয়ে যান। প্রথমে জাহাজে করে তাকে নিয়ে আসা হয় আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। সেখান থেকে এক দাস ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ফ্যান্সে।
অতঃপর বিক্রি করে দেয়া হয় ফ্রান্সের তৎকালীন রাজা পঞ্চদশ লুইয়ের কাছে। পঞ্চদশ লুই জামরকে তার উপপতœী মাদাম ব্যারির কাছে হস্তান্তর করেন। মাদাম ব্যারি জামরকে পছন্দ করতেন। তিনি জামরকে পড়াশোনা করার সুযোগ দেন। তার উৎসাহ ছিল দর্শন ও সাহিত্যে। জামরের সাথে প্রথম পরিচয় হয় একই বইয়ের মাধ্যমে। তখন আমি জার্মানে একজন পণ্ডিত ব্যক্তির সহকারী হিসেবে কাজ করি। জামর ফরাসি বিপ্লবের বিপ্লবী কাউন্সিলের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ম্যাদাম ব্যারির ট্রায়ালের সময় জামর রাজসাক্ষী ছিলেন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষী হিসেবে বলেছিলেন আমি আফ্রিকান নই, আমি চিটাগাংয়ের মানুষ। তিনি মাতৃভূমিকে ভোলেননি।
বিচারে ম্যাদাম ব্যারির শির-েদ করা হয়। জামরেরর দুটো গুণাবলি ছিল। আর তা হলো, তিনি নিজেকে সমসময় অন্যের সমান মনে করতেন এবং কিং লুইস দি ফিফট্রিনকে বস মনে করতেন। নেপোলিয়নের রাজত্বের সময় তিনি প্যারিসের বাইরে ছিলেন। পরে তিনি প্যারিসে এসে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। এত বছর পরে কিভাবে তাকে আবিষ্কার করলাম। আর তা হলো ইউটিউবের বদৌলতে। আর এ ইউটিউবের কো-ইনভেন্টর বাংলাদেশের জাভেদ করিম এবং প্রথম আফলোডার হলেন তিনি।
এ দিকে ট্রেন চলবে কিন্তু ট্রেনের চাকা লাইন বা ট্রাক স্পর্শ করবে না। চুম্বকের সাহায্যে এটি এগিয়ে চলবে এবং গন্তব্যে পৌঁছাবে চোখের পলকে। বিশ্বের পরিবহন সেক্টরে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং বাস্তব এটি। আর এর পুরো কৃতিত্ব একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। নাম তার ডা: আতাউল করিম। বিশ্বের সেরা ১০০ জন বিজ্ঞানীর একজন। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিসংলগ্ন ভার্জিনিয়ার নরফোকে অবস্থিত ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) তিনি। ড. আতাউল করিমের এ সাফল্যের কাহিনী মার্কিন মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবন করে সারা বিশ্বে চিকিৎসা জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। নাম তার রেজাউল করিম। তার এ নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবনের ফলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসায় যে মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে ওষুধ উদ্ভাবনের চেষ্টা করা হচ্ছে, তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অনকোলজির পিএইচডি গবেষক রেজাউল করিম এ তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন। তার এ তত্ত্বসংক্রান্ত গবেষণাপত্র আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের ক্লিনিক্যাল ক্যান্সার রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

আমরা জামরের জন্মস্থান কখনো খোঁজেনি। যেমন চার্লি চাপলি বাংলা টাউনের কোনো এক জায়গায় জন্মেছে। বাংলা টাউনও এখন পর্যটন কেন্দ্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিচারের বিচারক ছিলেন জাস্টিস রাধা বিনোধ পাল। যার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার ন্যায়বিচারের জন্য তাকে সম্মানের জায়গায় বসিয়ে জাপানিরা আমাদের ভালোবাসেন, সম্মানের চোখে দেখেন। আর একজনের কথা না বললেই নয়। তিনি বিবিসির সিরাজুর রহমান আমাদের পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান অনস্বীকার্য। সর্বশেষ সিলেটের মশারফ আলী ১৯৪৫ সালে শিপ জাম্পার ছিলেন। তিনি লন্ডনে ৩৯টি রেস্টুরেন্ট খোলেন এবং লন্ডন ডেইলি নিউজপেপার টাইম ম্যাগাজিনে চারবার ম্যান অব দ্য ইয়ার হয়েছেন। দেশের জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য।


আরো সংবাদ



premium cement