আগডুম-বাগডুম : কবিতা
- ০৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
শ্রাবণ সন্ধ্যায়
বদরুল হক
কী মনোহর শ্রাবণ সন্ধ্যা ফুলের সুবাস ভাসে,
দিনের শেষে ক্লান্ত পাখি আপন কুলায় আসে।
রাখাল ফেরে মাঠ হতে তার গরু-বাছুর নিয়ে,
গৃহবধূ প্রদীপ জ্বালে ঘোমটা মাথায় দিয়ে।
ধীরে ধীরে আঁধার নামে শিয়াল হাঁকে বনে,
জোনাক জ্বলে ঝিঁ ঝিঁ ডাকে আনন্দিত মনে।
হুতোম পেঁচা এদিক ওদিক সাথীকে তার খোঁজে,
বিরহে তার মনটা পোড়ে কেহ নাহি বোঝে।
মৃদুমন্দ সমীরণে বৃক্ষশাখা দুলে,
মনের সুখে বাতায়নটা কেউবা রাখে খুলে।
সবাই ফেরে ঘরে তখন থাকে নাকো দূরে,
কূজন করে পাখিরা সব মিষ্টি মধুর সুরে।
বৃষ্টি ঝরে সারাবেলা কখনো না থামে,
সময় যখন বাড়তে থাকে অঝোর ধারায় নামে।
টিনের চালে যখন পড়ে বাজনা যেন বাজে,
মন বসে না তখন কারো গৃহের কোনো কাজে।
মেঘে ঢাকা আকাশখানি কৃষ্ণ বরণ থাকে,
তারারা সব উঁকি মারে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে।
ঝরো ঝরো বৃষ্টি ঝরে প্রাণটা উদাস করে,
স্মৃতি ভাসে হৃদয় কোণে আঁখি বেয়ে ঝরে।
প্রভাত বেলা
মেশকাতুন নাহার
পুব আকাশে রাঙা সূর্য
পাখি উঠে ডেকে,
ভোর হয়েছে খুকী এবার
ওঠো নিন্দ্রা থেকে।
শুরু করো দিনটা তোমার
প্রার্থনা পাঠ দিয়ে,
সারাবেলা ভালো কাটুক
হাসি খুশি নিয়ে।
দুয়ার খুলে বাহির পানে
দেখো কেমন লাগে,
ফুলে ফুলে ভরে গেছে
উঠানে রোদ জাগে।
ফুল পাখিরা ডাকছে তোমায়
মিষ্টি গানের সুরে,
কৃষক কাজে নামল মাঠে
চেয়ে দেখো দূরে।
প্রকৃতির রূপ দেখে তুমি
অনেক কিছু শেখো,
প্রভাত বেলা ভ্রমণ করে
গল্প একটা লেখো।
স্বপ্ন দেখা ভালো
কাব্য কবির
বুকের ভেতর ভালোবেসে
স্বপ্ন করি চাষ
লাল সবুজের বাংলাদেশে
করি বসবাস।
শিশির ভেজা স্বপ্ন আমার
ঝিলমিলিয়ে হাসে,
পাখির মতো উড়ে যেতে
সবাই ভালোবাসে।
বড় কিছু হবার স্বপ্ন
রঙিন মনে বুনি,
স্বপ্ন দেখা খুবই ভালো
বলে জ্ঞানীগুণী।
বোকা কাক
এম হাবীবুল্লাহ
মাংস মুখে কাকটা ছিল গাছের ডালে বসা
তাই না দেখে শেয়াল মামার শুরু হিসাব কষা
নিচে থেকে শেয়াল বলে, বাহ্ কী রূপের পাখি
বডির সাথে ম্যাচ করেছে কাল দুটো আঁখি।
এই পাখিটা চিকন সুরে গাইত যদি গান
আশেপাশে সকল প্রাণীর কেড়ে নিত প্রাণ।
প্রশংসাতে ভিজে গিয়ে বলল মুখে কা
পড়ে গেল মাংসটা তার মুখে রইল না।
ফন্দিটা বেশ লাগল কাজে মাংস পেল শেয়াল
ওপর থেকে কাক বেচারা করল এসব খেয়াল
নিজকে নিজেই গালি দিলো ভাবল বোকা ঢের
আর পাবে না কাকের নাগাল মাংস আনলে ফের।
ছেলেবেলার ঋণ
রফিকুল নাজিম
বন্ধু তোরা কোথায় আছিস
কেমন আছিস বল?
তোদের কথা পড়লে মনে
চোখে আসে জল।
সেই তো ছিল মজার বেলা
হল্লাহাটির দিন,
দিনে দিনে ঝাপসা হচ্ছে
ছেলেবেলার ঋণ।
কেমন করে যাচ্ছে ক্ষয়ে
প্রাণের বাঁধন সেই
তোরা ছাড়া একলা ভীষণ
আমি ভালো নেই।
আয় রে সবে গাছের তলে
বানাই পাতার বাঁশি
হাওয়ার কানে বাঁশির সুরে
বলি ভালোবাসি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা