আগডুম-বাগডুম : কবিতা
- ২৯ জুলাই ২০২২, ০০:০০
ঝুমঝুম বর্ষা
শামীম খান যুবরাজ
ঝুমঝুম বর্ষায়- নেচে ওঠে মন
ছন্দের রিনিঝিনি- শুনি সারাক্ষণ
ব্যালকনিতেই বসে বিকেল কাটাই
বৃষ্টিতে ভিজতে মনকে পাঠাই।
মন ভেজে মন ফিরে
সুখ সুখ ধীরে ধীরে
মহাসুখে হাসি,
ঝুমঝুম বর্ষা-
খুব ভালোবাসি।
এই শ্রাবণে
নাসরীন জামান
আষাঢ় গেলো শ্রাবণ এলো
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি
আর আসে না, মন হাসে না
যায় না দূরে দৃষ্টি।
মেঘের মায়া কাজল ছায়া
দূর আকাশে শান্ত
মন ভরিয়ে জল ঝরিয়ে
হয় না এখন ক্লান্ত।
শ্রাবণ মানে সবাই জানে
মেঘ মেদুরে কান্না
সেই শ্রাবণে আর ঝরে না
মুক্তা মণি পান্না।
আকাশ ছায়ে আদুল গায়ে
তাইতো হাসে সূর্য
সেই হাসিতে মেঘরাশিতে
বাজল রণ তূর্য।
ডাকল দেয়া ফুটল কেয়া
ঝরল বারি ছন্দে
আঁকল কবি শ্রাবণ ছবি
কাব্যে ভালো মন্দে।
ঝুমঝুম বৃষ্টি
গোলাম আযম
ঝুমঝুম ঝুম বৃষ্টিতে হায়
ভিজে টিনের চাল,
সারা অঙ্গ ভিজে খুকির
রাঙা দু’টি গাল।
মৃদু বায়ুর ঝলকানিতে
টাপুরটুপুর ঝরে,
ছেলে বেলার দস্যিপনা
দেখলে মনে পড়ে।
ঝিরিঝিরি ছোঁয়া পেয়ে
মনের ফড়িং নাচে,
দুরন্ত মন ছোঁয়া পেয়ে
পৌঁছাতে চায় কাছে।
রঙধনু সাত রঙে বিভোর
মনটা তখন হয়,
গুনগুনিয়ে মনের সুখে
খুকি কথা কয়।
শ্রাবণধারা
এম এ জিন্নাহ
শ্রাবণধারা বইছে আজি
ঝুম ঝুমা ঝুম বৃষ্টিতে;
কালো মেঘের ভিড় জমেছে
খোদার অসীম সৃষ্টিতে।
শাপলা হাসে গা ভাসিয়ে
জলে ভরা পল্লোবে;
সারি সারি তরি চলে
উজান স্রোতের কল্লোলে।
প্রভাত বেলার পুষ্পমালা
হাসছে হাসি মিষ্টিতে;
সবুজ সাজের রং বাহারি
মুগ্ধ করে দৃষ্টিতে।
পথের বাঁকে নদীর বাঁকে
টাপুরটুপুর ছন্দতে;
মন উদাসে হারিয়ে থাকি
কদম কেয়ার গন্ধতে।
বর্ষাকালে
রফিকুল ইসলাম
কথা ছিল বর্ষাকালে
ব্যাঙের হবে বিয়ে,
ময়ূর যাবে বর যাত্রী
পেখম খুলে দিয়ে।
ট্যাংরা পুঁটি নেচে নেচে
যাবে নতুন জলে,
কচ্ছপ মামা যাবে সাথে
ধীরে কদম তলে।
আষাঢ় গেল শ্রাবণ এলো
এলো নাতো বান
মেঘ বালিকা ভুলে গেছে
বর্ষা জলের গান।
হঠাৎ এসে বললো আকাশ
কেমনে বিয়ে হবে?
আমার বাড়ি রোদ উঠেছে
চলে এসো সবে।
বর্ষার ছড়া
বিচিত্র কুমার
মেঘলা আকাশ সকাল দুপুর
বৃষ্টি পরে টাপুরটুপুর,
একলা বসে ঘরের কোণে
হাজার স্মৃতি পড়ে মনে।
রিমঝিম ঝিম বর্ষা দিনে
প্রাণ ফিরে পায় বৃষ্টি ঋণে,
জুঁই ফুলেরা কত্ত হাসে
কলমিলতা সুখে ভাসে।
ছেলেরা সব ভাসায় ভেলা
জলের ওপর করে খেলা,
মেয়েদের ওই পুতুল খেলা
আনন্দতে কাটে বেলা।
পাখির ছানা
সবুজ হোসেন
পাখির ছানা
মেলছে ডানা
উড়তে সে যে চায়।
মনের আশা
ছাড়বে বাসা
আকাশ ছুঁতে যায়!
সুরের তালে
গাছের ডালে
নাচবে সে এবার।
মায়ের কোলে
সন্ধ্যা হলে
আনবে যে খাবার।
শিলাবৃষ্টি
মো: রতন ইসলাম
মুষলধারে বৃষ্টি এলো
সাথে পড়ে শিল,
আকাশ থেকে মেঘ-শিশুরা
ছুঁড়ছে যেন ঢিল।
বাজনা বাজে টিনের চালে
উঠোনে ঠাসঠাস,
ফুলের মতো ছড়িয়ে আছে
আঙিনা চার পাশ।
তুলোর মতো দেখতে শাদা
কিন্তু খুবই হিম,
হিমের ছোঁয়ায় সবুজ পাড়ায়
তন্দ্রালু ঝিমঝিম।
শিল কুড়াতে গিয়ে হাবুর
লাল হয়ে যায় পিঠ,
তাই না দেখে পোষা পুশি
হাসতেছে মিটমিট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা