পদ্মা পেরিয়ে সোনার গাঁয়ে
- মো. আব্দুর রহমান
- ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
আজ টেলিভিশনের পর্দা থেকে একটুও চোখ সরছে না মোহনা এবং উপমার । পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখে মন উড়ছে রঙিন ধোঁয়ায় সাথে আকাশে। ওরা দুই বোন দাদু বাড়িতে কোনো দিন ঈদ করতে পারেনি। ওদের দাদুর বাড়ি মাদারীপুর। বাবা শুধু বলে, মাওয়া ঘাটে ঈদের সময় অনেক ভিড়। নদীতে ঢেউ অনেক বেশি থাকে। এই ভিড় ঠেলে এবং ঢেউয়ের ভিতরে ঈদে বাড়ি যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই! শেষ পর্যন্ত প্রতিবারই কেঁদে কেটে ওখানেই শেষ হয়েছে ওদের ইচ্ছেটুকু। শহরে পরিবেশে বড় হলেও সোনার গাঁয়ের মায়া ওদের মনে সবসময় আঁচড় কাটে।
তবে এবার ওদের সেই মনের কষ্ট দূর হতে চলেছে। বাবার কাছে বায়না ধরেছে ছোট্ট দুই টুনি। এবার আর বাবা অবশ্যই রাজি না হয়ে পারবে না। হলোও তাই। বাবা এক কথায় রাজি হয়ে গেলো! কোরবানির ঈদে দাদুবাড়ি যাবে মোহনা এবং উপমা। বাঁধ ভাঙা আনন্দে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু করলো ওরা দুই টুনি।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সেতু বলে কথা। সেই সেতুতে পার হবে, দেখবে উছলে ওঠা পদ্মার ঢেউ, পাখিদের আকাশে ভেসে বেড়ানো ছবি, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য! স্বপ্নের সেতুতে পাড়ি দেয়া মানুষের ঈদের আনন্দ বহর। সব পেরিয়ে অবশেষে পৌঁছে যাবে সোনার গাঁয়ে দাদা-দাদীর বুকে।
ধোঁয়ায় গন্ধে মাখা বোরো ধানের ভাত আর পদ্মার সর্ষে ইলিশের ঝোল মাখিয়ে খাইয়ে দেবে দাদী। বেগুনের চাক ভাজি করে দিবে আর সাথেতো মসুরের ডাল থাকবেই। আবার ওর দাদু কোরবানি দিবে। কোরবানির মাংসগুলো নিজেদের হাতে গাঁয়ের মিসকিনদের মাঝে বিলানোর ইচ্ছাপোষণ করল দাদুর সাথে দুই টুনি। বাবাও শুনে খুব খুশি হলো। সোনার গাঁয়ের পুরো দৃশ্যটা বাবার চোখে ভেসে উঠলো। যেখানে পড়ে আছে বাবার শৈশব-কৈশোর।
বাবার কাছে দুই টুনি আরো আবদার করলো, ‘চলো না দাদা-দাদীর জন্য কাপড় কিনে নেই। সাথে কিছু জাকাতের কাপড়, গাঁয়ের গরিব-দুঃখীদের হাতে তুলে দিবে বাবা। জানো বাবা আমরা বইতে পড়েছি জাকাত আদায়ের কথা।’ বাবাও মেয়েদের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে রাজি হয়ে যায়। সবার জন্য কেনাকাটা শেষ হলো। এবার শুধু যাওয়ার পালা, পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঈদের আনন্দে সেই... সোনার গাঁয়ে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা