২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগডুম-বাগডুম : কবিতা

-

প্রিয় কবি নজরুল
বারী সুমন

দুখের সাথে জীবন শুরু
মাথায় ঝাঁকড়া চুল
সবার প্রিয় কবি তিনি
কবি নজরুল।
শিশুকালে মক্তবেতে
শুরু পড়াশোনা
তখন থেকে শুরু হলো
কাব্যে আনাগোনা।
বড় হয়ে হলেন তিনি
কবি মস্ত বড়
লিখে গেছেন সবার জন্য
ছোট কিংবা বড়।

 


বই
জয়নব জোনাকি

বইয়ের পাতায় চোখটা বুলাও
শূন্য যখন মন,
হতাশায় থাকবে পাশে
হয়ে আপন জন।
জ্ঞানের সাগর পাড়ি দিতে
পড়তে হবে বই,
বইই হলো সফল হবার
বিশাল বড় মই।
যখন তখন বইয়ের মাঝে
দেই যে আমি ডুব,
বই যে আমার পরম আপন
বইকে পড়ি খুব।
ভ্রমণ কালে একা যখন
গুমোট বেঁধে রই,
মনটা ভালো করতে তখন
বন্ধু থাকে বই।
বইয়ের মাঝে গুণীজনের
গুণের দেখা পাই,
বিশ্বটাকে জানার জন্য
বইকে আমি চাই।

 


আমাদের গ্রাম
এম এইচ মুকুল

আমাদের গ্রাম খানি
সব থেকে সেরা,
সারি সারি গাছ আর
ছায়া দিয়ে ঘেরা।
পাখিদের কলতানে
সুখ জাগে মনে,
ঝিঁঝিঁ পোকা গান করে
ওই বাঁশ বনে।
জল ভরা ধলা বিল
মিটিমিটি হাসে,
কত সুখে হাঁস গুলো
তার বুকে ভাসে!
ছোট ছোট ঢেউ এসে
দোলা দেয় প্রাণে,
পাড় ঘেঁষা ধান ক্ষেত
ভরে থাকে ঘ্রাণে।
সবুজের বুক চিরে
পথ আঁকাবাঁকা,
ঠিক যেন ছবি এক
মমতায় আঁকা।

 

 


মা
নাহিদ নজরুল

ছেলে মেয়ের কিচ্ছু হলে
যার হৃদয়ে আগুন জলে
তিনি হলেন জন্মদাত্রী তোমার আমার মা
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ির নেই যার বাসনা।
মাকেই সবার প্রথম দেখা
তারই কোলে বুলি শেখা
শান্তি কিংবা দুঃখের কথা সব বলা যায় তাকে
শত হাজার দুষ্টামিতেও মা-ই আগলে রাখে।

 

 


পাতার চশমা চুড়ি
শিমুল হোসেন

রোজ বিকেলে শিশুমেলা
বড্ড লাগে মিঠে,
ভাদ্রমাসে মজার খাবার
যেমন তালের পিঠে।
মিছেমিছি গোস্ত পোলাও
রাঁধছে কত রান্না,
খোকা-খুকি দল বেঁধে সব
বিনয়-বাদল-পান্না।
রান্না-বাড়া যেমন তেমন
খুকিরা সব সাজে,
কলাপাতার চুলের বেনি
পাতার চুড়ি বাজে।
খোকার দলে তালের পাতার
চশমা ঘড়ি পরে,
শিশুর মেলা দারুণ খেলা
বিকেল শেষে ঘরে।

 


আরো সংবাদ



premium cement