২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আগডুম-বাগডুম : কবিতা

-

শহর
সৈয়দ রনো

নগর নিয়ে লিখব ছড়া
ভাবনা মাথায় ঘুরে
চতুর্দিকে অট্টালিকা
নির্জনতা দূরে।
মহল্লাতেই লক্ষ মানুষ
ধার ধারে না কারো
আপন কাজে ব্যস্ত সবাই
নেই তো সময় আরও।
একটুখানি বৃষ্টি হলে
শহর ভরা জল
পশ্চিমাদের পোশাক পরার
এটাই মনোবল ।
গরম হলে বেজায় গরম
ইট-পাথরের বাড়ি
চিন্তা করি সকাল-বিকাল
কেমনে শহর ছাড়ি ।

 

আম কুড়ানোর দল
মুস্তাফা ইসলাহী

ভাঙে ঝড়ে বৃক্ষ, খুঁটি
মরে পশু, পাখি জুটি
নিঠুর বাতাস নেয় ওড়িয়ে-
বাবুই, কাকের ঘর।
অনেক লোকের ওড়ে বাড়ি
ভাঙে মাটির কলস, হাঁড়ি
তাদের ঘাড়ে কষ্ট এসে-
বসায় দুখের কর।
কালবৈশাখীর এমন ঝড়ে
কষ্টে যাদের অশ্রু পড়ে
তাদের কথা ভুলে খুঁজি-
ঝরে পড়া ফল।
তাই আমাদের সুখ কমেনি,
এই হৃদয়ে দুখ জমেনি,
আম কুড়িয়ে সুখী আমরা
আম কুড়ানোর দল।

 

কালবৈশাখী
কে এম শাহরিয়ার

আমের পাতার চরকি ঘুরে
দমকা হাওয়ার তোড়ে,
ঝিকিমিকি রোদের খেলা
ঢেউয়ের মাথায় চড়ে।
আম কাঁঠালের গাছের তলে
শীতলপাটি মেলে,
শরীর খানা নেয় জুড়িয়ে
গায়ের ছেলেপেলে।
হঠাৎ যদি ঝরে পড়ে
কচি দু’টি আম,
কাড়াকাড়ি সবাই মিলে
আনন্দে আটখান।
অল্প দূরে বিলের পরে
ব্যস্ত সবাই কাজে,
আসবে ফিরে ঘরের পানে
দিন গড়ালে সাঁঝে।
কচি পাতার সবুজ রঙে
আলোর মাখামাখি,
তাই দেখে কি অবাক হয়ে
নাচে শালিক পাখি।
ঈশান কোণে কালো ধলো
জমলো হঠাৎ করে,
কালবৈশাখী আসে ধেয়ে
খিল দিলো সব ঘরে।

 

 

আম কুড়ানোর ধুম
শাকিব হুসাইন

একটু আগেই কী ভয়ানক
হলো ভীষণ ঝড়!
উড়িয়ে গেল কৃষাণ চাষির
চালা ঘরের খড়।
ঝড়ের শেষে দস্যিগুলোর
আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়
নেই চোখেতে ঘুম
আমবাগানে যায় পড়ে যায়
আম কুড়াবার ধুম।

 

 


ভালোবাসি মা
জয়নব জোনাকি

রাত-দুপুরে হঠাৎ আমি
কান্নাজুড়ে যখন ঘামি
দুধ পিয়াতেন মা,
নিদ্রা ভেঙে কোলে নিয়ে
ঘুম পাড়াতেন মা।
চলার পথে চলতে গেলে
একটু ব্যথা হোঁচট খেলে
কষ্ট পেতেন মা,
বুকের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে
আদর দিতেন মা।
ঝড় বৃষ্টি তুফান এলে
নির্ভরতার ডানা মেলে
আগলে রাখেন মা,
জগৎজুড়ে আপন আমার
সে যে আমার মা।
সকাল দুপুর বিকাল সাঁঝে
মা মমতার বীণা বাজে
কোথায় তুমি মা
একদিন নয় প্রতিদিনই
ভালোবাসি মা।

 


আরো সংবাদ



premium cement