অতিথি পাখির কলকাকলি
- দ্বীন মোহাম্মাদ দুখু
- ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
‘হিম হিম শীত শীত, শীত বুড়ি এলো রে, কনকনে ঠাণ্ডায় দম বুঝি গেল রে’- কবির অনুপম সুরের ব্যঞ্জনার মতো শীতের গাত্র নিংড়ানো সিক্ততায় দম ফাটার উপক্রম লগ্নে চিরসবুজ বাংলায় ছুটে আসে পরিযায়ী মেহমান। অতি সুন্দর, ছন্দিত অতিথি পাখি। অতিথিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ, জলকেলি আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে ওঠে বাংলার লাল-সাদা শাপলার শোভা নিসর্গমণ্ডিত জলাশয়গুলো।
অতিথিদের পদচারণায় অনন্য যৌবনা বাংলার সৌন্দর্য আরো বহুগুণে বেড়ে যায়।
প্রতি বছর হিমালয়ের উত্তরের দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে প্রচুর তুষারপাতের কারণে অতিথি পাখিরা লাল-সবুজে মোড়া, বদ্বীপ আকৃতির রূপসী বাংলার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। এ বাংলায় ছুটে আসা অতিথিদের মধ্যে বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়। এর মধ্যে সরালি, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক ও পাতারি অন্যতম। এ ছাড়া অন্য প্রজাতির পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি প্রভৃতি।
অতিথি পাখির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতিসহ বিলুপ্ত প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে এখানে। জলময়ূর, ডুবুরি, খোঁপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি প্রভৃতি প্রজাতির পাখি বেশি দেখা যায়।
শহরের যান্ত্রিকতা আর ধুলাবালুমুক্ত প্রকৃতি ও পাখির ছোঁয়া পেতে বাংলার লেকগুলোর পাড়ে শত শত পাখিপ্রেমীদের ভিড় জমে। ছোট-বড় আধভাঙা উঁচু ঢিবি আর জলাশয়ের পাড়ে পাখিরা ঝাঁক বেঁধে ওড়ে সাঁই সাঁই করে। পরক্ষণেই ঝপাৎ করে বসে যায় জলাধারে। কোনটি আবার সাঁতার কাটে আপন মনে। অতিথি পাখিদের দলবেঁধে উড়ে বেড়ানোর মনোহরা সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে মোটেই বোঝা যাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা