রেলগাড়ির সাতকাহন
- ইরফান তানভীর
- ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০৫, আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৩১
ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই
ট্রেন চলেছে ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই!
খ্যাতনামা কবি শামসুর রাহমানের ট্রেন নিয়ে চমৎকার এ কবিতাটি তো আমরা সবাই পড়েছি তাই না? ছন্দে ছন্দে আমরা ট্রেনের ঝক ঝক ঝক আওয়াজের সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছি সবুজ শ্যামল আমাদের গাঁও গ্রাম পেরিয়ে তেপান্তরের ঘূর্ণিপাকে। ট্রেন নিয়ে আমাদের আগ্রহেরও কমতি নেই। ট্রেন দেখতে কেমন? এটা কী করে চলে! ট্রেন কি মাঝপথে হঠাৎ থেমে যায়! আরো নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমাদের ছোট্ট মাথায়।
ট্রেন শব্দটি প্রাচীন ফরাসি শব্দ ট্রাহিনার থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে টেনে আনা। আর ট্রেনের বাংলা নাম রেলগাড়ি। রেলগাড়ির ধরন মূলত দুই প্রকারের। একটি যাত্রী পরিবহন অপরটি মালামাল পরিবহন। আমরা যাকে বলি মালগাড়ি।
যাত্রীবাহী ট্রেনের এবং মালবহনকারী ট্রেনের আলাদা আলাদা কক্ষ রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় বগি। প্রতিটি বগির একদম নিচটাতে রয়েছে আলাদা আলাদা ধাতব চাকা। চমৎকার বিষয় হচ্ছে এক বগি থেকে আরেক বগিতে যাওয়ার জন্য রয়েছে দরজা। যে দরজা দিয়ে অনায়াসে সবগুলো বগিতে ঘুরে আসা যায়। হরেক পদের খাবার এবং প্রসাধনদ্রব্য নিয়ে হকাররা রেলগাড়িতে উঠে পড়ে বেচা বিক্রির জন্য। হাঁক ছেড়ে তারা এক বগি থেকে আরেক বগিতে যায়। তারপর সেখানে কিছু বিক্রি করে চলে যায় আরেক বগিতে। কী দারুণ ব্যাপার তাই না? সত্যি খুব দারুণ ব্যাপার।
রেলগাড়ি একধরনের সমান্তরাল ধাতব পাতের উপর চালিত হয়। একে বলা হয় রেললাইন। রেললাইনের সাধারণত দুইটি পাত থাকে। লাইনগুলো কখনো একদম সোজা কখনোবা নদীর মতো কোমর বেঁকে চলে গেছে বহু দূরে।
বর্তমান আধুনিক সময়ে রেলগাড়ি চলে ইঞ্জিনের সাহায্যে। তবে একসময় রেলইঞ্জিনগুলো ছিল বাষ্পচালিত। কিছুদূর পরপর যে জায়গায় রেলগাড়ি থামে তাকে রেলওয়ে স্টেশন বলে। তবে কিছু আছে জংশন। বড় বড় শহরকেন্দ্রিক রেলগাড়ি থামার জয়গাকে বলা হয় রেলওয়ে জংশন।
আমাদের সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বাংলাদেশে প্রথম রেলগাড়ির সূচনা হয় ব্রিটিশদের হাত ধরে। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলযোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে এ দেশে রেলযুগের সূচনা হয়।
এবার পৃথিবীর প্রাচীন রেল ইতিহাসেও একটু উঁকি দেয়া যাক। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় প্রাচীন গ্রিসে ষষ্ঠ শতাব্দীতে রেল পরিবহনের ইতিহাস শুরু হয়। অপরদিকে ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানিতে প্রচলন ছিল ঘোড়ায় চালিত রেলগাড়ির। আমরা এ আধুনিক সময়ে যেসব আধুনিক রেল পরিবহন দেখতে পাই তার শুভসূচনা হয় ১৯ শতকের প্রথমে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা