২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোরবানির হুকুম গুরুত্ব ও তাৎপর্য

-

অন্যান্য ইবাদতের মতো কোরবানিও একটি ইবাদত যা নির্দিষ্ট সময়ে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ওয়াজিব হয় এবং এ ইবাদত হাসিলের মাধ্যমে মুমিন-মুত্তাকিগণ মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতে সচেষ্ট হন। এ মর্মে মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের সূরা কাউসারের ২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘তোমার প্রতিপালকের জন্য নামাজ আদায় কর এবং কোরবানি কর।’ এছাড়াও হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণনা করেন, নবী সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের ধারে-কাছেও না আসে। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩১২৩)
কোরবানি আল্লাহর প্রেমের এক অনন্য উপমা। যুগে যুগে মহান আল্লাহ্ প্রত্যেক নবী-রাসূলগণের ওপরেই এই দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন এবং এর বিধি-বিধান সব শরিয়তেই বিদ্যমান ছিল; যার ধারাবাহিকতা এখনো প্রবহমান। ইসলামে কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। আদি পিতা হযরত আদম আ.-এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের দেয়া কোরবানি থেকেই মানবেতিহাসে সর্বপ্রথম কোরবানির ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারিমের সূরা মায়িদার ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে রাসূল আপনি আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত তাদেরকে যথাযথভাবে শোনান। যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল। তাদের একজনের কোরবানি কবুল হলো। অন্যজনের কোরবানি কবুল হলো না।’ অবশ্য আমাদের উপর যে কোরবানির বিধান প্রচলিত হয়ে আসছে তা মুসলিম মিল্লাতের পিতা হযরত ইবরাহিম আ:-এর আত্মত্যাগের ঘটনারই স্মৃতিবহ।
সূরা হজের ৩৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানিকে ইবাদতের অংশ করে দিয়েছি। যাতে জীবনোপকরণ হিসেবে যে গবাদিপশু তাদেরকে দেয়া হয়েছে, তা জবাই করার সময় যেন তারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে আর সব সময় যেন মনে রাখে একমাত্র আল্লাহ্ই তাদের উপাস্য।’
হযরত আয়েশা রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সা: ইরশাদ করেছেন, ঈদুল আজহার দিন মানুষ যে কাজ করে তার মধ্যে আল্লাহ্ তাআলার নিকট সবচাইতে পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে রক্ত প্রবাহিত করা (কোরবানি করা)। (মুসতাদরেকে হাকিম: ৭৫২৩)
ইসলামী ভাষ্য মতে, মহান আল্লাহ তাআলা নবী হযরত ইবরাহিম আ:-কে স্বপ্নযোগে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কোরবানি করার নির্দেশ দেন। তিনি ভাবলেন, আমার কাছে তো এ মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল আ: ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। যখন ইবরাহিম আ: আরাফাত পর্বতের উপর তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়ে গেছে এবং তাঁর পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। তখন আল্লাহ্র হুকুম বাস্তবায়নে ইবরাহিম আ:-এর মানসিকতা আল্লাহ্র কাছে কবুল হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০-১২ তারিখ এই তিন দিন ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে ঈদুল আজহা তথা কোরবানি এক ঐতিহ্যময় স্থান দখল করে আছে।
ইসলামী শরিয়াহ্ অনুযায়ী উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ; তবে তা হতে হবে মানুষের গৃহপালিত পশু। এ ছাড়া অন্যান্য হালাল পশু যেমন- হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কোরবানি করা বৈধ নয়। উট, গরু, মহিষ সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হয়ে কোরবানি দেয়া যাবে। এ পশুগুলো একাকীও কোরবানি করা যাবে তবে এককভাবে কোরবানি করাই উত্তম। আর ছাগল, ভেড়া বা দুম্বার যে কোনোটিই সর্বোচ্চ একজনের দ্বারা কোরবানি করা বৈধ। (মুয়াত্তা মালেক, মুসলিম শরিফ)
কোরবানি যেহেতু আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা তাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য অত্যুত্তম বস্তু উৎসর্গ করার কোনো বিকল্প নেই; তাই কোরবানির পশু নিখুঁত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা হযরত বারা ইবনে আজিব রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা: হাত দিয়ে ইশারা করেছেন এবং বলেছেন, চার ধরনের পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না। সেগুলো হলো, যে পশুর এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট, যে পশু অতিশয় রুগ্ণ, যে পশু সম্পূর্ণ খেআড়া এবং যে পশু এত শীর্ণ যে তার হাড়ে মজ্জা নেই। (সহীহ্ ইবনে হিব্বান : ৫৯১৯)
অন্য এক হাদিসে হযরত আলী ইবনে আতি তালিব রা: বলেন, ‘রাসূল সা: আমাদের শিং ভাঙা বা কান কাটা পশু দিয়ে কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২২৭)
পরিশেষে বলা যায়, লোকদেখানো বা নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য কোরবানি নয় বরং অবলা পশুকে জবাইয়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে মনের পশুত্ব ও অহংবোধকে কোরবানি করাই মুসলিম উম্মাহ্র ব্রত হওয়া উচিত।
ঈদুল আজহা; যা কোরবানির ঈদ বা বকরা ঈদ নামে পরিচিত। কোনো কোনো মুসলিম দেশে এটি ঈদুজ্জোহা, ঈদুল কোরবান বা ঈদুল নাহর নামেও অভিহিত করা হয়। পবিত্র কুরআনুল কারিমে সরাসরি কোরবানি শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না তবে ‘কোরবান’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আর হাদিসে কারিমায় ‘কোরবানি’ শব্দটি ব্যবহৃত না হয়ে ‘উযহিয়্যাহ্’ ও ‘যাহিয়া’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এ জন্যই কোরবানির ঈদকে ‘ঈদুল আজহা’ বলা হয়। আরবি ‘কোরবান’ শব্দটি ‘ফারসি বা উর্দু ভাষায় ‘কোরবানি’ রূপে ব্যবহার করা হয়, যার অর্থ নৈকট্য। আর পারিভাষিক অর্থে ‘কোরবানি’ ওই মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করা যায়। প্রচলিত অর্থে ঈদুল আজহার দিন আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির লাভের উদ্দেশ্যে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক যে পশু জবেহ করা হয়, তাকে কোরবানি বলা হয়। কোরবানি মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ইবাদাত। ঈদের দিন প্রত্যুষে সূর্য উপরের দিকে ওঠার সময়ে কোরবানি করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আজহা’ও বলা হয়ে থাকে। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে বিশ্ব মুসলিমগণ এই উৎসব পালন করে থাকেন। নবী সা: বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহীহ্ মুসলিম ও সুনানে তিরমিযি)
ঈদ আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নির্দেশিত। এ দিনের বিশেষ ‘আমল হলো আল্লাহ্র ওয়াস্তে কোরবানি করা। এ দিনে কোনো মুসলমান নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে।’ (সূরা হজ : ৩৪)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা: বলেছেন, আমাকে ইয়াওমুল আজহার আদেশ করা হয়েছে। (অর্থাৎ এ দিবসে কোরবানি করার আদেশ করা হয়েছে।) (মুসনাদে আহমদ: ৬৫৭৫)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সা: মদিনার ১০ বছরের প্রতি বছরই কোরবানি করেছেন। (জামে তিরমিযি: ১৫০৭, মুসনাদে আহমদ: ৪৯৫৫) নবী সা: বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাযাহ্: ৩১২৩)
এ কোরবানি কেবল পশু কোরবানি নয়; নিজের আমিত্ব, পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, হীনতা, দীনতা, নীচতা, অহঙ্কার, স্বার্থপরতা ত্যাগের কোরবানি। নিজের জীবন-মরণ, নামাজ, রোযা, কোরবানি, সহায়-সম্পদ সব কিছুই কেবল আল্লাহ্র রাহে, শুধু তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য চূড়ান্তভাবে নিয়োগ ও ত্যাগের মানস এবং বাস্তবে সেসব আমল করাই হচ্ছে প্রকৃত কোরবানি।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
ঈদের দিন খুব প্রত্যুষে ঘুম থেকে ওঠা, সকাল সকাল গোসল করা, মিসওয়াক করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর জামাকাপড় সম্ভব হলে নতুন জামাকাপড় পরিধান করা, আতর-সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা, মিষ্টিমুখ করা, পায়ে হেঁটে ঈদগাহে এক রাস্তায় যাওয়া অন্য রাস্তায় ফিরে আসা, ঈদগাহে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি যাওয়া, ঈদুল ফিতরে নিম্নস্বরে ও ঈদুল আজহায় উচ্চস্বরে তাকবির বলা, ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা, ঈদের খুতবা শ্রবণ করা, ঈদগাহে যাওয়ার সময় শিশুদের সাথে নেয়া, পরস্পরে ঈদের শুভেচ্ছাবিনিময় করা এবং ঈদুল আজহার দিন না খেয়ে খালি পেটে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া এই দিনের সুন্নতি আমল। তবে সম্ভব হলে ঈদের নামাজের পর কোরবানিকৃত পশুর গোশত দিয়ে দিনের প্রথম আহার করা মুস্তাহাব। ঈদুল ফিতরের দিন নামাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে কিছু মিষ্টান্ন খেয়ে নেয়া মুস্তাহাব আর কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ আত্মীয়স্বজন ও এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করাও মুস্তাহাব। ঈদের দিন কবর জিয়ারত করাও একটি উত্তম আমল।
ইসলামে যেসব রাত ইবাদতের জন্য এবং ফজিলতে পরিপূর্ণ, সেসবের মধ্যে অন্যতম এই ঈদের রাত। এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যেমনÑ হজরত আবু উমামা বাহেলি রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আহার রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগি করবে, সে ব্যক্তির হৃদয় ওই দিন (হাশরের দিন) মৃত্যুবরণ করবে না, যে দিন অন্য হৃদয়গুলো মৃত্যুবরণ করবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৭৮২)
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। ১. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত, ২. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত), ৩. ঈদুল ফিতরের রাত, ৪. ঈদুল আজহার রাত ও ৫. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি : ১৬৫৬)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ১৭৮২)।
পরিশেষে, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা তিনি যেন বিশ্ব মুসলিমকে তাঁর নির্দেশিত ঈদ উৎসব ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে যথাযথভাবে পালন ও এ দিনের বিশেষ আমলগুলো করার তৌফিক দান করেন। হ


আরো সংবাদ



premium cement
লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ

সকল