২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কুরআনই শ্রেষ্ঠ উপহার

-

পবিত্র কুরআন মহানবী সা:-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা। স্বয়ং আল্লাহ এই পবিত্র গ্রন্থের গ্রন্থকার। কুরআন নাজিল হতে সময় লেগেছিল ২২ বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন। আল্লাহর তরফ হতে অবতীর্ণ এ কিতাব লিখিতভাবে নাজিল হয়নি। ১৪ শ’ বছর পর্যন্ত কুরআন অবিকৃতই আছে। সারা বিশ্বে ২৪ ঘণ্টা কুরআন পঠিত হচ্ছে। সারা বিশ্বে দিন, রাত একই সময় হয় না। কাজে কাজে মুসলিমরা ধর্ম গ্রন্থ হিসেবে কুরআনকে সকাল, দুপুর ও রাত যেকোনো সময় পড়ে থাকে। নামাজ হলো ফরজ ইবাদত। মুমিন মুসলমান নামাজ আদায় করে থাকে। কুরআন শুধু মুসলিমদের জন্য নয়। সবার জন্য, জ্ঞানী ব্যক্তিরা তা হতে জ্ঞান লাভ করে, যদিও সবাই ঈমান আনে না। কুরআন এমন একটি বই জীবনের পথচলার সব কিছুই তাতে আছে আর আছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ। ইসলামের মূলমন্ত্র হলো ঈমান। আল্লাহ নবী সা: মারফত কুরআন পৃথিবীতে নাজিল করেছেন। আল্লাহ কলমের সাহায্যে মানব জাতিকে সভ্যতা শিখিয়েছেন। আখেরাত, ফেরেশতা, বেহেশত, দোজখ এসব কিছু বিশ্বাস করতে হবে। কুরআন মানব জাতিকে শিখিয়েছে। নবী সা: মারফত নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, দান, সদকা, সম্পত্তির বণ্টন, বিয়ে, তালাক কোনো কিছুই বাদ নেই।
সে জন্য নবী করিম সা: বলেছেন, তোমরা কুরআন বুঝে পড় এবং জ্ঞান লাভ কর। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। পবিত্র কুরআন শুধু সাহিত্য, ভূগোল, ইতিহাস, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, পৌরনীতি, গণিত বা আইন এ ধরনের কোনো মানব রচিত গ্রন্থের বই নয়।
কুরআন মানুষের জন্য ইহকাল-পরকালের সব মৌলিক সমস্যার অনুসরণযোগ্য সমাধান বিদ্যমান, অধ্যয়ন করতে হবে। মর্ম বোঝার চেষ্টা করতে হবে। না বুঝলেও আমাদেরকে পড়তে হবে। সত্য দ্বীন প্রকাশের কার্যক্রম প্রত্যেক নবীরই ছিল। আল্লাহ পাক তার নবীর মাধ্যমে তার মনোনীত ধর্ম ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করেন। রাসূল সা: প্রচলিত প্রচারিত দ্বীনকে যারা অস্বীকার করেছেÑ তাদের সামনে সঙ্গত কোনো কারণ ছিল না। মিছা অহঙ্কার, গর্ব গোত্রাভিমানই তাদেরকে এই মহান দ্বীন অস্বীকার করার প্রেরণা দিয়েছে। ইবনে আসিম রা: থেকে বর্ণিত নবীজি সা: মসজিদে নববীতে বসেছিলেন। এ সময় একজন লোক সেখানে পায়চারী করছিল। নবী সা: তাকে দেখে হাসিমুখে কথা বললেন। নবীজি সা: বললেন, হে লোক। সে বলল জি হাজির! তুমি কি জান আমি আল্লাহর রাসূল! লোকটি না বলল। নবীজি বললেন তাওরাত পড়েছ, জি পড়েছি। ইনজিল পড়েছ, জি পড়েছি। পবিত্র কুরআন! ইচ্ছা করলে পড়তে পারতাম। তুমি কি তাওরাত, ইনজিলে আমার বর্ণনা পাওনি? লোকটি বলল পেয়েছি, হুবহু আপনার মতোই। কিন্তু আমি জানি আপনি ইসরাইলি গোত্র থেকে আবির্ভূত হবেন এবং সত্তর হাজারেরও বেশি উম্মত আপনার হবে।
কিন্তু কিছুসংখ্যক লোক মাত্র আপনার সাথে। নবীজি সা: বললেন যার হাতে আমার জীবন তার কসম করে বলছি। আমিই সেই ব্যক্তি। তোমার বর্ণিত গুণাবলি সম্পন্ন সেসব লোক আমারই উম্মত হবে। তাদের সংখ্যা সত্তর হাজারেরও বেশি হবে। নবুয়ত পাওয়ার পর যখন কালেমার প্রচার হলো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার নিভৃত জনপদে সাম্য সভ্যতার বিস্তার ঘটতে লাগল। বর্তমানে সারা বিশ্বেই ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছে। মহান এই নবীর কালজয়ী কীর্তি অনুধাবন করে খ্রিষ্টান পার্দি উইলিয়াম মুর বলেছেন, নবী মুহাম্মদ সা:-কে সে যুগের মনীষী বলা ঠিক হবে না। তিনি সর্বকালের সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মনীষী। ইসলামবিদ্বেষী বহু লোক অন্য ধর্ম পালন করলেও ইসলামকে সম্মান দিয়ে থাকে। এটি যে আল্লাহর প্রেরিত ধর্ম। যুগে যুগে ইসলামই নবী-রাসূলগণ দুনিয়ায় এনেছেন গোত্রভিত্তিক, সেই উম্মতরা ধর্মটাকে নিজ হাতে লিখে বিকৃত করেছে। বাইবেলে ঈসা আ:-কে আল্লাহর ঔরসজাত পুত্র বলেছে (নাউজুবিল্লাহ) আকাশ ভেঙে পড়বে, মাটি ফেটে যাবে। এমন কথা কুরআন খতম করেছে। আল্লাহ এক এবং তাঁর কোনো শরিক নেই। সব কিছু তার সৃষ্টি। আখেরি নবীর প্রতি শত সহস্র সালাম। দরুদ বর্ষিত হোক কেয়ামত পর্যন্ত। আমিন। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement