২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিমর্ষ নববর্ষ

-

পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। শিশু-যুবা-বৃদ্ধসহ সব বয়সের এবং সব শ্রেণীর মানুষ এ দিনটি উদযাপনে অংশ নেয়। দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য সরকারি বেসরকারি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। নববর্ষ উদযাপনের সুবিধার্থে দিনটি সরকারি ছুটি দেয়া হয়। অধিকন্তু নববর্ষ পালনের জন্য সরকার উৎসব ভাতা দেয়। বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্পদ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, খেলনা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে যায় মেলায়। কিন্তু করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রমণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সঙ্কটে ১৪২৮ সনের নববর্ষ উৎসবের ভিন্নতা দেখা যায়। সরকারি নির্দেশে এবারের নববর্ষ উদযাপনে রমনার বটমূলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ সারা দেশের সব মেলা-সমাবেশ-অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। তাই এবারের নববর্ষ উদযাপনে বর্ষবরণের কোনো আয়োজন নাই, দেশের কোথাও পান্তা-ইলিশের ধুম নাই, গ্রাম-গঞ্জে কোনো মেলা-আসর-অনুষ্ঠান নাই। বরং সারা দেশের মানুষ অবরুদ্ধ, উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত। এমন বিমর্ষ নববর্ষ ধরায় বুঝি আসেনি কখনো।
সন-তারিখ গণনা মানবসভ্যতার এক আদিম সংস্কৃতি। তবে কবে থেকে সন-তারিখ বা বছর গণনা শুরু হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। মানবসভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষ রাত-দিন গণনা শুরু করেছিল সূর্য উদয়-অস্তের ভিত্তিতে। কিন্তু তারা মাস গণনা শুরু করেছিল চাঁদের ভিত্তিতে। অর্থাৎ মানুষ চাঁদের বৃদ্ধি-হ্রাস দেখে মাস গণনা করতো। তারা এক শুক্ল পক্ষ থেকে অন্য শুক্ল পক্ষ কিংবা এক কৃষ্ণপক্ষ থেকে অন্য কৃষ্ণপক্ষ পর্যন্ত সময়কে এক মাস ধরে মাস গণনা করতো। এভাবে ১২ চান্দ্র মাসে এক বছর গণনা করা হতো। পরবর্তীতে সৌর মাস দিয়ে বছর গণনা করা হয়। তাই বছর গণনার ভিত্তি এক নয়। কেউ গণনা করে চন্দ্রের ভিত্তিতে কেউ আবার সূর্যের ভিত্তিতে। প্রত্যেক জাতি-দেশের বছর গণনা শুরু হয়েছে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে। আর বছর গণনার ভিত্তি অনুযায়ী বিভিন্ন জাতি-রাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। যেমন ইরানের নববর্ষ ‘নওরোজ’ পালিত হয় বসন্তের পূর্ণিমায়। অন্য দিকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পয়লা জানুয়ারিতে ঐধঢ়ঢ়ু ঘবি ণবধৎ উদযাপিত হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। আর মুহররমের পয়লা তারিখে হিজরি নববর্ষ পালিত হয়। সব জাতির বছর গণনা যেমন এক নয় তেমনি সব জাতির নববর্ষের উৎসবও অভিন্ন নয়। প্রত্যেক জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির ভিত্তিতে নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। বাংলা নববর্ষ উৎসবও পালিত হওয়া উচিত বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতিতে। কৃষিনির্ভর বাঙালি জাতির নববর্ষ উদযাপন দরকার কৃষি সংস্কৃতির ভিত্তিতে।
নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস অনেক পুরনো। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে পারস্যে ১১ দিনব্যাপী নববর্ষ উৎসব ‘নওরোজ’ পালিত হতো। ব্যাবিলনে নববর্ষ উৎসব উদযাপিত হতো প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগেও। প্রায় একই সময়ে রোমানরা ব্যাবিলনীয়দের নিকট থেকে বসন্তকালের নববর্ষ উদযাপন শিখেছিল। যিশু খ্রিষ্ট জন্মের অনেক আগ থেকেই ইহুদিরা নববর্ষ উৎসব ‘রাশ হুশনা’ পালন করতো। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অনেক দিন থেকে পয়লা জানুয়ারি ঐধঢ়ঢ়ু ঘবি ণবধৎ পালিত হয়ে আসছে। উৎসবের কোনো আড়ম্ভরতা না থাকলেও প্রায় দেড় হাজার যাবৎ আরবসহ গোটা মুসলিম বিশ্বেই ‘হিজরি নববর্ষ’ পালিত হয়ে আসছে। অন্য দিকে কয়েক দশক ধরে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ‘পয়লা বৈশাখ’ উদযাপিত হচ্ছে।
বাংলা সনের ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়। তাই বাংলা নববর্ষ উৎসবের সংস্কৃতিও খুব পুরনো নয়। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগে তো নয়ই এমনকি মধ্যযুগেও (১২০৩-১৭৫৭ খ্রি:) বাংলা নববর্ষভিত্তিক কোনো সাহিত্য নেই। আধুনিক যুগের প্রথম শতকের (১৮০১-১৯৪৭ খ্রি:) সাহিত্যেও বাংলা নববর্ষভিত্তিক কোনো রচনা পাওয়া যায় না। বিশ শতকের প্রথমার্ধেও নববর্ষ বাংলা সাহিত্যে তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে নেই। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা-গানে ‘বৈশাখ’ ‘পুণ্যাহ’ বিষয় থাকলেও বাংলা ‘বর্ষবরণ’ বা নববর্ষ উৎসবের বিষয় নাই। একইভাবে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যে পারস্যের ‘নওরোজ’ অনুষ্ঠানের উল্লেখ থাকলেও বাংলা নববর্ষ বা ‘বর্ষবরণ’ উদযাপনের বিষয় নাই। অর্র্থাৎ গত শতাব্দীর প্রথমার্ধে সাহিত্যে বাংলা ‘নববর্ষ উৎসব’ প্রভাব বিস্তার করতে পারে নাই। অবশ্য তখন যে নববর্ষ বা বর্ষবরণ ছিল না বিষয়টি তেমন নয়। তবে তৎকালে বর্ষবরণ বা নববর্ষ উদযাপন ছিল অনাড়ম্ভরপূর্ণ ও জৌলুসহীন। ঘরোয়া পরিবেশে পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেই নতুন বছরের প্রথম দিনে ভালো খাবার আয়োজন-আপ্যায়ন এবং নতুন পোশাক পরার বর্ষবরণ বা নববর্ষ উদযাপন সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানের মতো এতো জমকালো অনুষ্ঠান তৎকালে ছিল না। মিষ্টান্ন বা মিঠা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে ‘মিঠামুখ’ করানো এবং অপেক্ষাকৃত ভালো খাবারের আয়োজন করা হতো ‘বর্ষবরণ’ বা নববর্ষ দিনে। তৎকালীন বাঙালি সমাজে প্রচলিত ধারণা ছিল বছরের শুরুর দিনে ‘মিঠামুখ’ করলে সারা বছর মুখ মিঠা থাকবে এবং এদিন ভালো খাবার খেলে সারা বছর অনুরূপভাবে ভালো খাবার খাওয়া যাবে। কুসংস্কার হলেও বাঙালিরা এ বিশ্বাসের ভিত্তিতে ‘নববর্ষ’ দিনে অপেক্ষাকৃত ভালো খাবারের আয়োজন ও ভালো পোশাক পরিধান করতো। এ সময় নববর্ষ উপলক্ষে আমানি, রাজপুণ্যাহ, হালখাতা, গাজনের গান ইত্যাদি গ্রামীণ অনুষ্ঠান মাসজুড়ে চলতো। কালের পরিক্রমায় হিন্দুদের পূজা-অর্চনা, মুসলমানদের মিলাদ-মাহফিল-দোয়া অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ‘বর্ষবরণ’ উদযাপনের উৎপত্তি ঘটে। আর ইংরেজ শাসন অবসানের পর নববর্ষ উদযাপন উৎসবে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও তৎপরবর্তীকালের ঘটনাসমূহ বিশেষত ১৯৬৬ সাল থেকে বাংলা বর্ষবরণে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে প্রাণবন্ত ও বিস্তৃত করেছে। ১৯৮৩ সালে রমনা পার্কে কয়েক জন সাংবাদিকের আড্ডাচ্ছলে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার বিষয়টি বর্তমানের নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হয়েছে। আর ১৯৮৬ সালে যশোরের উদীচী উদ্ভাবিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউট ১৯৮৯ সাল থেকে অব্যাহত রাখছে এবং ক্রমান্বয়ে এর ব্যাপ্তি বাড়ছে। অতি সম্প্রতি নববর্ষ উৎসবে সারা দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা করার জন্য সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে! অধিকন্তু এ শোভাযাত্রাকে বাঙালির ঐতিহ্য করতে ইউনেস্কোর প্রতি জোর চেষ্টা চলছে।
বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে উৎসবে পরিণত হয়েছে। অধিকন্তু নববর্ষ উদযাপনের জন্য সরকারি নির্দেশ ও প্রণোদনা আছে। অবশ্য সাম্প্রতিককালের নববর্ষ বা বর্ষবরণ ও আগের দিনের নববর্ষ বা বর্ষবরণের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বায়নের ফলে আধুনিক যুগের বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মনোহরি চাকচিক্য বাড়লেও আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব আছে। বর্তমানের নববর্ষ উদযাপনে পান্তাভাত ও ইলিশ ভাজাসহ মুখরোচক অনেক খাবারের সমারোহ ঘটালেও এতে প্রাণের স্পর্শ পাওয়া যায় না। এতে ধনী ও বিলাসী মানুুষের বিনোদনের ব্যবস্থা হলেও দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের অন্তরে সুখ আসে না। আধুনিক যুগের শহুরে মানুষদের প্রাণহীন জমকালো বর্ষবরণের কৃত্রিমতায় নিবিড় পল্লীর প্রীতিপূর্ণ ছোট ছোট উৎসব ঢাকা পরে যায়। অধিকন্তু শিল্পপতি, বড় চাকরিজীবী ও টাকাওয়ালাদের উৎসবের তাণ্ডবতায় বাঙালি কৃষকদের নববর্ষ উৎসব পিষ্ট হয়। অথচ বাংলা নববর্ষের সূচনাই হয়েছে বাঙালি কৃষকের সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে। বাংলা নববর্ষের মূলে কৃষক ও কৃষি। মুঘল শাসনামলে হিজরি সনের ভিত্তিতে এ দেশে বছর গণনা হতো। হিজরি বছর সৌর বছর থেকে ১১ দিন ছোট হওয়ায় এ দেশের ঋতু পরিবর্তনের সাথে হিজরি বছরের মিল হয় না। এতে কৃষকদের ফসলি সন গণনায় সমস্যা হয়। অধিকন্তু কৃষকের কাছ থেকে জমিদারের খাজনা আদায়েও সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য কৃষক ও জমিদারের সমস্যা দূর করতে মূলত বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়। তাই দেখা যায় বাংলা নববর্ষ সব বাঙালির হলেও উৎসবের আমেজটা কৃষকের একটু বেশি।
বাংলা নববর্ষের সূচনা মুসলমানদের হাতে। মুসলিম ঐতিহ্যের হিজরি সনকে ভিত্তি করেই বাংলা সনের উৎপত্তি হয়েছে। মুঘল সম্রাট আকবর বাংলার কৃষকদের সুুুবিধার্থে হিজরি সনকে ভিত্তি ধরে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। বাংলা নববর্ষের যাত্রা খুব বেশি দিন আগের নয়। চলতি নববর্ষে বাংলা সন ১৪২৮তম বছরে পদার্পণ করলেও মূলত এর যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র ৪৬৫ বছর আগে মুঘল শাসনামলে। উল্লেখ্য হিজরি সন গণনা করা হয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হজরত ওমর রা. রাসূল সা. এর হিজরতকে স্মরণীয় রাখতে হিজরতের বছরকে ভিত্তি বছর ধরে হিজরি সনের প্রবর্তন করেন। আর মুঘল সম্রাট আকবর তার সিংহাসনে আরোহণের বছরকে স্মরণীয় করতে সভাজ্যোতিষী আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর (দৈবে দশমরতœ) পরামর্শে হিজরি ৯৬৩ সনকে বাংলা ৯৬৩ সন ধরে বাংলা সন গণনার নির্দেশ দেন। অধিকন্তু পারস্যের (ইরানের) নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান ‘নওরোজ’ এর আদলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সূচনাও করেন। তার আনুকূল্যে ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হতো। ‘নওরোজ’ অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ‘মিনা বাজার’। আর এ মিনা বাজারের আদলে বাংলা নববর্ষ উৎসবে যোগ হয়েছে ‘বৈশাখী মেলার’। প্রকৃতপক্ষে বাংলা নববর্ষ উৎসবের মূলে আছে মুসলিম ঐতিহ্য। উৎপত্তিগত দিক দিয়ে বাংলা সনের সাথে যেমন মুসলিম ঐতিহ্য জড়িত তেমনি নববর্ষ উৎসবের সাথেও পারসিয়ান মুসলিম সংস্কৃতি জড়িত। মুসলিম ঐতিহ্যের ভিত্তিতে বাংলা নববর্ষ চালু হলেও মুসলমানদের উদারতার কারণে তা সার্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। কিন্তু বাঙালি মুসলিম সমাজের অজ্ঞতা, অদূরদর্শিতা, সংস্কৃতিবিমুখতার কারণে মুসলিম ঐতিহ্যমণ্ডিত বাংলা নববর্ষ উৎসব বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ঢাকা পড়েছে। বাংলা নববর্ষ ও বৈশাখী মেলা মুসলমানদের প্রবর্তিত বাঙালি সংস্কৃতি হলেও এর উৎসবে অশালীন-অপসংস্কৃতি যোগ করেছে। দেশজ সংস্কৃতির বাতাবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা, কপালে তিলক-সিঁদুর পরা, উলুধ্বনি দেয়া ইত্যাদি ভিনজাতীয় সংস্কৃতি যোগ হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। অধিকন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নের ফলে আমাদের দেশের এলিট শ্রেণী খ্যাত কিছু অর্ধবাঙালি হোটেল-পার্কে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেন ঐধঢ়ঢ়ু ঘবি ণবধৎ এর আদলে; যা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে দুর্বল ও অপদস্থ করছে। তাই নববর্ষ উদযাপনকে বিশ্বায়নের বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করতে নতুন প্রজন্মকে শেকড়সন্ধানী হতে হবে। দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরতে হবে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে। আর চলমান বৈশ্বিক মহামারীর সঙ্কট হতে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশ-জাতিকে মুক্ত করুন এ প্রার্থনা হোক এবারের বর্ষবরণে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল