২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মশার সাথে একদিন

-

টুকুর বয়স পাঁচ বছর। সে প্রতিদিন স্কুলে যায়। প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ম করে পড়তে বসে। খুব আগ্রহ নিয়ে সে অ আ ক খ পড়ে, পেন্সিল দিয়ে খাতায় আঁকাআঁকি করে। গাছ আঁকতে পারে, ফুল আঁকতে পারে। এর মধ্যে সে নিজের নামটিও লিখতে শিখেছে। এসব দেখে তার মা তো ভীষণ খুশি!
লেখাপড়ায় আগ্রহ থাকলেও কাজের বেলায় টুকু বড্ড উদাসীন। নিজের বই-খাতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে। স্কুল থেকে ফিরে জুতা-জামা খুলে মেঝেতেই রেখে দেয়। তার খেলনাগুলোও এদিক ওদিক পড়ে থাকে।
মা অনেকবার সব গুছিয়ে রাখতে বললেও কোনো লাভ হয় না। মায়ের কথা টুকু কানেই তোলে না।
এক সন্ধ্যায় টুকু পড়তে বসেছে। হঠাৎ একটা মশা এসে তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। টুকু মশাটাকে খপ করে ধরে ফেলে। যেই না মারতে যাবে তখনই মশা বলে ওঠে, এই ছেলে তুমি আমায় মারছ কেন?
উত্তরে টুকু রাগান্বিত স্বরে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, মারব না তো কী করব? তুমি আমায় কামড় দিলে কেন?
মশা বলে, তুমি আমায় পুষবে অথচ খাবার দেবে না এ কেমন কথা?
টুকু অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, আমি তোমায় পুষছি?
মশা বলে, বাহঃ রে! তোমার ফেলে রাখা জুসের গ্লাসেই তো আমার জন্ম।
টুকুর মনে পড়ে যায় গত সপ্তাহে তার মা তাকে জুস খেতে দিয়েছিলেন। সে অর্ধেকটা খেয়ে বাকীটাসহ গ্লাসটাকে টেবিলের তলাতেই রেখে দিয়েছে।
টুকু টেবিলের তলা থেকে গ্লাসটা বের করে এবং দেখে গ্লাসের ভেতরে ছোট-বড় অনেকগুলো লেজওয়ালা পোকা সাঁতার কাটছে।
এমন সময় সেখানে তার মা এসে উপস্থিত হয়।
টুকু গ্লাসটা মাকে দেখিয়ে জানতে চায়, লেজওয়ালা এই পোকাগুলো কী, মা?
মা জবাবে বলেন, এগুলো সব মশার আণ্ডা-বাচ্চা।
টুকু অবাক হয়ে বলে, কিন্তু মশার তো লেজ থাকে না!
মা টুকুকে কাছে টেনে নিয়ে বুঝিয়ে বলেন, শোনো টুকু! তিন দিনের বেশি পানি জমিয়ে রাখলে সেই বদ্ধ পানিতে মশা ডিম পাড়ে। ডিম থেকে লেজওয়ালা বাচ্চা ফোটে। একে মশার লার্ভা বলা হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই এই লার্ভার লেজ পড়ে যায় আর একটি পূর্ণাঙ্গ মশায় পরিনত হয়।
টুকু মায়ের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে। হঠাৎ তার ছোট্ট মাথায় একটা প্রশ্ন জেগে ওঠে। কৌতূহল চেপে না রেখে সে প্রশ্নটা করে ফেলে, আচ্ছা মা! মশা পানিতে কেন ডিম পাড়ে? ডাঙ্গায় ডিম পাড়ে না কেন?
মা বলেন, মশা কেবল পানিতেই ডিম পাড়ে। তাই তো মশার বাচ্চাগুলো লেজ নিয়ে জন্মায়। আজকের পর থেকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে। মনে থাকবে?
টুকু ঘাড় নেড়ে জবাব দেয়, আচ্ছা!
তার মানে মনে থাকবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল