২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

একটি ফুল

-

সঙ্কর জবা

জবা ফুলের পৌরাণিক নাম ছিল জপাকুসুম। রামায়ণে এবং সর্বভারতীয় বৈদ্যক স্বীকৃত চক্রপাণির লেখা বইতে জপা নামের উল্লেখ দেখা যায়। রামায়ণ-এর টীকায় লিখিত জপা অর্থ আলতা এবং কুসুম অর্থ ফুল, সেই সূত্রে জপাকুসুম। আর্যদেবতার পূজায় সাদা ফুল ব্যবহারের রীতি প্রচলিত, লাল জবা ব্যবহৃত হয়েছে অনার্য দেবী শ্যামা বা কালীর পূজায়। কার্তিক অমাবস্যায় এই শ্যামা-পূজার সময় প্রদীপের চারদিকে ঝাঁকঝাঁক পোকা এসে ভিড় করে যাদের আমরা শ্যামা পোকা বলি।
উপমহাদেশে বিচিত্র আকার ও রঙের সঙ্কর ছাড়া যে দুই রকম আদি জবা দেখা যায় সেগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ঐরনরংপঁং ৎড়ংধ ংরহবহংরং.
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বহুদল জবাকেই পঞ্চমুখী জবা বলা হয়। ভারতে, চীনে, জ্যামাইকা এবং আফ্রিকার কিছু দেশে এই ফুলের পেস্ট দিয়ে জুতা কালো করা হতো। চুলের শ্যাম্পু হিসেবে এবং চুল কালো করার ব্যাপারে এর কদর যথেষ্ট।
চীন থেকে যে এই জবা ইউরোপে ও প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে জবার দুকোরো বেশি প্রজাতি আবিষ্কার হয়েছে।
১৭০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ২০০ বছর ধরে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলে মরিশাস এবং মাদাগাস্কার এই দুটো দ্বীপে বাণিজ্য জাহাজ নোঙর করা হতো। এসব জাহাজে থাকত উদ্ভিদবিদ আর প্রাণিবিদ যাদের নিযুক্ত করা হতো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। অতএব, এই জাহাজে করেই সঙ্কর জাতের বিভিন্ন জবা ভ্রমণ করে বহু দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীব্যাপী। আর আদি জবারা হয়তো বিস্তৃত হয়েছে আরো অনেক আগে। হ


আরো সংবাদ



premium cement