একটি ফুল
- রহীম শাহ
- ১৩ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
জবা
জবা হলো সে রকম টুকটুকে লাল রঙের একটি ফুল যার রূপ মাধুর্য কোনো দিক থেকেই অন্য ফুলের চেয়ে কম নয়। জবার বংশগতি নিয়ে জবার পরিচয় তুলে ধরছি।
জবা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এই প্রকৃতির জবা গাছে প্রচুর পাতা থাকে। পত্র সরল, একান্তর, বোঁটাযুক্ত, ডিম্বাকার, কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা, অগ্রভাগ সরু, পিচ্ছিল পদার্থ যুক্ত। এদের পুষ্প একক বৃহৎ, উভলিঙ্গ। বৃতির নিচে উপবৃতি বিদ্যমান। বৃত্যংশ ৫টি মুক্ত ও সবুজ। দলমণ্ডল ৫ পাপড়িবিশিষ্ট। বহু পুংকেশর অবস্থিত। পুংদণ্ড মিলিতভাবে একটি নলের সৃষ্টি করে। পরাগধানী মুক্ত ও বৃক্কাকার, স্ত্রী কেশর ৫টি, গর্ভদণ্ডটি পুং নলের ভিতরে অবস্থিত। এদের সাধারণত ফল হয় না। টকটকে লাল পাপড়িবিশিষ্ট জবাকেই রক্ত জবা বলা হয়। এই জাতীয় জবার ব্যবহার বেশি।
জবার বহু ব্যবহারের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুজোতে একে ব্যবহার করে থাকে। পুরুষ পূজায় লাল ফুল ব্যবহার হয় না। নারী পুজোয় লাল জবার ব্যবহার প্রচলিত।
জবা ফুল স্নিগ্ধ, শীতল ও পিচ্ছিল। পাপড়ি বেটে পানিতে দিয়ে শীতল পানীয় হিসেবে পান করা যায়। তিলের তেলের সঙ্গে পাপড়ির রস জ্বাল দিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে চুল কালো ও ঘন হয়। এ পদ্ধতিতেই জবা কুসুম তেল তৈরি করা হয়। জবা পাতা স্নিগ্ধ কারক ও অল্প বিরেচক হিসেবে কাজ করে।
আমাদের দেশে সহজলভ্য কিছু জবার প্রজাতি আছে এদের একেকটি একেক রঙের ও ঢংয়ের যা আমাদের বাগানকে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখে। তরুপ্রেমীরা এদেরকে বাগানে, বাড়ির আঙিনায় ও ছাদ বাগানে এমনকি ব্যালকনির টবেও স্থান দিতে কখনো ভুল করেন না। হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা