২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মোবাইল ভূত

-

তিন বন্ধু। মুনতাসীর, আলী ও কদম, সন্ধ্যার পরে বাড়ি থেকে বের হলেন আড্ডা দিতে। সবাই স্কুলের মাঠে বসে, জমজমাট আড্ডা দিচ্ছে, খুব মজার সময় কাটছে। আড্ডার সময় প্রায় ১০টা বাজছে। আলী চঞ্চল স্বভাবের হলেও রাতের জন্য খুব ভীতু।
মুনতাসীর বলল আলীকে আজকে একটা ভূতের এফএম রেডিও শুনি। তখন সময় ১১টা, মঙ্গলবার। সবাই মিলে খুব ভালো করে, ভূতের গল্প শুনিতেছি। আলী খুব ভীষণ ভীতু হয়ে গেছে। মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছে না। বলছে আলী ভাই এখন সময় দুপুর ১২টা বাজছে। আমার বাড়ি ফিরতে হবে। আর হ্যাঁ, আমি একা বাড়ি ফিরতে পারব না। হা!হাহ!হা এ-ই কথা শুনে মুনতাসীর আর কদম হাসছে।
গল্প করতে করতে চলে এলো আলীকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তার পাশে নদী, বাঁশের ঝোপ আর আঁধার।
কদম বলল, তোমার এ-ই ভূতের গল্প শুনে ভয় করছে বাড়ি যেতে পারছ না। আর আমি এ-ই কবরস্থান আর বাঁশের ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে একা ঘুরে আসতে পারব। আলী বলল, আমি তোমাকে এক হাজার টাকা দেবো। যদি কবরস্থান ঘুরে আসতে পার।
আচ্ছা, ঠিক আছে তাহলে... টাকা জমা দিয়ে দিলো মুনতাসীরের কাছে।
কদমকে বলল, তুমি একটু দাঁড়াও আমরা আসি বলে। এ কথা বলে তারা দু’জন সিদ্ধান্ত নেয় কিভাবে তাকে ভয় লাগানো যায়।
মুনতাসীর বলল, আমার মোবাইলটা দু’জনে গিয়ে কবরস্থানে রেখে আসব, যেন সে না দেখে। আচ্ছা চলো, দু’জনে গিয়ে রেখে এলো। কিন্তু সেই মোবাইলের টোনটি ছিল ভূতের গল্পের। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় মোবাইলটি কিছু ঝোপের আড়ালে রেখে আসে।
চলো এলো দু’জন কদমের কাছে। বলো এবার যেতে পারবে? হ্যাঁ, কি বলো? এটা আমার জন্য একটা ব্যাপার হইল।
এই বলে সে একা হাঁটতে শুরু করেন। নদীর তীরের রাস্তা দিয়ে, যেতে যেতে অনেক দূর এগিয়ে গেল। প্রায় কবরস্থানের কাছে পৌঁছানোর আগে একটা বাঁশের ডাল তার মাথায় লাগে। উপরের দিকে তাকালেই চোখ পড়ে যায়, একটা হুতোম পেঁচা তার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে তবুও সাহস করে কবরস্থানে পা রাখে একটু না যেতেই হঠাৎ করে শুরু হলো শৈত্যপ্রবাহ।
তারপর কবরস্থানের মাঝে যেতে না যেতে মুনতাসীরের মোবাইলে বেজে ওঠে ভয়ঙ্কর ভূতের টোন। তখন কদমের মনে হঠাৎ ভয় জেগে ওঠে। তারপর ভয়ে চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে।
এরপর মুনতাসীর ও আলী আরো কয়েকজন মিলে তাকে নিয়ে আসে। তখন রাত ২টা বাজে মোবাইলে। পরদিন সকালে তাকে মুনতাসীর ও আলী দেখতে যায়। কদম খুব ভয় পেয়েছে। সে আর কখনো এ-ই রকম গভীর রাতে কোথাও যাবে না।
তারপর আলী ও মুনতাসীর সব কিছু খুলে বলে। আসলে ভূত বলে কিছু নেই। ভয় মানুষের মস্তিষ্ক থেকে কতগুলো স্নায়ু চেতন হলে, সৃষ্টি হয় মানুষের মনে ভয়।
আলীর আর কদমের ভয় চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নেন। এরপর থেকে তারা আর কখন ভীতু হয়ে, দুর্বল হয়ে যায়নি। কোনো কিছু হলেও তারা মনে সাহস রাখে আর নির্ভয়ে পথ চলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল