ক্লাইভ-মীরজাফর ও আমাদের গ্লানি
- কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক, পিএসসি (অব:)
- ২৩ জুন ২০২০, ০০:০০
২৩ জুন দিবসটি সামনে এলেই বুকে চিনচিন করে ব্যথা হয়। এ এমন একটি দিন যেদিন বলতে গেলে গোটা পাক-ভারত উপমহাদেশের বিশেষ করে মুসলমানদের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। এর পেছনে যে দু’জন ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি দায়ী তারা হলেন ব্রিটেনের রবার্ট ক্লাইভ ও বাংলার মীর জাফর। হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দীর্ঘসময়ের গভীর বন্ধুত্ববোধের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করার অন্যতম হোতা ছিল এ ক্লাইভ। ৭১২ সালে মুহাম্মদ বিন কাশিমের সিন্ধু বিজয়ের মধ্য দিয়ে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ও বহুধা বিভক্ত এ ভূখণ্ড মুসলিম শাসনের অধীনে এসে হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উন্নত সংস্কৃতির এক সুখী, সমৃদ্ধশালী সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। ১৭০৭ সালে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর উত্তরসূরিদের দুর্বলতার কারণে মাত্র চল্লিশ বছরে বিশাল সাম্রাজ্যে মুসলিম শাসন দুর্বল হতে থাকে এবং এ সুযোগে কট্টরপন্থী হিন্দু নেতৃত্ব শাসন ক্ষমতায় যে একটা পরিবর্তন চাচ্ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এ সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগায় সব দেশীয় ও ইউরোপীয় ক্ষমতালোভী আধিপত্যবাদীরা। ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে তারা দেশীয় ও ইউরোপের লোকদের সমন্বয়ে সৈন্যবাহিনী গঠন করে, যাকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী করে ক্ষমতার দিকে হাত বাড়ায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিরও ভাগ্য বদলে যেতে থাকে ধীরে ধীরে।
পাক-ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে রবার্ট ক্লাইভ একটি ঘৃণিত চরিত্র। ১৭২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ক্লাইভ জন্মগ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের একটি সাধারণ পরিবারে। বাবা রিচার্ড ক্লাইভ ছিলেন অত্যন্ত বদরাগী। তেরো ভাই-বোনের মধ্যে সে ছিল জ্যেষ্ঠতম। শৈশব থেকেই উচ্ছৃঙ্খল ও দুষ্টবুদ্ধির মানুষ। লেখাপড়ায় সুবিধা করতে না পেরে তার বাবার তদবিরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে কেরানি হিসেবে ১৭৪৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে যোগ দিয়েই কোম্পানির ব্যবসার কাজে ভারতের মোম্বাই আগমন করেন। এখানে তিনি দু’বছর একটি দোকানের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে ক্লাইভ কোম্পানির আর্মিতে যোগদান করেন। মাদ্রাজের সেন্ট ডেভিড ফোর্ট দখলের অভিযানে ফরাসিদের বিরুদ্ধে তিনি কূটকৌশল প্রয়োগ করে বিজয়ী হন। এক মারাঠা নেতার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দেবীকোট দুর্গ অধিকার করেন। ১৯৫১ সালে ক্লাইভের পরবর্তী সামরিক তৎপরতা ছিল আর্কট অভিযান, এখানে তিনি সামরিক নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে নওয়াবের দুর্গে নৈশ অভিযান পরিচালনা করেন এবং কোনো প্রাণহানি না ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে পালাতে বাধ্য করেন। এ সব সফলতার পর ১৭৫৩ সালে তিনি ব্রিটেনে ফেরত যান। দেবীকোট, আর্কট ও অন্যান্য অভিযানে ক্লাইভের বিজয় নজরে আসে। কোম্পানি সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল স্ট্রিংগার লরেন্স ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট দা এল্ডারের আর ইউরোপজুড়ে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিতে পরিণত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক প্রশিক্ষণ ব্যতীতই ক্লাইভ যে বিজয় এনে দিয়েছেন এ যেন ‘স্বর্গ প্রেরিত এক জেনারেল’। ক্লাইভকে নানা সম্মানে ভূষিত করা হয়। কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স তাকে সম্মানিত করে এবং ‘জেনারেল ক্লাইভ’ নামে আখ্যায়িত করে তাকে রতœখচিত তরবারি উপহার দেয়। এভাবে এক সময় সে স্বপ্ন দেখা শুরু করে বিশাল কিছু হওয়ার ও অর্জন করার। চতুরতা, দুষ্টবুদ্ধি, সাহসিকতা ও শৌর্যের সমন্বয় তাকে ক্রমাগত সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। এক সময় তিনি তার শহরের মেয়র, এমপি পদেও আসীন হন।
মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য এ সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। বাজপাখির মতো তারা ঘুরে ঘুরে মুসলমান শাসকদের দুর্বলতাগুলো পর্যবেক্ষণ করত। আর সুযোগ মতো সেখানে থাবা বসিয়ে তা নিজেদের আয়ত্তাধীন করে ফেলত। এমনটিই ঘটে ছিল বিশাল মোগল সাম্রাজ্য ভারতের ক্ষেত্রে। ইউরোপের পর্তুগিজ, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানি, ফরাসি, ডাচ, ডেনিস ইত্যাদি উপনিবেশবাদী শক্তিগুলো মোগল সাম্রাজ্যকে মরা গরুর ওপর শকুনের দলের মতো ঝাঁপিয়ে পড়া শুরু করল। মুসলিম শাসকদের নির্লিপ্ততার সুযোগে বাণিজ্য করার ছদ্মবেশে প্রবেশ করে স্থানীয় সহজ-সরল মানুষের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে তারা ধীরে ধীরে প্রভুত্ব ও আধিপত্য বিস্তার করে। মোগল সাম্রাজ্যের মধ্যে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার ছিল বিশৃঙ্খল অবস্থায়। এখানে মানুষ বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীতে ছিল বহুধা বিভক্ত। কেন্দ্রীয় শাসন বলতে কিছুই ছিল না। ১৭৫৭ সালে মুর্শিদাবাদ ছিল বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার রাজধানী। ১৭৫৬ সালের ১৬ এপ্রিল নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর মাত্র ২৩ বছর বয়সে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্ষমতায় বসেন। সিরাজের মা আমেনা বেগম ছিলেন আলীবর্দীর মেয়ে। আলীবর্দী তার নাতিকে জন্মের পর হতেই নিজ তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলেন। ক্ষমতায় বসেই তিনি তার নানার সাথে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরকে ক্ষমা করে দিয়ে প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু এর পরও নবাবের সাথে তার অধীনস্থ সেনাপতিগণ যে শতভাগ আনুগত্যপরায়ণ নন, তা তিনি ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলেন। এ সুযোগই গ্রহণ করে ক্লাইভ।
১৭৫৫ সালের জুলাই মাসে ক্লাইভকে সেন্ট ডেবিড ফোর্ট ও কুদালরের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে পুনরায় ভারতে পাঠানো হয়। এবারো তিনি বিভিন্ন অভিযান পরিচালনায় সাফল্য লাভ করেন। ১৭৫৬ সালের গোড়ার দিকে দু’টি দুঃসংবাদ আসে ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানির জন্য। তা ছিল বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নব নিযুক্ত নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ কোম্পানির কাশিমবাজার ও কলকাতা দুর্গ পুনঃরুদ্ধার করেন। এর প্রতিশোধ ও দুর্গ দুটি পুনঃদখল করা জন্য এডমিরাল চার্লস ওয়াটসন ও ক্লাইভকে নির্দেশ দেয়া হলে তারা সৈন্যবাহিনী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে অতি সহজেই তারা বাজবাজ দুর্গ দখল করে এবং ৯ ফেব্রুয়ারি ১৭৫৭ সালে কলকাতা দখল করে। ইতোমধ্যে ক্লাইভ ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর পদে আসীন হন। দেশের মসনদ দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই তিনি পথের কাঁটা ফরাসিদের বিতাড়ন করেন। অতঃপর শেষ ও বড় শত্রু নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেন। তিনি জানতে পারেন যে, নবাবের বিরুদ্ধে দরবারে একটা ষড়যন্ত্র চলছে এবং জগৎ শেঠ এ ষড়যন্ত্রের মূলনেতা। তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিল এবং দরবারের অসন্তুষ্ট অমাত্যদের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য উমিচাঁদকে ব্যবহার করেন, যার ফলে ১৭৫৭ সালের ১৯ মে গোপন চুক্তি সম্পাদিত হয়। অভ্যুত্থানের নেতা নির্বাচিত করা হয় প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খানকে এবং রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, জগৎ শেঠ, ঘসেটি বেগম, নন্দকুমার, ইয়ার লতিফ, মানিকচাঁদ, কৃষ্ণবল্লভ প্রমুখ এ ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। এতে মীর জাফরকে নবাবের আসনে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর বিনিময়ে ইংরেজদেরকে প্রায় বিশ লাখ পাউন্ড প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয় মীর জাফর। এর পরের ঘটনা সবার জানা। ষড়যন্ত্রের ছকানুযায়ী ২৩ শে জুন ১৭৫৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আম্রকাননে মাত্র তিন ঘণ্টার যুদ্ধে শুধু বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা নয়, অস্তমিত হয় পুরো ভারতের স্বাধীনতার সূর্য।
এ যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের জন্য আসা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বনে যায় প্রভুতে। এর ফলে শুধু ক্লাইভ নয়, ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় ব্রিটেনেরও। এটি যেন হঠাৎ করে ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হবারই বাস্তব উপাখ্যান। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার ধনভাণ্ডারের সর্বস্ব লুটপাট করে ১৭৬০ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ব্রিটেনে ফিরে যায় ক্লাইভ। বিশাল সম্পদশালী ক্লাইভের সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ও পদবি বহুগুণে বেড়ে ‘পিয়ার’, ‘ব্যারন অব পলাশী’, ‘কাউন্টি ক্লেয়ার’ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হন। এমনকি ঐতিহাসিক থমাস বেবিংটন ম্যাকাউলে তাকে ‘ব্রিটেনের নেপোলিয়ন বোনাপার্ট’ উপাধি দিতেও কার্পণ্য করেননি।
বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার ধন-সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার ক্লাইভ ও তার সঙ্গী-সাথীরা লুট করে নেয়। ২৫ লাখ পাউন্ড তারা জমা দেয় ব্রিটিশ সরকারের কোষাগারে, ক্লাইভ নিজে নেয় ২,৩৪,০০০ পাউন্ড, মেজর ওয়াটস গ্রহণ করে ১,১৪,০০০ পাউন্ড। ফোর্ট উইলিয়ামের বার্ষিক খাজনা আদায় করে ৩০,০০০ পাউন্ড। সে সময়ে ব্রিটেনের ধনীদের বার্ষিক আয় ছিল মাত্র ৮০০ পাউন্ড। লুট করা বাংলার অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে পাল্টে যায় ব্রিটেন ও এর জনগণের ভাগ্য। তিন বছর ব্রিটেনে অবস্থান করেন ক্লাইভ। এ সময়ে নিজ শহরে আলীশান রাজপ্রাসাদ তৈরি করে এর নাম দেয় ‘পলাশী’।
অপর দিকে বাংলা-বিহার- উড়িষ্যার প্রশাসনে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও এ দেশীয় আমলাদের মধ্যে যেন দুর্নীতি করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুণ্ঠনের কারণে দরিদ্র কৃষক ও জনসাধারণের ওপর গিয়ে পড়ে এর চাপ। হঠাৎ করে কর বাড়ানো হয় বিশ শতাংশ। তা আদায়ে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায় এ দেশের মানুষ। ব্যাপক অরাজকতা শুরু হয়ে যায় সর্বত্র। বাংলায় লুটতরাজের অর্থ-সম্পদ এত বেশি ছিল যে রবার্ট ক্লাইভের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট তদন্ত শুরু করে এবং সে এক সময় আফিম ও নানা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। জীবনের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে ১৭৭৪ সালের ২২ নভেম্বর ৪৯ বছর বয়সে নিজ বাসভবন ‘বেকারলি স্কোয়ারে’ বেশি মাত্রায় আফিমাসক্ত হয়ে কলমছুরি দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করে।
পলাশী যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে এ উপমহাদেশে যে সব স্থায়ী প্রভাবও ক্ষতি সাধিত হয়, তার কয়েকটি হলো- ১. ইংরেজদের উসকানিতে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে হাজার বছরের সম্প্রীতি-ভালোবাসার অবসান ঘটে। ২. এ দেশের মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়ে ইংরেজদের পক্ষে ও বিপক্ষে। ৩. বিশাল অঙ্কের কর বসানো হয় এবং কৃষকেরা নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হতে থাকে। কর আদায়ের জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ৪. কৃষকেরা উৎপাদন কাজে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে এবং ১৭৭৭ সালে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় কঠিন দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ৫. ধীরে ধীরে সারা ভারতে মুসলমানগণ ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ৬. ইংরেজরা মুসলমানদের তাদের প্রধান শত্রু ও পথের কাঁটা হিসেবে গণ্য করে। ৭. সারা ভারতবর্ষে হিন্দু ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের জমিদারিত্ব শুরু হয়। মুসলমান ও হিন্দু দলিত শ্রেণী পরিণত হয় তাদের প্রজায়। ফলে জমিদারদের অত্যাচারে দরিদ্র মানুষ আরো দরিদ্র হতে থাকে। ৮. ইংরেজ ও উগ্র হিন্দুবাদিত্বদের উসকানিতে দফায় দফায় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা হতে থাকে এবং নিরীহ মুসলমানগণ হত্যার শিকার হতে থাকে। ৯. মুসলমানদের ধর্মীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে প্রচণ্ড আঘাত আসে। বলতে গেলে ইসলামী আদর্শের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ১০. ধীরে ধীরে হিন্দু ও পশ্চিমা সংস্কৃতি মুসলমানদের গ্রাস করতে থাকে। হ
লেখক : একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার
hoque2515@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা