২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রি য় জ ন প ঙ্ ক্তি মা লা

-

হামীম রায়হান
যোগ বিয়োগে বছর

দেখতে দেখতে বছরটা
পেরিয়ে এলাম বিশে,
উনিশটাতে নানা স্মৃতি
আছে মিলে মিশে!
বছরজুড়ে সড়ক ছিল
যেন মরণ ফাঁদ,
পেঁয়াজ ঘরে থাকা মানে
যেন ফাগুনের চাঁদ।
ছেলে ধরার গুজব নিয়ে
মরল কত লোক,
লবণ নিয়ে বছর শেষে
হঠাৎ হলো শোক।
ধানের ক্ষেতে হঠাৎ হলো
কী যে আজব ব্যাপার!
কোর্ট টাই ফেলে মানুষ
ব্যস্ত ফসল কাটার!
খেলার মাঠের সাকিব ছিল
আলোচনায় বেশ!
দু’বছরের নিষিদ্ধতে
মনটা ভেঙে শেষ!
রেলগাড়িতে ভাঙল কিছু
নিরীহ লোকের আশা,
আরো নানান ইস্যু নিয়ে
দেশটা ছিল ঠাসা।
যোগ-বিয়োগের অঙ্ক কষে
পেরিয়ে বছর গেল,
নতুন আশা জাগল মনে,
নতুন বছর এলো!
গোয়ালাবাজার, সিলেট

বনশ্রী বড়–য়া
বই

বইয়ের পাতায় সন্ধ্যা তারা
হাজার রঙের স্বপন,
বইয়ের পাতায় গল্প ছড়া
আনন্দের এক ভুবন।
বইয়ের পাতায় শাপলা ফোটে
জলের ধারায় নদী,
বইয়ের পাতায় আলোর প্রদীপ
সুখ ছড়ায় নিরবধি।
বইয়ের পাতায় জুঁই জোনাকি
আদর সোহাগ মায়ের,
বইয়ের পাতায় ভোরের শিশির
সবুজ শ্যামল গাঁয়ের।
বইয়ের পাতায় নজরুল আর
কবিগুরুর হাসি,
বইয়ের পাতায় নীলচে ঘুড়ি
বড্ড ভালোবাসি।
চট্টগ্রাম

সোমা মুৎসুদ্দী
নতুন বছর

নতুন বছর নতুন খুশি,
ভরুক সবার প্রাণ।
গাইছে পাখি শাখে শাখে,
নতুন ভোরের গান।
ফুটছে গোলাপ পাপড়ি মেলে,
সবুজ পাতার ফাঁকে।
নতুন বছর নতুন সাজে,
সবাইকে আজ ডাকে।
প্রজাপতি উড়ছে দেখো,
মেলে রঙিন ডানা।
নতুন করে হারিয়ে যেতে,
নেই যে কারো মানা।
চট্টগ্রাম

জুলফিকার আলী
অতিথি পাখি

সাইবেরিয়া থেকে পাখি
সোনার বাংলায় আসে,
শীত কাটাতে আশ্রয় নিতে
বাংলাকে ভালোবাসে।
হিজল গাছে বাসা বুনে
পরিযায়ী পাখি,
বাংলার প্রকৃতিজুড়ে
চলে মাখামাখি।
পুকুর ডোবা থেকে ওরা
মাছ আর শামুক খাচ্ছে,
বাংলা মায়ের প্রকৃতিতে
ওদের জীবন বাঁচছে।
শীতের শোভা বাড়ায় এরা
দেখতে লাগে বেশ,
ওদেরকে না ধরে বাঁচাও
পক্ষী পরিবেশ।


সুমন আহমেদ
শীতের কবিতা

বাঁশ বাগানের অবয়ব চুইয়ে-চুইয়ে
পড়ছে শিশির বিন্দু,
কুহেলিকার চাদরে জড়িয়ে আছে ভোর;
ধানক্ষেতের আভায়
যেন শত জনমের আকাক্সক্ষা বুকে নিয়ে-
ভালোবাসায় জড়িয়ে আছে শিশির জল।
রাত শেষে ভোরের রবির মিষ্টি কিরণে
আলোকিত করে ফোটেÑ গাঁদা,ডালিয়া, সূর্যমুখী;
অতিথি পাখিদের আগমনে প্রাণবন্ত প্রকৃতি-
যেন নতুন রূপে শীতের প্রতিটি সকাল...
বিষণœ দুপুরে ঝরাপাতার মরমর শব্দ;
নতুনত্বের প্রত্যাশায় দীর্ঘ প্রতীক্ষায়
নেড়া মাথার দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় বৃক্ষগুলো।
প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জীবনযুদ্ধে লড়াই করেনÑ
রেললাইন কিংবা রাস্তার অসহায় শীতার্ত মানুষ


রোমানুর রহমান রোমান
এক নং প্লাটফর্ম

আমার আস্থাপণ জুড়ে অসম্ভব আশ্চর্য,
দীর্ঘ দৃশ্যধারণ চোখ নামক ক্যামেরায়।
স্টেশনের এক নং প্লাটফর্মে একটি মেয়ে!
কখনো বসে তো কখনো দাঁড়িয়ে,
দেখতে দেখতে আমিও যাই হারিয়ে।
তার অপেক্ষার অবসান নেইÑ
প্লাটফর্মে ট্রেন খবরহীন।
আমার সেদিকে ভ্রƒক্ষেপ নেই,
বসে বসে ফোন হাতে আর দেখছি,
মাঝে মাঝে চোখাচোখিও হচ্ছে ঠিকইÑ
তবে তার চোখের মায়ায়
চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি নিমিষেই।
চোখের পলক শেষে হারিয়েও গেলÑ
আর খুঁজে খুঁজে হয়রান
আমার চোখ নামক ক্যামেরা।
বসে আছি এখনোÑ
স্টেশনের এক নং প্লাটফর্মে।
লিখছি তার কথা,
কানে এলো ট্রেনের হুইসেল,
বুঝলাম- এবার খবর হলো!
দর্শনা মোড়, রংপুর


আরো সংবাদ



premium cement