২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা থেকে মুক্তি : এক পরিবারের সাহস ও সচেতনতার গল্প

ফায়রুজ মানসুবা রোদশী
ফায়রুজ মানসুবা রোদশী - ছবি : সংগৃহীত

করোনা নামক আতঙ্কে আজ সারাবিশ্ব আতঙ্কিত। অতি মাত্রায় সংক্রমিত এ রোগটি প্রতিরোধে এখনো তৈরি হয়নি কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি সহজেই তার মনোবল হারিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। কিন্তু বিশ্ব জরিপ ওয়েব পেজ ওয়ার্ল্ডোমিটারস বলছে, প্রতি ১০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৯ জনই সুস্থ হয়ে যান। তাই আক্রান্ত হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, মানসিক শক্তি ও মানবিক সচেতনতার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এই মনোবল ও সচেতনতার সাথে করোনাকে পরাজিত করেছে ঢাকায় বসবাসকারী এক পরিবার। তাদের পুরো পরিবারের করোনা আক্রান্ত ও সেরে ওঠার যাত্রা তারা প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'আগামী স্কিল হাবের' সাথে।

সেই পরিবারের সাহসী সদস্য ফায়রুজ মানসুবা রোদশী জানিয়েছেন কিভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা ও সচেতনতা অবলম্বন করে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন তিনি ও তার পরিবার।

রোদশী জানান, তার বাবার মাঝে প্রথম করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। তারপর একে একে তিনিসহ পরিবারের সবার মাঝেই জ্বর, কাশি ও কাশিতে রক্ত আসা, গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টসহ নানা লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ দেখা দেয়ার দুই দিন পরে তারা করোনা টেস্ট করান। টেস্টের রেজাল্টে তারা জানতে পারেন পরিবারের সবাই করোনা পজিটিভ।

তারপর থেকেই শুরু হয় রোদশী ও তার পরিবারের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমেই তারা সবাই আলাদা রুম বা আলাদা বিছানা ব্যবহার করেছেন। পরিবারের প্রত্যেকেই আলাদা থালাবাটি ব্যবহার থেকে শুরু করে বাসায় থাকা অবস্থায় নিজেদের মাঝে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখেছে ও সর্বক্ষণ মাস্ক ব্যবহার করেছেন। একই সাথে তারা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলেছে। এছাড়াও কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করেছেন তারা।

কী কী ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করেছেন?

এই প্রশ্নের উত্তর রোদশী জানান, কিছুক্ষণ পর পর লবণ পানি দিয়ে গারগিল করা এবং দিনে দুই থেকে তিনবার গরম পানির বাষ্প নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করা। এই গরম পানির বাষ্প তৈরি করতে তারা পানির সাথে লবঙ্গ, আদা, রসুন, পেয়াজ, কালিজিরা দিয়ে বয়েল করেছে।

তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়ও পরিবর্তন এনেছে। এসময় স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে তরল ও গরম খাবার যেমন- চা, স্যুপ, কমলালেবুর শরবত, লেবুর শরবত, ডাবের পানি। একই সাথে কিছু সময় পরপর গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন তিনি। এভাবে করোনা নেগেটিভ হয়েছেন তিনিসহ তার পরিবারের সবাই।

তবে করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও প্রয়োজন সচেতনতা অবলম্বন।

রোদশী বলেন, টেস্ট নেগেটিভ আসার পর তারা পুরো বাড়ি জীবাণুমুক্ত করেছেন। বাড়ির মেঝে, দরজার হাতল, পানির কল, বিছানার চাদরসহ নিজেদের পোশাক স্যাভলন দিয়ে পরিষ্কার করেছেন।

একই সাথে রোদশ্রী সবাইকে মনোবল শক্ত রেখে নিজের ও সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement