২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হোলিতে ভারতের মুসলিম নারীদের হেনস্থার আহ্বান, অশ্লীল পোস্টে ভর্তি নেটদুনিয়া

- ছবি : সংগৃহীত

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দোল বা হোলি রঙের উৎসব। কিন্তু নারীদের জন্য এই উৎসব বরাবরই অস্বস্তিকর। দোল যেন নারীদের বিনা সম্মতিতে হেনস্থা করার লাইসেন্স দেয় দুর্বৃত্তদের। তার সঙ্গে এবার ভারত জুড়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের রঙ-ও যুক্ত হয়েছে। 'বুরা না মানো হোলি হ্যায়' স্লোগানের আড়ালে সেই বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রস্তুতি চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি এক বোরকা পরিহিত নারীর পিছনে ধাওয়া করে গিয়ে তার বোরকা তুলে তার মুখে রঙ মাখাচ্ছে।

সঙ্গে হিন্দি ভাষায় লেখা রয়েছে, 'চাহে নকাব পেহেন কে নিকলো ভাইজান-কে সাথ, রগর কে রঙ লাগেগা সুনো মোহতারমা সিধি বাত'। অর্থাৎ ভাইয়ের সঙ্গে বোরকা পরেও বাইরে বের হলেও ঘষে ঘষে রঙ দেওয়া হবে। বোরকা, মোহতারমা, ভাইজান-এর মতো শব্দগুলো ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী তা সহজেই বোঝা যায়।

এই নারীবিরোধী এবং ধর্মান্ধ ভিডিওই শেষ নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু অ্যাকাউন্ট থেকেই দোল খেলার ওসিলায় মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানির আহ্বান জানানো হয়েছে।

একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে যেমন লেখা হয়েছে- ‘সালমা আজা খোপচা মাই, গুলাল তোহার খাতির লাই, খুদ উতরোগি বোরকা ইয়া খিঞ্চ কে বোরকা হাম ভিগা দে তেরি চোলি (সালমা, কোণে এস, আমি তোমার জন্য রঙ এনেছি, নিজে বোরকা সরাবে নাকি টেনে নামিয়ে তোমার ব্লাউজ ভিজিয়ে দেব)।’

বাবু স্যাফ্রন নামে আরেকটি অ্যাকাউন্টের পোস্টের বয়ান, ‘ইস হোলি, ভিগা দো হর বুরখে ওয়ালে কি চোলি (এই হোলিতে, প্রত্যেক বোরকা-পরা মহিলাদের ব্লাউজ ভিজিয়ে দাও)।’

গত সপ্তাহেই টানা চারদিন ধরে সহিংসতার আগুনে জ্বলেছে দিল্লি। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও গোটা দেশেই মানুষে মানুষে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বলিউড সিনেমার দৌলতে দোলের দিনটি ভারতীয় মহিলাদের হেনস্থা হওয়ার বিষয়টি ছিলই।

কিন্তু এবার তাতে যেভাবে সাম্প্রদায়িক রং চড়ানো হচ্ছে তাতে দোলকে কেন্দ্র করে ফের দেশে অশান্তি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এইসব নারী ও ধর্ম বিদ্বেষী উস্কানিমূলক পোস্ট যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় মোদি সরকার সেটাই এখন দেখার বিষয়। এশিয়ানেট নিউজ।


আরো সংবাদ



premium cement