১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রত্যেক এলাকায় যোগ্য আলেম তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ আওলাদে রাসূল মানসুরপুরীর

প্রত্যেক এলাকায় যোগ্য আলেম তৈরির প্রতি গুরুত্বারোপ আওলাদে রাসূল মানসুরপুরীর - ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তের মাসয়ালা মানুষের জানার সুবিধার্থে প্রত্যেক এলাকায় যোগ্য ফকীহ ও আলেম তৈরি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস, আওলাদে রাসূল সা: সাইয়েদ মুফতি সালমান মানসুরপুরী। তিনি বলেছেন, ছাত্রদেরকে সঠিকভাবে ইলম অর্জন করতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা ফরজ। আর দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে হলে আল্লাহ এক এবং মোহাম্মাদ সা: আল্লাহর রাসূল এ কথা বিশ্বাস করতে হবে। সেইসাথে সকল নবী ও আসমানী কিতাবগুলো ওপর ঈমান আনতে হবে। আল্লাহ তাআলার ইবাদত, পবিত্রতা-অপবিত্রতা, হালাল-হারাম, নামাজ-রোজার মাসআলার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সুতরাং যে এসব বিষয়ের জ্ঞান অর্জন না করবে, তাকে দ্বীনদার বলা যাবে না।

শনিবার (২২ অক্টোবর) মিরপুর ১০ বেনারশী পল্লী সংলগ্ন জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলুম মাদরাসার ছাত্র মিলনায়তনে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। শাইখুল ইসলাম সাইয়েদ হোসাইন আহমদ মাদানীর রহ:-এর নাতি আল্লামা মুফতি সালমান মানসুরপুরীর শুভাগমন উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও চেতনায়ে আকাবিরে দারুল উলুম দেওবন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস মুফতি নাসিরুদ্দিন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও হাফেজ সাহেবদের পবিত্র কুরআনে কারিমের তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হজরত মানসুরপুরী আরো বলেন, ‘ইলম অর্জনের দুটি স্তর রয়েছে। ফরজ ইলম, যা সবার জন্য অর্জন করা ফরজ। যেমন আকিদাগত মৌলিক বিষয় জানা। আল্লাহ-নবী রাসূলের ওপর ঈমান গ্রহণ করা। নামাজ, রোযা হজ যাকাত পবিত্রতা ইত্যাদি মাসআলা জানা সবার জন্য ফরজ। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমান ও তাদের সন্তানদের মাদরাসা, মকতবে পাঠাবেন। যেনো ফরজ ইলম অর্জন করতে পারে।

দুই. ফরজে কেফায়ার ইলম। প্রতিটি সমাজে এমন কিছু লোক থাকা যারা মানুষের যাবতীয় সমস্যার সঠিক সমাধান দিবেন। এ পরকারের ইলম অর্জন করা সমষ্টিগতভাবে সবার ওপর ওয়াজিব। ব্যক্তিগতভাবে ফরজে কেফায়া। সমাজের কেউ দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিলে সবাইকে বেঁচে যাবে, না হয় সবই গুনাহগার হবে। এখনকার সময়ে দেশের ফতোয়া বিভাগগুলো সমাজের এ দায়িত্ব আদায় করে আসছে।। এ বিভাগের ছাত্রদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি নাসিরুদ্দিন কাসেমী বলেন, আল্লামা মুফতি সালমান মানসুরপুরী বর্তমান বিশ্বের একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন। তিনি ব্রিটিশখেদাও আন্দোলনের অগ্রসেনানী আওলাদে রাসূল হজরত হোসাইন আহমদ মাদানী রহ :-এর সুযোগ্য নাতি, এবং সেইসাথে ফতোয়া বিভাগের কিতাব ‘কিতাবুন নাওয়াযেল’-এর লেখক। এমন একজন মহান ব্যক্তিত্বকে আমাদের মাদরাসায় আনতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

পরে জামিয়া হোসাইনিয়া দারুল উলুম মাদরাসার জন্য একটি স্থায়ী জায়গা এবং মাদরাসার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে হজরত সালমান মানসুরপুরী দোয়া পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য দোয়া মাহফিলের পূর্বে মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আল্লামা মুফতি সালমান মানসুরপুরীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় ফুলের তোড়া দিয়ে হজরতকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

নবীজীর বংশধরকে এক পলক দেখার জন্য আশপাশের এলাকার মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ও আহলান সাহলান শ্লোগানে বেনারশী পল্লী সংলগ্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।


আরো সংবাদ



premium cement