২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাফেজে কুরআনের অনন্য মর্যাদা

হাফেজে কুরআনের অনন্য মর্যাদা - প্রতীকী ছবি।

মহান আল্লাহ যত মহান তার কালাম তথা কুরআনও তত মহান। আর এই কুরআন হিফজ করার মর্যাদাও অনকে অনেক বেশি। হাফেজ হওয়ার কারণে তাকে সব সময় কুরআন চর্চা করতে হয়, এতে সে প্রতি হরফে ১০টি নেকি লাভ করে। এভাবে সাধারণ মানুষের নেকি অর্জনের ক্ষেত্রে সে থাকে অগ্রগামী।

আরো পড়ুন- আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের মধ্যে ৩য় বাংলাদেশের তাকরিম

কেয়ামাতের দিনও একজন হাফেজে কুরআন বাড়তি মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবেন। হজরত আয়েশা রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, কুরআন মাজিদে দক্ষ ব্যক্তি (আখেরাতে) সম্মানিত নেককার লিপিকার ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি ঠেকে ঠেকে কষ্ট করে কুরআন পড়ে সে দু’টি পুরস্কার পাবে। (বোখারি শরিপ : ৪৯৩৭)

হজরত আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, কুরআনের বাহককে জান্নাতে প্রবেশকালে বলা হবে, তুমি পাঠ করতে থাকো এবং ওপরে আরোহন করতে থাকো। অত:পর সে পড়তে থাকবে এবং প্রতিটি আয়াত পড়ার সাথে সাথে একটি স্তর অতিক্রম করবে। এভাবে সে তার জ্ঞাত শেষ আয়াতটি পর্যন্ত পড়বে। (আবু দাউদ : ১৩১৭)

উপরোক্ত হাদিস পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, কুরআনের হাফেজ আখেরাতে ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবেন। তিনি যদি জান্নাতবাসী হতে পারেন, তাহলে জান্নাতে প্রবেশের পর কুরআন হিফজের বদৌলতে জান্নাতের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠবেন তার মুখস্থ থাকা শেষ আয়াতটি পড়া পর্যন্ত।

হযরত আলী রা: হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ রেখেছে এবং এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে। তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক ছিলো। (তিরমিজি শরিফ : ২৯০৫)


আরো সংবাদ



premium cement