১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই

ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই - ছবি : সংগ্রহ

পর্দা দ্বীনের অপরিহার্য বিধান। মুসলিম নারীদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক। কুরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলিল প্রমাণাদির ভিত্তিতে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি বিধানাবলীর মতো মুসলিম নারীদের জন্য পর্দা পালন সুস্পষ্ট এক ফরজ বিধান।

অপরদিকে একজন মুসলিম পুরুষের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটে ওঠে দাড়ির মাধ্যমে। পুরুষ বৈশিষ্ট্যের অন্যতম নিদর্শন হলো 'দাড়ি'। দাড়ি রাখা, হিজাব পরা নিছক ফ্যাশন নয়। দাড়ি রাখা, হিজাব পরা মুসলমান নারী-পুরুষের অন্যতম ইবাদত। দাড়ি রাখা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-সহ সকল নবীরই একটি বিশেষ সুন্নাত। তাছাড়া পুরুষ ও নারীর মাঝে পার্থক্য করারও অন্যতম নিদর্শন হলো- 'দাড়ি'।

কিন্তু দুঃখ ও আফসোসের সাথে বলতে হয়, ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে প্রায়ই দেখা যায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাড়ি, টুপি, হিজাব নিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ঘটনাটি নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে বেশ। এটা স্পষ্টতই সংবিধান স্বীকৃত আমাদের ধর্মীয় অধিকারে বেআইনি হস্তক্ষেপের শামিল। আমরা কোনোভাবেই এধরণের হস্তক্ষেপ কামনা করি না।

দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাব এগুলো মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। এদেশের মা-বোনেরা বোরকা-হিজাব পরে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে যাবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাড়ি-টুপি পরিধান করবে। এটাই আমাদের হাজার বছরের সোনালি ইতিহাস। তাহলে কাদের ইন্ধনে আমাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হলো? এর পিছনে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা, আমরা জানতে চাই।

আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। দেশের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষিদের শাস্তি এবং সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর প্রতি অন্যায় আচরণের প্রতিকার দাবি করছি। সেইসাথে দাড়ি রাখার ধর্মীয় অধিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

লেখক : প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ


আরো সংবাদ



premium cement