২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধর্মীয় বিষয়ে মুফতি রেজাউল করিম আবরারের অনন্য খেদমত

মুফতি রেজাউল করিম আবরার - ফাইল ছবি।

দেখতে সাদামাটা। বয়সও কম। কিন্তু, একের পর এক বড় বড় দ্বীনি কাজ করে চলেছেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার। তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ী পূর্ব গ্রামে ১৯৯৩ ঈসায়ি সনে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমে দ্বীন শায়খুল হাদিস আল্লামা কুতবুদ্দীন রহ:।

মুফতি রেজাউল করিম আবরার তাকমিল ফিল হাদিস সমাপ্ত করেন ঢাকার সুনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া ইকরায়। তাখাসসুস ফি উলুমিল হাদিস পড়েন ঢাকার প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ায় ও তাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা পড়েন জামেয়া আবু বকরে।

মুফতি রেজাউল করিম আবরার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে জামেয়া আবু বকর যাত্রাবাড়িতেই মুফতি এবং সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।

বর্তমানে তিনি জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুতুবখালির শায়খুল হাদিস এবং জামেয়া মাহমুদিয়া যাত্রাবাডির প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যখনই ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষ থেকে কিংবা ইসলামের পোশাক পরে ঘাপটি মেরে থাকা বাতিলপন্থীদের পক্ষ থেকে ইসলামের ওপরে বিভিন্ন অযৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন সবার আগে উচ্চকিত কণ্ঠে অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রমাণাদিসহ কথা বলেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ইসলামপ্রিয় মুসলিম নারী-পুরুষ তার আলোচনা থেকে ইসলামের বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে দলীলভিত্তিক সমাধান খুঁজে পান।

মুফতি রেজাউল করিম আবরার মাদরাসায় পড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং এফ.এম রেডিওতে তার তাত্ত্বিক আলোচনা বেশ সমাদৃত হচ্ছে। বিভিন্ন বাতিল মতবাদের খণ্ডন ও মুসলিম তরুণদেরকে সচেতন করতে লেখালেখি ছাড়াও মিডিয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি।

শিক্ষাজীবনেই প্রকাশিত হয় তার অনূদিত এবং প্রথম গ্রন্থ ‘তারাবীর নামায, একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’। এরপর ড. শায়খ আলি তানতাবির ‘আলোর মিনার’ (অনুবাদ), ‘দাজ্জাল’ (মৌলিক) ছাড়াও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে এবং বিজ্ঞমহলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement