২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুহররম মাসে কী আমল করব?

মুহররম মাসে কী আমল করব? - ছবি : সংগৃহীত।

আরবি হিজরির প্রথম মাস মুহররম। এটি মহান আল্লাহর মাস হিসেবে পরিচিত। এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদার কারণে বিশেষ আমল ও ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বশেষ নবী হজরত মোহাম্মদ সা:। এখানে কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো—

১. মুহররম মাস নফল রোজা ও ইবাদত-বন্দেগির মাস। এই মাসে রোজা পালনের বিশেষ ফজিলত আছে। রাসূল সা: বলেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মুহররম মাসের রোজা। আর ফরজ সালাতের পর উত্তম সালাত হলো গভীর রাতের সালাত।’ (মুসলিম : ২৬৪৫)

২. রাসুলুল্লাহ সা: ১০ মুহররম উম্মতকে রোজা রাখতে বলেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা: মদিনায় হিজরতের পর দেখেন, ইহুদিরা (মুসার আ: মুক্তির স্মরণে) এদিন রোজা পালন করছে। তখন রাসুলুল্লাহ সা: বললেন, আমরা মুসার আ:-এর অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। তিনি নিজে সেই (আশুরার) দিনের রোজা পালন করলেন এবং সাহাবাদেরও (এই আশুরার দিন রোজা) নির্দেশ দিলেন।’ (বুখারি)

৩. ইহুদিদের অনুসরণ যেন না হয় সেজন্য দুই দিন রোজা পালনের নির্দেশ দেন তিনি। রাসূল সা: বলেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে ৯ এবং ১০ মুহররম দুই দিনই রোজা রাখব।’ (মুসলিম : ২৭২২)

৪. ইবনে আব্বাস রা: বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: মদিনাতে এলেন; তখন মদিনার ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করত। তারা জানাল, এ দিন মুসা আ: ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সা: তাঁর সাহাবিদের বললেন, মুসা আ: এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হকদার। কাজেই তোমরা রোজা রাখো।’ (মুসলিম : ২৭১৪)

৫. মানুষ স্বভাবতই গুনাহ করে। মুহররম তথা আশুরার রোজা এতই মর্যাদাপূর্ণ যে, এটি বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমার ব্যবস্থা করে। রাসূল সা: বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম : ২৮০৪)

৬. মুহররম মাসকে কেন্দ্র করে রুসুম রেওয়াজ ও নাম সর্বস্ব উৎসব পালন করা যাবে না। এগুলোর সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। মুমিন শুধু সেসব আমলই করবে; যেসব আমলের ব্যাপারে অনুমোদন ও নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম।


আরো সংবাদ



premium cement