২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে ৪ মাসে হাফেজ পাকিস্তানি শিশু

হাফেজ পাকিস্তানি শিশু - ছবি : সংগৃহীত

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মাত্র চার মাসে কুরআন হিফজ শেষ করেছে ১২ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি শিশু। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের ফেসবুক পেজে শিশুটির সাক্ষাতকারের এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

সাক্ষাতকারে শিশুটি জানায়, কুরআন হিফজ করার পেছনে তার সবচেয়ে বড় প্রভাবক ছিল মায়ের স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণা।

সাক্ষাতকারে সে বলে, ‘জন্মগ্রহণ করার পর থেকেই আমার মা আমাকে ‘হাফেজ‘ বলে ডাকতেন। মা বাবাকে বলতেন, আমার ছেলে বড় হয়ে হাফেজ-আলেম হবে। সে এমন কারী হবে যার আওয়াজ মানুষের অন্তরে গিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করবে।’

কিন্তু যখন শিশুটির মাত্র চার বছর বয়সে তার মা ব্লাডক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সে হাফেজ হলো ঠিকই কিন্তু তার মা আর সেটি দেখে যেতে পারলেন না।

তবে এ কথা সত্য যে তার মায়ের স্বপ্নের মতোই সুমিষ্ট কুরআন তিলাওয়াত তার, যে কারো হৃদয় কাড়বে।

শিশুটি বলে, ‘আমার মায়ের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছিল। তার স্বপ্ন ছিল আমি হাফেজে কুরআন হই। আমার চাওয়া- আল্লাহ আমার প্রতি, আমার মায়ের প্রতি খুশি হন। মাকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মর্যাদা দান করেন। আজ যদি মা বেঁচে থাকতেন তাহলে তাকে আমি কুরআন তিলাওয়াত শোনাতাম। আমার মা খুব খুশি হতেন (কান্না জড়িত কণ্ঠে) এবং আমাকে আদর দিতেন কিন্তু তিনি আজ পৃথিবীতে নেই। আল্লাহ আমার মাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মর্যাদা দান করেন।’

দর্শকদের উদ্দেশ্যে শিশুটি আহ্বান জানিয়ে বলে, ‘যদি আপনার মা-বাবা জীবিত থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই তাদের যত্ন নিবেন, খেয়াল রাখবেন। আমার মা নেই আমি যে কী শূন্যতা অনুভব করি; আমার মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন না। আল্লাহ জানেন যে আমি তার বিরহে কত দুঃখ পাই ও হৃদয়কে কেমন ভাঙা অনুভব করি।‘

সাক্ষাৎকারে নিজের মার মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআনের সুরা বনি ইসরাঈল থেকে কিছু অংশ তিলাওয়াত করে ওই শিশু।

তার তিলাওয়াতকৃত অংশের অর্থ: ‘আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ‘ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’। তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভালই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল।’ (সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ২৩-২৫)

সূত্র : ডেইলি পাকিস্তান

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement