২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এহসান গ্রুপের প্রতারণা নিয়ে ইসলামী বক্তার পোস্ট, মুহূর্তেই ভাইরাল

এহসান গ্রুপের পক্ষে প্রচারণার বিরুদ্ধে ইসলামী বক্তার পোস্ট, মুহূর্তেই ভাইরাল - ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের নাম করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও কতিপয় আলোচিত বক্তা মাহফিলের নামে এহসান গ্রুপের পক্ষে প্রচারণা চালানোর ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা আবদুর রহীম আল মাদানী। পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘মিথ্যা সকল ক্ষেত্রেই ঘৃণিত। হোক সেটা সিনেমার রূপালি পর্দায় কিংবা ওয়াজের পবিত্র মঞ্চে।’

মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এই পোস্ট দেন তিনি। তার এই পোস্টটি এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।ফেসবুক পোস্ট আবদুর রহীম আল-মাদানী বলেন, এহসান গ্রুপের মাহফিলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মাহফিলে আলেম-ওলামার অংশগ্রহণ, তাদের বক্তব্য ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাদিসের আলোকে সামান্য পর্যালোচনা। তিনি বলেন যে রাসুল সা: বলেছেন, ‘মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন মিথ্যার দুর্গন্ধে ফেরেশতারা মিথ্যাবাদী থেকে এক মাইল দূরে চলে যায়।’ (তিরমিজি : ১৯৭২)। সুতরাং মিথ্যা সকল ক্ষেত্রেই ঘৃণিত। হোক সেটা সিনেমার রূপালি পর্দায় কিংবা ওয়াজের পবিত্র মঞ্চে।

ইসলামী এই বক্তার মতে, সিনেমার রূপালি পর্দায় মিথ্যা কল্পকাহিনী দেখেও মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়, মানুষ অশ্রু বানে ভেসে যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে কখনোই হেদায়েত হয় না। অনুরূপভাবে ওয়াজের মঞ্চেও মিথ্যা কল্পকাহিনী দিয়ে ওয়াজ করলে হয়তো মানুষ অশ্রুসিক্ত হতে পারে, কিছুটা আবেগ-আপ্লুত হতে পারে এবং কিছুটা কানের সুখও পেতে পারে। কিন্তু কখনোই তার মাধ্যমে হেদায়েত আশা করা যায় না। কারণ মিথ্যা কখনোই হেদায়েতের উপকরণ হতে পারে না।

পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলেম-ওলামা নিয়ে যতবার পাবলিক প্লেসে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ঘটনা ঘটেছে। যতবার ওলামা সমাজ চরম অপমান এবং তিরস্কারের সম্মুখীন হয়েছেন।

মাওলানা আবদুর রহীম লিখেছেন, ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এর পেছনে মূল কারণ তিনটি। ১. ওয়াজের মঞ্চে মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করা ২. ভুল ফতোয়া আদান-প্রদান করা ৩. অহেতুক হাস্য-রসিকতা করে জবানের অপব্যবহার করা, যার কোনোটিই শরীয়ত সম্মত নয়।

তিনি আরো লিখেছেন, শরীয়ত বিবর্জিত বিষয় দিয়ে কখনোই মানুষের হেদায়েত কামনা করা সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে সম্মান কুড়ানোও সম্ভব নয়। সুতরাং আসুন, আমরা আমাদের জবানের ব্যাপারে যত্নবান হই। ফেসবুকে একে অপরের পক্ষ-বিপক্ষে পোস্ট না করে নিজেরা নিজেদের জায়গা থেকে সংশোধন হয়ে যাই। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফীক দান করুন।

পোস্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নয়া দিগন্তকে মাওলানা আবদুর রহীম আল-মাদানী বলেন, ইসলামের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা, তাদের সাথে প্রতারণা করা এটি জঘন্যতম অপরাধ। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করা প্রকৃত আলেমদের দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই এই পোস্ট দেয়া। আশা করি সাধারণ মানুষের মাঝে আলেমদের সম্পর্কে ভুল ধরণা দূর হবে।


আরো সংবাদ



premium cement