২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিলকদ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

-

আরবি ১২ মাসের মধ্যে একাদশ মাসটি হলো জিলকদ। যার আরবি নাম ‘জুল-আল-কাআদাহ’। ফারসিতে বলা হয় ‘জিলকাআদা’, উর্দুতে ‘জিলকাআদ’ বাংলায় ‘জিলকদ’। ‘জুলকাআদাহ’ শব্দের অর্থ হলো বসা, স্থির হওয়া বা বিশ্রাম নেয়া।

আরবদের সমকালীন অবস্থার দিকে লক্ষ করেই প্রতিটি মাসের নামকরণ করা হতো। আর এ মাসটির নাম জিলকদ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, এই সময় আরবের লোকজন বাণিজ্য ও যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত। ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টায় স্থানীয় আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোনো কাজ থাকত না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকত এবং অন্যায়-অপরাধ থেকেও নিবৃত্ত থাকত। এসব কারণেই এই মাসের নাম জিলকদ। (লিসানুল আরব, ইবনে মানজুর)

যদিও জিলকাদ মাস বিশ্রামের মাস, তথাপি এ মাসের রয়েছে স্মরণীয় ঘটনা, রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, ফজিলত ও আমল। এটি হজের তিন মাসের, (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) মধ্য দ্বিতীয় মাস। আর, হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) তৃতীয় মাস। তা ছাড়াও এ মাসটি ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস), এ গুরুত্বপূর্ণ দুটি উৎসব বা মাসের মাঝামাঝিতে অবস্থিত।

জিলকদ মাস আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য বিশ্রামের মাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেননা, এ মাসটির আগের চার মাস, আর পরবর্তী দুই মাস ইবাদতের ব্যস্ততম মাস। তথাপি আমাদের উচিত বিশ্রাম বা অবসরের এ মাসটিকে অবহেলা না করা, সময়ের মূল্য দেয়া ও যথাসম্ভব ইবাদতে রত থাকা। কেননা, আল্লøাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টিই করেছেন শুধু তাঁর ইবাদত করার জন্য। আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি জিন এবং মানুষকে এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা (শুধু) আমারই ইবাদত করবে।’ (সূরা জারিয়াত, আয়াত ৫১ : ৫৬)
তাই মুমিন-মুসলমানরা অবসর সময় পেয়ে হেলায় সময় কাটিয়ে না দেবে না, সে সময়ও ইবাদত করবে। এ সম্পর্কে অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা অবসর সময়ে ইবাদতের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘যখনই অবসর পাও দাঁড়িয়ে যাও, তোমার রবের ইবাদতে মশগুল হও।’ (সূরা ইনশিরাহ, আয়াত : ৭-৮)

তবে, যদিও এ মাসটিতে আল্লøাহর পক্ষ থেকে স্পেসিফিক কোনো আমল নির্ধারণ করা হয়নি, তারপরও আমরা ফরজ আমলগুলোর পাশাপাশি কিছু নফল আমল করতে পারি। আর তা হলো-


১. প্রতি মাসের মতো এই মাসেও নফল রোজা (১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০) রাখতে পারি।
২. চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের সুন্নত রোজা রাখা।
৩. প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববি রোজা পালন করা।
৪. প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা।
৫. সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া।
৬. বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
৭. গরিব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, দান-সদকা করা। আর ইবাদত শুধু নামাজ, রোজা ইত্যাদি নয়। মুমিনের জীবনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। তাই সকল কাজ ইসলামী পন্থায় করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী সাকিবকে ডিপিএলে চান বিসিবি প্রধান নির্বাচক কাতারের সাথে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল

সকল