২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অসমাপ্ত রচনা

নবীজি

নবীজি - হুমায়ূন আহমেদ - ফাইল ছবি

তখন মধ্যাহ্ন।
আকাশে গনগনে সূর্য। পায়ের নিচে বালু তেতে আছে। ঘাসের তৈরি ভারী স্যান্ডেল ভেদ করে উত্তাপ পায়ে লাগছে। তাঁবুর ভেতর থেকে বের হওয়ার জন্য সময়টা ভালো না। আউজ তাঁবু থেকে বের হয়েছে। তাকে অস্থির লাগছে। তার ডান হাতে চারটা খেজুর। সে খেজুর হাতবদল করছে। কখনো ডান হাতে কখনো বাম হাতে। আউজ মনের অস্থিরতা কমানোর জন্য দেবতা হাবলকে স্মরণ করল। হাবল কাবা শরিফে রাখা এক দেবতা-যার চেহারা মানুষের মতো। একটা হাত ভেঙে গিয়েছিল বলে কাবা ঘরের রক্ষক কোরেশরা সেই হাত সোনা দিয়ে বানিয়ে দিয়েছে। দেবতা হাবলের কথা মনে হলেই সোনার তৈরি হাত চোখে চকমক করে।

দেবতা হাবলকে স্মরণ করায় তার লাভ হলো। মনের অস্থিরতা কিছুটা কমল। সে ডাকল, শামা শামা। তাঁবুর ভেতর থেকে শামা বের হয়ে এলো। শামা আউজের একমাত্র কন্যা। বয়স ছয়। তার মুখ গোলাকার। চুল তামাটে। মেয়েটি তার বাবাকে অসম্ভব পছন্দ করে।
বাবা একবার তার নাম ধরে ডাকলেই সে ঝাঁপ দিয়ে এসে তার বাবার গায়ে পড়বে। শামার মা অনেক বকাঝকা করেও মেয়ের এই অভ্যাস দূর করতে পারেননি।

আজও নিয়মের ব্যতিক্রম হলো না। শামা এসে ঝাঁপ দিয়ে বাবার গাঁয়ে পড়ল। সে হাঁটতে পারছে না। তার বাঁ পায়ে খেজুরের কাঁটা ফুটেছে। পা ফুলে আছে। রাতে সামান্য জ্বর এসেছে।

শামা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাবার কাছে আসতেই তার বাবা এক হাত বাড়িয়ে তাকে ধরলো। এক হাতে বিচিত্র ভঙ্গিতে শূন্যে ঝুলিয়ে তাকে কোলে তুলে নিলো। শামা খিলখিল করে হাসছে। তার বাবা যেভাবে তাকে কোলে তোলেন অন্য কোনো বাবা তা পারেন না। আউজ বলল, মা খেজুর খাও।

শামা একটা খেজুর মুখে নিলো। সাধারণ খেজুর এটা না। যেমন মিষ্টি স্বাদ তেমনি ঘ্রাণ। এই খেজুরের নাম মরিয়ম।

আউজ মেয়েকে ঘাড়ে তুলে নিয়েছে। রওনা হয়েছে উত্তর দিকে। শামার খুব মজা লাগছে। কাজকর্ম না থাকলে বাবা তাকে ঘাড়ে নিয়ে বেড়াতে বের হন। তবে এমন কড়া রোদে কখনো না। আউজ বলল, রোদে কষ্ট হচ্ছেরে মা?

শামা বলল, না।

তার কষ্ট হচ্ছিল। সে না বলল শুধু বাবাকে খুশি করার জন্য।
বাবা!
হুঁ।
আমরা কোথায় যাচ্ছি?
তোমাকে অদ্ভুত একটা জিনিস দেখাব।
সেটা কী?
আগে বললে তো মজা থাকবে না।

তাও ঠিক। বাবা, অদ্ভুত জিনিসটা শুধু আমি একা দেখব? আমার মা দেখবে না? বড়রা এই জিনিস দেখে মজা পায় না।

আউজ মেয়েকে ঘাড় থেকে নামাল। সে সামান্য ক্লান্ত।

তার কাছে আজ শামাকে অন্য দিনের চেয়েও ভারী লাগছে। পিতা এবং কন্যা একটা গর্তের পাশে এসে দাঁড়াল। কুয়ার মতো গর্ত, তবে তত গভীর নয়।

আউজ বলল, অদ্ভুত জিনিসটা এই গর্তের ভেতর আছে। দেখো ভালো করে। শামা আগ্রহ এবং উত্তেজিত হয়ে দেখছে। আউজ মেয়ের পিঠে হাত রাখল। তার ইচ্ছা করছে না মেয়েটাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলতে। কিন্তু তাকে ফেলতে হবে। তাদের গোত্র বনি হাকসা আরবের অতি উচ্চ গোত্রের একটি। এই গোত্র মেয়েশিশু রাখে। তাদের গোত্রের মেয়েদের অন্য গোত্রের পুরুষ বিবাহ করবে? এত অসম্মান?

ছোট্ট শামা বলল, বাবা, কিছু তো দেখি না। আউজ চোখ বন্ধ করে দেবতা হাবলের কাছে মানসিক শক্তির প্রার্থনা করে শামার পিঠে ধাক্কা দিলো। মেয়েটা ‘বাবা’ ‘বাবা’ করে চিৎকার করছে। তার চিৎকারের শব্দ মাথার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। আউজকে দ্রুত কাজ সারতে হবে। গর্তে বালু ফেলতে হবে। দেরি করা যাবে না।

এক মুহূর্ত দেরি করা যাবে না। শামা ছোট্ট হাত বাড়িয়ে ভীত গলায় বলছে, বাবা, ভয় পাচ্ছি। আমি ভয় পাচ্ছি।

আউজ পা দিয়ে বালুর একটা স্তূপ ফেলল। শামা আতঙ্কিত গলায় ডাকল, মা! মা! গো!
তখন আউজ মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল, উঠে আসো।

আউজ মাথা নিচু করে তাঁবুর দিকে ফিরে চলেছে। তার মাথায় পা ঝুলিয়ে আতঙ্কিত মুখ করে ছোট্ট শামা বসে আছে। আউজ জানে সে মস্ত বড় ভুল করেছে। গোত্রের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। তাকে অবশ্যই গোত্র থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। এই অকরুণ মরুভূমিতে সে শুধু তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাঁচাতে পারবে না। জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে তাকে গোত্রের সাহায্য নিতেই হবে। গোত্র টিকে থাকলে সে টিকবে।

বেঁচে থাকার সংগ্রামের জন্য গোত্রকে সাহায্য করতেই হবে। গোত্র বড় করতে হবে। পুরুষশিশুরা গোত্রকে বড় করবে। একসময় যুদ্ধ করবে। মেয়েশিশুরা কিছুই করবে না। গোত্রের জন্য অসম্মান নিয়ে আসবে। তাদের নিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে যাওয়াও কষ্টকর।

আউজ আবার গর্তের দিকে ফিরে যাচ্ছে। ছোট্ট শামা ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না। মরুভূমিতে দিকচিহ্ন বলে কিছু নেই। সবই এক।

আজ থেকে ১৭০০ বছর আগে আরব পেনিসুয়েলার এটি অতি সাধারণ একটি চিত্র। রুক্ষ কঠিন মরুভূমির অতি সাধারণ নাটকীয়তাবিহীন ঘটনা। যেখানে বেঁচে থাকায় অসম্ভব ব্যাপার সেখানে মৃত্যু অতি তুচ্ছ বিষয়।

আরব পেনিনসুলা। বিশাল মরুভূমি। যেন আফ্রিকার সাহারা। পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পার্শিয়ান গালফ। দক্ষিণে ফিলিস্তিন এবং সিরিয়ার নগ্ন পর্বতমালা। সমস্ত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি অঞ্চল। এখানে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বলে কিছু নেই, সারা বছরই মরুর আবহাওয়া। দিনে প্রখর সূর্যের উত্তাপ সব জ্বালিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। সারা দিন ধরে বইছে মরুর শুষ্ক হাওয়া। হাওয়ার সাথে উড়ে আসছে তীক্ষè বালুকণা। কোথাও সবুজের চিহ্ন নেই। পানি নেই। তার পরেও দক্ষিণের পর্বতমালায় বৃষ্টির কিছু পানি কিভাবে কিভাবে চলে আসে। মরুভূমিতে। হঠাৎ খানিকটা অঞ্চল সবুজ হয়ে ওঠে। বালু খুঁড়লে কাদা মেশানো পানি পাওয়া যায়। তৃষ্ণার্ত বেদুইনের দল ছুটে যায় সেখানে। তাদের উটগুলোর চোখ। চকচক করে ওঠে। তারা হঠাৎ গজিয়ে ওঠা কাঁটাভর্তি গুল্ম চিবায়। তাদের ঠোঁট কেটে রক্ত পড়তে থাকে। তারা নির্বিকার। মরুর জীবন তাদের কাছেও কঠিন। অতি দ্রুত পানি শেষ হয়। কাটাভর্তি গুল্ম শেষ হয়। বেদুইনের দলকে আবার পানির সন্ধানে বের হতে হয়। তাদের থেমে থাকার উপায় নেই। সব সময় ছুটতে হবে। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। কোথায় আছে পানি? কোথায় আছে সামান্য সবুজের রেখা? ক্লান্ত উটের শ্রেণী তাদেরকে মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিয়ে চলে।

মাঝেই যুদ্ধ। এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রে হামলা। পরিচিত গোত্রের পুরুষদের হত্যা করে। রূপবতী মেয়েদের দখল নিয়ে নেয়া। রূপবতীরা সম্পদের মতো, তাদের বেচাকেনা করা যায়।

প্রতিটি গোত্র নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টাতেই যুদ্ধ চালিয়ে যায়।

ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়ে সিরিয়া ও ইয়ামেন থেকে যখন আসা-যাওয়া করে তখন। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। মালামাল লুট করতে হয়। বেঁচে থাকতে হবে। সারভাইবেল ফর দ্য ফিটেস্ট। ভয়ঙ্কর এই মরুভূমিতে যে ফিট সে-ই টিকে থাকবে। তাদের কাছে জীবন মানে বেঁচে থাকার ক্লান্তিহীন যুদ্ধ।

এই ছোটাছুটির মধ্যেই মায়েরা গর্ভবতী হন। সন্তান প্রসব করেন। অপ্রয়োজনীয় কন্যাসন্তানদের গর্ত করে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হয়।

পবিত্র কুরআন শরিফে সূরা তাকবীরে জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যা বিষয়ে আয়াত নাজেল হলো। কেয়ামতের বর্ণনা দিতে দিতে পরম করুণাময় বললেনÑ

সূর্য যখন তার প্রভা হারাবে, যখন নক্ষত্র খসে পড়বে, পর্বতমালা অপসারিত হবে। যখন পূর্ণগর্ভা স্ত্রী উপেক্ষিত হবে, যখন বন্যপশুরা একত্র হবে, যখন সমুদ্র স্ফীত হবে, দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হবে, তখন জীবন্ত সমাধিস্থ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবেÑ কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?

যে মহামানব করুণাময়ের এই বাণী আমাদের কাছে নিয়ে এসেছেন, আমি এক অকৃতী তার জীবনী আপনাদের জন্য লেখার বাসনা করেছি। সব মানুষের পিতৃঋণ-মাতৃঋণ থাকে। নবীজির কাছেও আমাদের ঋণ আছে। সেই বিপুল ঋণ শোধের অতি অক্ষম চেষ্টা। ভুলভ্রান্তি যদি কিছু করে ফেলি তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি পরম করুণাময়ের কাছে। তিনি তো ক্ষমা করার জন্যই আছেন। ক্ষমা প্রার্থনা করছি নবীজির কাছেও। তাঁর কাছেও আছে ক্ষমার অথৈ সাগর।


‘তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে।’

বিখ্যাত এই গানের কলি শুনলেই অতি আনন্দময় একটি ছবি ভেসে ওঠে। মা মুগ্ধ চোখে নবজাত শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর কোলে পূর্ণিমার স্নিগ্ধ চন্দ্র। তার চোখ-মুখ আনন্দে ঝলমল করছে। ঘটনা কি সে রকম?

সে রকম হওয়ার কথা না। শিশুটির বাবা নেই। বাবা আবদুল্লাহ তাঁর সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি। মা আমিনার হৃদয় সেই দুঃখেই কাতর হয়ে থাকার কথা। আরবের শুষ্ক কঠিন ভূমিতে পিতৃহীন একটি ছেলের বড় হয়ে ওঠার কঠিন সময়ের কথা মনে করে তার শঙ্কিত থাকার কথা।

শিশুর জন্মলগ্নে মা আমিনার দুঃখ-কষ্ট যে মানুষটি হঠাৎ করে দূর করে দিলেন, তিনি ছেলের দাদাজান। আবদুল মোতালেব। কাবার সামনে শিশুটিকে দু’হাত উপরে তুলে উচ্চকণ্ঠে বললেন, আমি এই নবজাত শিশুর নাম রাখলাম, মোহাম্মদ।

সবাই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করল। নতুন ধরনের নাম। আরবে এই নাম রাখা হয় না। একজন বলল, এই নাম কেন? উত্তরে মোতালেব বললেন, মোহাম্মদ শব্দের অর্থ। প্রশংসিত। আমি মনের যে বাসনায় নাম রেখেছি তা হলোÑ এক দিন এই শিশু স্বর্গে ও পৃথিবীতে দুই জায়গাতেই প্রশংসিত হবে।

শিশুর জন্ম উপলক্ষে (জন্মের সপ্তম দিনে) দাদা মোতালেব বিশাল ভোজের আয়োজন করলেন। শিশুর চাচারাও আনন্দিত। এক চাচা আবু লাহাব তো আনন্দের অতিশয্যে একজন ক্রীতদাসীকে আজাদ করে দিলেন। ক্রীতদাসীর নাম সুয়াইবা। সে-ই প্রথম আবু লাহাবের কাছে শিশু মোহাম্মদের জন্মের খবর পৌঁছে দিয়েছিল। এই সুয়াইবাই এক সপ্তাহ মোহাম্মদকে তার বুকের দুধ পান করিয়েছিলেন। নবীজি তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় কন্যা রুকাইয়া ও কুলসুমকে বিয়ে দিয়েছিলেন আবু লাহাবের দুই পুত্রের সাথে। ‘একজনের নাম উবা, অন্যজনের নাম উতাইবা। দুই বোনকে একসাথে না। রুকাইয়াকে প্রথমে। রুকাইয়ার মৃত্যুর পর কুলসুমকে। যদিও পরবর্তী সময়ে আবু লাহাবের নামে পবিত্র কুরআনে আয়াত নাজেল হলো-

ধ্বংস হোক সে। তার ধনসম্পদ ও উপার্জন তার কোনো কাজে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে। তার স্ত্রীও যে ইন্ধন বহন করে। তার গলদেশ খেজুর গাছের আঁশের দৃঢ় রুজু নিয়ে। (সূরা লাহাব)

শিশু মুহাম্মদের জন্ম তারিখটা কী?

যাকেই জিজ্ঞেস করা হোক সে বলবে-৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ। বারোই রবিউল আওয়াল। দিনটা ছিল সোমবার। সারা পৃথিবীজুড়ে এই দিনটিই জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। ঈদে মিলাদুন্নবীতে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি পালন করা হয়।

নবীজির জন্মের সঠিক তারিখ নিয়ে কিন্তু ভালো জটিলতা আছে। ইতিহাসবিদরা মোটামুটি সবাই একমত যে তাঁর জন্ম হয়েছে হস্তিবর্ষে।

লেখক : দেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক
কৃতজ্ঞতা : হাসান হাফিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ


আরো সংবাদ



premium cement
মেট্রোরেলের জন্য ৫ বছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চায় সড়ক বিভাগ সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতির অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের সাজেকে ট্রাক উল্টে নিহত ৬ জাজিরায় আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ জেল থেকে বেরিয়ে ফের শিশুপর্নোতে জড়ালেন শিশুসাহিত্যিক টিপু ঢাকাসহ জেলায় জেলায় ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া হজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধকতা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি এশিয়ায় : জাতিসঙ্ঘ বিচারক-আইনজীবী-জেলারের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের ফেসবুকে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি, রংপুরে ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে ইসির বৈঠক আজ

সকল