২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় : অতপর স্বস্তির বৃষ্টি

- ছবি: নয়া দিগন্ত

তীব্র দাবদাহ, অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে পরিত্রাণ পেতে রহমতের বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন দিনাজপুরের হাজারো মানুষ। বিভিন্ন স্থানে আলাদা আলাদাভাবে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আর নামাজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে মুহুর্তেই ভিজে যায় তপ্ত জমিন। মানুষের মুখে ভাসতে থাকে মহান রবের প্রতি শুকরিয়া।

দিনাজপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর মিতালী সংঘ মাঠে জামিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া কারিয়ানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং মাদরাসা এবং স্থানীয় সুমুল্লিদের আয়োজনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রখর রোদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুসুল্লি এ ইসতিসকার নামাজ ও দোয়ায় অংশ নেন।

এই নামাজে ইমামতি করেন মাদরাসার মুহাদ্দিস ও ২ নম্বর বাজার জামে মসজিদের ইমাম ওয়ালিলুল্লাহ সিরাজি।

দাবদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে রহমতের বৃষ্টির আশায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকার নামাজে মুসল্লীরা চোখের পানি ফেলে দোয়া করেন।

নামাজ শেষে মাদরাসার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন বলেন, গরমে কাজ ঠিক মতো করা যাচ্ছে না। জনজীবন নাভিঃশ্বাস হয়ে উঠেছে। রহমতের বৃষ্টির আশায় আজ নামাজ আদায় করলাম। এ নামাজে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুসুল্লি অংশ নিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শমশের আলী বলেন, অনাবৃষ্টি আর গরমে আমরা বহুদিন ধরে কষ্টে আছি। বৃষ্টি না হওয়ার আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম ও মহান আল্লাহ পাকের কাছে খাস দিলে মোনাজাত করলাম। একইভাবে কোতয়ালীর ফুলবন ফাজিল মাদরাসা মাঠ, নবাবগঞ্জ, বিরামপুরে পৃথকভাবে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল বুধবার সকালে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহের মধ্যে দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, দিনাজপুরে বৃষ্টির কোনো আলামত পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে ইসতিসকার নামাজের পর দুপুর ২টা নাগাদ দিনাজপুরজুড়ে স্বস্তিদায়ক বৃষ্টির দেখা মিলেছে। স্বল্প সময়ের জন্য হওয়া বৃষ্টিতে পথঘাট ভিজেছে। মুসুলধারে বৃষ্টিপাত না হলেও তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে। আর এতেই মানুষ খুশি হয়েছে এবং মহান আল্লাহ পাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement