২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান চান না বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল

বীর মুক্তযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম। - ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত না করার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন বীর মুক্তযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম।

তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দীনের ছেলে। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর-৮৯৭, এফ এফ নম্বর-২০৭৭, লাল মুক্তিবার্তা নম্বর-০৩১০০৩০০৬০।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেই অনেকে গত কয়েক বছরে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সম্মানের সাথে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি, তাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেয়া আমাদের (প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা) জন্য অপমানের। তাই এর প্রতিবাদে আমি ডিসি বরাবরে আবেদন করেছি, আমাকে যেনো রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা না হয়।,

তিনি আরো বলেন, দুই ঈদ ও বৈশাখিতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মানি ভাতা স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দেন।

এ বিষয়ে অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নীলকান্ত সিংহ বলেন, ‘প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা সবারই এমন। তিনি মনের দুঃখে এমনটা করেছেন। দবিরুল ইসলাম একজন প্রতিবাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার মতো সবাই হলে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কখনো স্বীকৃতি পেত না।’

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক দফতরে কর্মরত অফিস সহকারী মো: আলম জানান 'চিঠিটা আমি পড়েছি। সকলেই সম্মান চান, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম সম্মানটা পাওয়ার পরও নিতে চান না। বিষয়টি আমার কাছেও অবাক লেগেছে। এর আগেও একবার এমন চিঠি দফতরে জমা দিতে এসেছিলেন তিনি।’

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করি। তাছাড়া আবেদনটি তিনি (বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম) হয়তো দফতরে এসে দিয়ে গেছেন। আমি এখনো চিঠিটি হাতে পাইনি।’


আরো সংবাদ



premium cement