২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় চায় না : শাহজাহান

রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান বলেছেন, এ দেশের মানুষ একটা সুস্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। সেটা হলো, তারা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, যে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের রাশ টেনে ধরতে পারে না, যে সরকারের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে, এলসি করা যায় না, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বন্ধ হয়ে যায়, সে সরকার একদিকে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত করছে, অন্যদিকে মিথ্যাচার করছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে এবং মহানগর ও জেলা সদস্য সচিব যথাক্রমে মাহফুজ উন নবী ডন ও আনিছুল ইসলাম লাকুর সঞ্চালনায়

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিকবিয়ষক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জামির, সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম, বিলকিস ইসলাম, শাহিদার রহমান জোসনা ও রংপুর জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার শীর্ষ নেতারা।

বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কর্তৃত্ববাদি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছে। আওয়ামী লীগ এমন একটা মোনাফেক দল, তারা যা বলে, তার ঠিক উল্টাটা করে।

তিনি বলেন, তারা আমাদের কর্মসূচির বিপরীতে যে শান্তি সমাবেশ করছে, তার নমুনা তো আমরা দেখেছি। তারা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ মানুষের মোবাইল চেক করেছে। বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের হেনস্তা করেছে। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। তাই তারা কেমন শান্তি সমাবেশ করে, সেটা দেশবাসী বুঝে গেছে।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল রংপুরে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন গণসমাবেশে। গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে শাপলা চত্বর ও দাবানল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সড়কে বিছানো কার্পেটে বসে অবস্থান নেন। বন্ধ হয়ে যায় মূল সড়কের একপাশ। অপরপাশে চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে মানুষ অবস্থান নেন সেনপাড়া, গুপ্তপাড়া, কামারপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, আদর্শপাড়া ও মুলাটোলসহ বিভিন্ন এলাকায়। রাস্তার একপাশ বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ করায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে সালেক পাম্প পর্যন্ত এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করেত দেখা গেছে।

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো ধরণের নাশকতা, সহিংসতা ও অরাজকতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক। জলকামানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় পুরো নগরীজুড়ে। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল ছিল গণসমাবেশ স্থলসহ পুরো নগরীর আনাচে-কানাচে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু অভিযোগ করেছেন, রাতে পুলিশ লাথি দিয়ে তাদের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। বিভিন্নস্থানে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দিয়েছে। চেক পোস্টের নামে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, মঞ্চ করার কোনো অনুমতি তাদের ছিল না। তবুও তারা মঞ্চ করেই সমাবেশ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থায় মাঠে ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement