২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নীলফামারীতে মিতালী এক্সপ্রেসের সাথে রূপসা ট্রেনের সংঘর্ষ

নীলফামারীতে মিতালী এক্সপ্রেসের সাথে রূপসা ট্রেনের সংঘর্ষ - ছবি : সংগৃহীত

 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে চিলাহাটী রেল স্টেশন থেকে খুলনাগামী রুপসা ট্রেনটি আধা কিলোমিটার যাওয়ার পর ১ নম্বর হোম সিগন্যালে লাইন্স ক্লিয়ারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মিতালী এক্সপ্রেসের লোকোমেটিভে ইঞ্জিনের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের পর রুপসা ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও মিতালি ট্রেনের ইঞ্জিনটি তখনো চালু ছিল। এ সময় যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে নেমে ছুটোছুটি করতে থাকেন।


জানা গেছে, সংঘর্ষে দুটি ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনটি প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিটকে যায়। এছাড়া রুপসার ১১টি বগির মধ্যে পাঁচটি বগি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে মিতালীর পাওয়ার ইঞ্জিনের ড্রাইভার তহিদুল আলম ও রুপসা এক্সপ্রেসের চালক মাজেদ মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে চিলাহাটি ও ডোমার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে।

রুপসা ট্রেনের গার্ড আল আমিন বলেন, চিলাহাটি স্টেশন হতে ক্লিয়ারেন্স পেয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রুপসা ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। ঘন কুয়াশার কারণে ষ্টেশন থেকে ১ নম্বর আপ পয়েন্ট হোম সিগন্যাল এলাকায় মিতালীর লোকো ইঞ্জিনের সাথে রুপসা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

ডোমার রেলস্টেশন মাস্টার মোসাদ্দেক আলী জানান, ‘সকাল ৮টা ১৪ মিনিট মিতালী ট্রেনের লাইট ইঞ্জিনটি ডোমার রেলস্টেশন ছেড়ে চিলাহাটির উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার আমার কাছে ইউনিকোড চাইলে ৮টা ৩৯ মিনিটে রুপসা ট্রেনের জন্য আমি লাইন ক্লিায়ারেন্সের গোপন নম্বর দেই। আমি মনে করেছিলাম মিতালী ট্রেনের ইঞ্জিনটি চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছেছে বলেই তারা আমার কাছে লাইন ক্লিয়ারেন্স চেয়েছে’।

চিলাহাটি স্টেশন মাষ্টার টুটুল চন্দ্র সরকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি স্টেশনে না থাকায় ও ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

চিলাহাটি স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার নাজনীন আক্তার বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্রকে পাওয়া যাচ্ছে না।

চিলাহাটি ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাওয়ার আগেই ট্রেনের যাত্রীরা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১টা ৪৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে ২টা ২৫ মিনিটে অন্য একটি ইঞ্জিন দ্বারা ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ৭ ঘণ্টা বিলম্বে ৩টা ৩০ মিনিটে রুপসা এক্সপ্রেস চিলাহাটি থেকে ছেড়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement