১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলবাড়ীতে খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ফুলবাড়ীতে খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খেলার মাঠ ও ঐতিহ্যবাহী চরক মেলার জায়গা দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

বুধবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় মাঠ দখলের প্রতিবাদে পৌর এলাকার চাঁদপাড়া গ্রাম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে খেলার মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মাঠে খেলতে যাওয়া শতাধিক শিশু-কিশোরসহ এলাকার নারী-পুরুষরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার চাঁদপাড়া এলাকায় ছোট যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন সুজাপুর মৌজার ১৮১৫ দাগের সম্পত্তিটি সরকারি এবং তা জনসাধারণের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে। ওই স্থানটিতে দীর্ঘ দিন থেকে চাঁদপাড়া এলাকাবাসী খেলার মাঠ ও হিন্দু সম্প্রদায়ে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা করে আসছে। হঠাৎ ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে তার নিজের সম্পত্তি দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে তা ঘিরে নেন।

তারা বলেন, এদিকে এর আগে মাঠ উদ্ধারে চাঁদপাড়া এলাকাবাসী পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। অবশেষে মাঠ উদ্ধারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নেমেছেন বলে জানান তারা।

স্থানীয় সুমন, লুৎফর, মৃদুলসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তাদের কোনো খেলার মাঠ নেই তারা প্রায় অনেক বছর ধরে ওই মাঠটিতে খেলাধুলা করে আসছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান হঠাৎ করেই মাঠটি দখলে নিয়ে খেলার পরিবেশ নষ্ট করছে। তাই খেলার মাঠটি উদ্ধারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি যে জায়গাটিতে রয়েছি, সেটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি যার দাগ নাম্বার ১৮১৬। আমি কারো জায়গা দখল করিনি। এলাকাবাসীর দাবিকৃত জমিটি ১৮১৫ দাগের। ওই অনুযায়ী তাদের জমি আলাদা।

পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটন জানান, এলাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement