২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভূরুঙ্গামারীতে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বোরে ধানসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঝড় শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে বাড়িঘর ভেঙে গেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঝড়ো হাওয়ায় পাকা বোরো ধান পানি জমে থাকায় জমিতে নুইয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জাতের বড় বড় বনজ গাছ, বাড়িঘর ও রাস্তার ওপর পড়ে আছে। মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ ভেঙে গেছে। উপজেলা সদর থেকে শিলখুড়ি ও তিলাই ইউনিয়নে যাওয়ার রাস্তায় দু’টি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ায় ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের রাসেল মাহমুদ বলেন, ঝড়ে একটি বিশাল আকৃতির কড়ই গাছ ভেঙে পড়ে দু'টি ঘর ও আসবাপত্র ভেঙে গেছে। এতে আনুমানিক এক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তার মা বয়জন বেগম। তিনি ঘারে আঘাত পেয়েছেন।

দমকা হাওয়ায় একই গ্রামের আসাদুল হকের একটি ঘর ভেঙে পড়েছে। বাচ্চু মিয়ার প্রায় চল্লিশ হাত লম্বা এল আকৃতির একটি ঘর হেলে পড়েছে। এছাড় বিভিন্ন এলাকায় আরো অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ খালেদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে ইটের তৈরি কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে গেছে।

ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টি ও বাতাসে এক বিঘা জমির পাকা ধান জমিতে জমে থাকা পানিতে নুইয়ে পড়েছে। ওই গ্রামের রমজান আলী, শাহবাজ আলীসহ আরো অনেকের পাকা ধানের একই অবস্থা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, ঝড়ে উপজেলার কি পরিমান সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণের কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement