দেশের প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না, দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় করে বলেই আইন থাকা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দিচ্ছে না।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রংপুরের গঙ্গাচড়া বুড়িরহাট ঈদগাহ মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশের চিকিৎসা দেয়ার দাবিতে রংপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

জেলা সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, মহানগর বিএনপির সভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মামুন খান, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন, জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল প্রমুখ।

সমাবেশে পুলিশের বিরুদ্ধে চারটি রুটে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, ‘বাধা দিয়ে জনতার স্রোত আটকে দেয়া যাবে না বরং বাড়বে। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মী এবং জনসাধারণকে দমিয়ে রাখতে চায়। এই সরকারের আর সময় নেই এখন প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলেও সেনাবাহিনীকে কলঙ্ককারী সাবেক সেনাপ্রধানের খুনি ভাইকে মুক্তি দিয়েছে। দেশের মানুষ সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ। তাদেরকে আর ক্ষমতায় চায় না জনগণ।’

মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে দেশের মানুষ আপনাদের ছাড়বে না।’

সমাবেশে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সাথে সরকারের তিনবার বিয়ে হয়েছে। আবারো হবে। এই বিয়ে অবৈধ। এটা জনগণ মানে না। রংপুরের মানুষ ধরলে ছাড়ে না। রংপুর থেকেই শুরু হলো সরকার পতনের আন্দোলন।’

সকাল থেকেই জেলা ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে যোগ দেন। দুপুরের পর রাস্তা বেরিক্যাড দেয়ায় অনেকেই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে পারেনি।