২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নীলফামারীর সেই বাড়ি থেকে উগ্রবাদী সন্দেহে ২ নারীসহ ৭ জন আটক

উগ্রবাদী আস্তানায় অভিযান-নীলফামারী
নীলফামারীতে উগ্রবাদী সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারি এলাকায় উগ্রবাদী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশের এ এলিট ফোর্সটি।

শনিবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উগ্রবাদী সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মিনা বেগম (৩০), আফরোজা বেগম (৫০), জাহেদুল ইসলাম (২৮), ওহেদুল ইসলাম (২৬), ওয়াহেদ আলী (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজা (২৬) ও নুরুল আমিন (২৮)।

আটককৃতদের সবাইকে রংপুর র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিকেলে রংপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে জেলা সদরের মাঝাপাড়া পুটিহারি এলাকার শরিফ নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব-১৩ এর একটি দল। স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যরা আশপাশে অবস্থান নেন। শনিবার সকালে রংপুর থেকে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম নীলফামারী সদরের ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) ও লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক নীলফামারী সদর উপজেলার মাঝাপাড়া পুটিহারি এলাকার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারপরই শুরু হয় অভিযান।

অভিযানের খবর পেয়ে শরিফ পালিয়ে গেলেও শরিফের স্ত্রী ও শাশুড়িসহ সাতজনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি)। ঘটনাস্থলে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম কাজ করে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আটককৃতরা সবাই জেএমবি’র সদস্য। এদের মধ্যে ওয়াহেদ বোমা তৈরির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শরিফও উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এবং তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান এই পরিচালক।

এলাকাবাসী জানায়, শরিফের বাড়ি সদরের দারোয়ানী সুতাকল এলাকায়। তিনি কয়েক বছর আগে পুটিহারি এলাকায় তার নানার বাড়িতে গিয়ে উঠেন। পরে তার নানা সেখানে জমি দিলে তিনি বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসেবে কাজ করতেন বলে এলাকাবাসী জানায়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, ঘটনাস্থলে আইইডি-সদৃশ একটি বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত করা হয়। সেটি নিষ্ক্রিয় করেছে র‌্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের একটি টিম।


আরো সংবাদ



premium cement