২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুর হাসপাতালে দুই মাথাওয়ালা শিশুর জন্ম

রংপুর হাসপাতালে দুই মাথাওয়ালা শিশুর জন্ম হয়েছে - ছবি : নয়া দিগন্ত

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগে দুই মাথাওয়ালা অস্বাভাবিক এক কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। তিন দিন আগে জন্ম নেয়া শিশুটি বেঁচে থাকলেও তার বর্তমান অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ভালো আছেন শিশুটির মা।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: রেজাউল করিম জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথাওয়ালা এক অস্বাভাবিক কন্যাশিশু জন্ম দেন। এটাই সেকেন্দার-আফরোজা দম্পত্তির তার প্রথম সন্তান।

তিনি আরো জানান, শিশুটিকে শিশু সার্জারি বিভাগে ও মাকে গাইনি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, এ ধরনের নবজাতক অস্বাভাবিক। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এ ধরনের শিশুর চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নবজাতকের পিতা সেকান্দার আলী পেশায় একজন মুদি দোকানি। আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।

নবজাতকের মামা সোহেল জানান, আমরা তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছি। কিভাবে শিশুটি বেঁচে থাকবে কিছুই বুঝতে পারছি না। চিকিৎসকরা কী করবেন সেটাও বলছেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, তিনি যেন নবজাতকের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

নবজাকের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, ‘সাত মাস থাকতেই আলট্রাসনোগ্রাম করে এ ধরনের একটি দুই মাথাওয়ালা শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। পরে কুড়িগ্রামে সিজার করার ব্যাপারে চিকিৎসকরা সাহস না পেলে রংপুরে পাঠান। রংপুরে গত শনিবার রাতে আমার স্ত্রী দুই মাথাওয়ালা কন্যাশিশু জন্ম দেন। এখন আমি চাই সুচিকিৎসা। যেখানেই হোক চিকিৎসা করিয়ে যেন আমার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। আমি সামান্য মুদি দোকানদার তাই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। আমি এ বিষয়ে সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement