২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তিস্তায় বাড়ছে পানির স্রোত, ভাঙছে সড়ক

তিস্তায় বাড়ছে পানির স্রোত, ভাঙছে সড়ক - ছবি : নয়া দিগন্ত

তিস্তার নদীর পানির স্রোতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় শেখ হাসিনা তিস্তাসেতু উত্তরাংশে রুদ্রেশ্বর এলাকার প্রায় দেড়মিটার সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। এতে রংপুর কালিগঞ্জ রুটে লালমনিরহাটে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে এলাকার সংযোগ সড়কটির প্রায় দেড়শ মিটার এলাকা ধসে গেছে। রাত সাড়ে ১১টায় রাস্তাটির ওই অংশের অর্ধেকই ধসে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা পরিদর্শন করলেও সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ কারণে স্থানীয়রা সেখানে বালু ভর্তি করে বস্তা ফেলছেন।

এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। তিনি জানান, হঠাৎ করেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৮ফিট। এতে অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের মানুষের বাড়িঘরে কোথাও কোথাও ঘরের মোকা পর্যন্ত পানি উঠেছে। ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। জীবন বাঁচিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। নষ্ট হয়েছে ৫৫ হাজারেরও বেশি হেক্টর জমির আমন ফসল। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।

বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, বুধবার ভোর ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার পর বাড়তে বাড়তে তার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও লণ্ডভণ্ড হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড রাত থেকেই জরুরি মেরামত কার্যক্রম শুরু করেছে।

পানি ঢুকে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা কালিগঞ্জ আদিতমারি সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উঠতি আমন ধান তলিয়ে গেছে পানিতে। পানি উঠেছে রংপুরের লক্ষ্মীটারীর বাগেরহাট আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ নোহালী, কোলকোন্দ, গজঘন্টা মর্নেয়া, কাউনিয়ার বালাপাড়া, টেপামধুপুর, পীরগাছার ছাওলা, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে। পানিবন্দি মানুষের যাতায়াত খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চরম সঙ্কট বিরাজ করছে। সঙ্কট শুকনা খাবারের। ভুক্তভোগী মানুষেরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement