২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে ভারতীয় ইঞ্জিনের ট্রায়াল

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে ভারতীয় ইঞ্জিনের ট্রায়াল - ছবি- নয়া দিগন্ত

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ ভারতের রেলসংযোগ শুরু করতে ভারতীয় রেলের পাওয়ার ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া এলাকা দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চিলাহাটি স্টেশনে ছুটে আসে ট্রায়াল রানের ভারতীয় রেল ইঞ্জিন দু’টি।

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুটকে চালু করার এই ট্রায়াল রান।

ট্রায়াল পাওয়ার ইঞ্জিনে ছিলেন ভারতীয় রেলওয়ের ১২ কর্মকর্তা। এর মধ্যে ছিলেন এসআর নির্মল গোরামি, নরদ পোদ্দার, বিনোদ কুমার, মুকেশ কুমার সিং, এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী, মনোজিৎ পাল চৌধুরী, রাবিশ পাটেল, রাকেশ কুমার, এ এল পি অরিজিৎ রায়, ঋতু রাজ, অর্ক দাস ও গৌরভ কুমার।

ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি দু’টি নো-ম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ভারতীয় রেল কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিলাহাটি রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম, রেলওয়ে কর্মকর্তা সুলতান মৃধা, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম, চিলাহাটি বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খোদা বক্স ও সৈয়দপুর জিআরপি থানার এসআই শাহাজাহান।

এরপর ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা চিলাহাটি রেলস্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় ভারতীয় রেল কর্মকর্তা এল পি বিবেকানন্দ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে এই পথ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগান বাংলাদেশে যাতায়াত করবে। এ কারণে এই ট্রায়াল রান।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি দিয়ে সরাসরি কলকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এই রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement