২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রংপুরে সর্বাত্মক লকডাউনেও নর্দান মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে

রংপুরে সর্বাত্মক লকডাউনেও নর্দান মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে - ছবি- সংগৃহীত

সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে মাইগ্রেশনের দাবিতে শনিবার ৭৭তম দিনের মতো আন্দোলন করেছেন রংপুরের অনুমোদনবিহীন নর্দান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মাইগ্রেশনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসহযোগিতা ও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা ‘সেভ আওয়ার ফিউচার, উই ওয়ান্ট মাইগ্রেশন’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেন ক্যাম্পাস। ‘নর্দান নামক কারাগার থেকে মুক্তি চাই’, ‘স্বপ্নের সমাপ্তি মানে জীবনের সমাপ্তি’, এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড রোদে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। দাবি আদায় না পওয়া পর্যন্ত এভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম বলেন, আমরা আসলে অসহায় হয়ে পড়েছি। বাধ্য হয়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে রোজা রেখে আন্দোলন করছি। কারণ আমরা এত দিন শুধু আশ্বাস পেয়েছি যে আমাদের একটা সমাধান হবে। কিন্তু এখন আমাদের এমন অবস্থা যে কেউ আমাদের কথা শুনছে না। এখন আমাদের সামনে, পেছনে, ডানে, বায়ে কেউ নেই। এজন্য বাধ্য হয়ে রোজার দিনে রোজা রেখে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

একই শিক্ষাবর্ষের আবু রায়হান সরকার বলেন, আমরা রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ডিসি, সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ঘেরাও করে মাইগ্রেশনের দাবি জানিয়েছি। রাস্তা অবরোধ করেছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস নেই।

২০১৭-০১৮ শিক্ষাবর্ষের মাসতুরা জান্নাত বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। আমরা এত আন্দোলন করেছি তারপরও এ পর্যন্ত সরকার কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগ মুখ তুলে তাকায়নি। তাহলে আমাদের করার কী? আমাদের কি কোনো ভবিষ্যৎ নেই? প্রশ্ন রাখেন এই শিক্ষার্থী।

মাইগ্রেশন আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির বলেন, মাইগ্রেশন দেয়ার বিষয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএমডিসি চেয়ারম্যান ডা: শহীদুল্লাহ ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৭৭তম দিনের মতো আন্দোলনের মাঠে আমরা। মালিকপক্ষের প্রতারণার ও স্বাস্থ্য বিভাগের অসহযোগিতার কারণে এখনো মাইগ্রেশনের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাডেমিক নবায়ন ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই অনুমোদনহীনভাবে আদালতের আশ্রয় নিয়ে মেডিক্যাল কলেজটিতে পাঁচটি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। কলেজটিতে ভর্তি হওয়া আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন এখন অনিশ্চয়তায়।


আরো সংবাদ



premium cement