২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
রংপুরে অনুমোদনহীন মেডিক্যাল কলেজ

বিএমডিসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণার ৪০ ঘণ্টা পরেও আসেনি মাইগ্রেশনের অনুমতি

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কলেজ ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ঘোষিত মাইগ্রেশন এবং পাস করা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বুধবারও দিনভর বিক্ষোভ করছে রংপুরের নবায়ন রেজিস্ট্রেশন ও অনুমোদনবিহীন নর্দান মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও একাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলআপে অতিরিক্ত টাকা নেয়ারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কলেজ ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার যে ঘোষণা দিয়েছেন তারা সেটির লিখিত নির্দেশনা এবং দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি পূরণ না হবে যতক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ধারাবাহিক আন্দোলনের ১১তম দিনে মঙ্গলবার রংপুর সফররত বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট ডা: শহীদুল্লাহ পাস করা শিক্ষার্থীদের এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন করার প্রক্রিয়া আজকের মধ্যেই শুরু হওয়ার ঘোষণা দেন। ঘোষণার ছয় ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্টার্ন করার অনুমতির একটি চিঠি বিএমডিসি থেকে দেয়া হয়। সেখানে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও প্রাইম মেডিক্যালে তাদের ইন্টার্ন করার কথা বলা হয়। কিন্তু ঘোষণার ৪০ ঘণ্টা পরেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইগ্রেশন সংক্রান্ত কোনো লিখিত নিদের্শনা আসেনি। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, মাইগ্রেশনের ঘোষণা বাস্তবায়ন না হলে তারা মাঠ ছাড়বেন না।

এদিকে একাদশ ব্যাচে ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ করে টাকা নেয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তারা। এই টাকা নেয়া হলেও কোনো ডকুমেন্ট কলেজ দেয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।

তারা জানিয়েছে, অন্য কলেজে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নেয়া হলেও এই কলেজে নেয়া হচ্ছে ৯ হাজার ৮০০। আবার সেখান থেকে বাড়িয়ে আরো ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত এক লাখ দুই হাজার টাকা প্রতিষ্ঠানটি বাড়তি নিচ্ছে। এটা আমরা হতে দিতে চাই না।

এ ব্যপারে কলেজের অফিস সহকারী লুৎফর রহমান জানান, অন্যান্য কলেজ কেন কম নিচ্ছে তা দেখার বিষয় নয়। যেহেতু এখানে জায়গার অভাবে কেন্দ্র সংকট রয়েছে। কেন্দ্র করা হয়েছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে ছাত্রপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হবে। সে কারণে আমরা এটা নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও শর্ত পূর্ণ না করায় কলেজটির অ্যাকাডেমিক নবায়ন ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয় ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল হয় পরের বছর। এরপরই চতুরতার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্টে রিট করে পত্রিকায় অনুমোদন থাকার মিথ্যা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত সেশন পর্যন্ত ভর্তি চালায় কলেজটি। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শত কোটি টাকার বেশি টাকা নিয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।


আরো সংবাদ



premium cement