২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নীলফামারীতে একজনের মৃত্যুদণ্ড, দু'জনের যাবজ্জীবন

-

নীলফামারীতে দুই মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দু'জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে এই দুই মামলার রায় দেয়া হয়।

দণ্ডিতরা হলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জসর উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী।

আদালত সুত্র জানায় মকবুল হোসেনের মৃত্যুদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত হালিমুর ও আজগর আলীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয়মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর স্পেশাল পিপি আল মাসুদ আলাল জানান, ২০১৩সালের ২৯আগষ্ট রাতে আব্দুল গনির মেয়ে মৌসুমি নিখোঁজ হয়। পর দিন সকালে তিস্তা নদীর ধারে মেয়ের লাশের সন্ধান পান।
এ ব্যাপারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করলে চার আসামির মধ্যে মকবুলের মৃত্যুদণ্ড ও হালিমুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান এবং ছোবদুল ও মোমিনুর রহমানকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুর রহমান।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর স্পেশাল পিপি রামেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।

মামলায় স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আহসান তারেক। দণ্ডিত ব্যক্তি জামিনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement