১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিনেমার শুটিংয়ে আগুন, পুড়ে ছাই রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ

সিনেমার স্যুটিংয়ে আগুন, পুড়ে ছাই রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ - নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিনেমার শুটিং চলাকালে ব্যবহৃত আগুন থেকে রেলওয়ে উর্ধ্বতন প্রকৌশলী (আইডাব্লু) অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার সকাল ৬টায় সংঘটিত ওই অগ্নিকাণ্ডে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জমাদিসহ মূল্যবান সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট অফিসের সূত্র মতে, ’দামাল’ নামের একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ডকুমেন্টরি ফিল্ম (সিনেমা) তৈরির জন্য চ্যানেল আইয়ের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে পরিচালক রায়হান রাফির নেতৃত্বে একটি শুটিংদল সৈয়দপুরের বিভিন্ন স্পটে চিত্রায়ন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে উর্ধ্বতন প্রকৌশলী (আইডাব্লু) অফিস চত্বরে শুটিং করা হয়। দলটি শনিবার ভোরের দিকে একটি চিত্রায়নের জন্য আগুন জ্বালিয়েছিল। ওই আগুন হঠাৎ করে অফিস সংলগ্ন গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সেখানে রাখা রেলপথের স্লিপার, রেলওয়ে কোয়াটার ও বাংলোর অব্যবহৃত কাঠের তৈরি দরজা-জানালা, বিভিন্ন সময় রেলওয়ের জমি থেকে কেটে আনা গাছের গুড়ি পুড়ে গেছে। এছাড়াও ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যবহৃত জিনিসসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়ে সৈয়দপুর শহরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ নীলফামারীর সদর ও উত্তরা ইপিজেড এর দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দু’ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার আগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

রেলওয়ে উর্ধ্বতন প্রকৌশলী (আইডাব্লু) শ্রী নারায়ন চন্দ্র জানান, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলামের পাঠানো চিঠি মারফত নির্দেশ পেয়ে শুটিং দলকে আমার অফিস চত্বরে চিত্রায়নের জন্য সুযোগ দেই। তাদের শুটিংয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জন্য এম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিস ছিল না। যার ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে ও এতে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মো. জয়দুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের চিঠির প্রেক্ষিতে তাদের শুটিংয়ের জন্য স্থান দেয়া হয়েছিল। তারা সৈয়দপুর রেলওয়ের বিভিন্ন স্থানে ও আইডাব্লু অফিসে শুটিং করে। ওই সময় তাদের ব্যবহৃত আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করব।

নীলফামারী সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম জানান, তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা।

শুটিং গ্রুপের প্রযোজক মো. আবু সাইদ ইমনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


আরো সংবাদ



premium cement