২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লালমনিরহাটে যুবককে হত্যা : গ্রেফতার আরো ২

-

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আবু ইউনুস মোঃ সাহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরো দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাটগ্রাম উপজেলার আউলিয়ারহাট কামাতপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাবলা (২৬) ও একই উপজেলার উফারমারা সোনারভিটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জিএম মানিক (৪৫)।

দুটি মামলার তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জন গ্রেফতার হলেন।

লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যায় দায়ের করা পুলিশের ওপর হামলা ও ইউপি ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাতনামীয় আসামি বাবলা ও মানিককে রোববার রাতে বুড়িমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো। যার মধ্যে ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডেও নিয়েছে পুলিশ।

আবু কালাম ওরফে গামছা কামাল নামে আরো একজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।

ইতোমধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২৯ অক্টোবর বিকালে পাটগ্রাম উপজেলায় কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।

হত্যার ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচাত ভাই সাইফুল আলম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement